টাইফয়েড অত্যন্ত জটিল একটি রোগ এবং এই রোগের অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে। একেবারে সঠিক সময়ে আপনি যদি চিকিৎসা করেন তাহলে অবশ্যই সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে কিন্তু আপনি যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করতে পারেন তাহলে সেটা এমনিতেই আপনার শরীরের সমস্যা তৈরি করবে এর পাশাপাশি এমন কিছু খারাপ দিক আপনার শরীরে ছেড়ে যাবে যা পরবর্তীতে আপনাকে সমস্যা করবে। আজকে আমরা টাইফয়েড রোগের পরবর্তী সময়ে রোগীর কি কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।টাইফয়েড রোগের যে জটিলতা তৈরি হয় তার মধ্যে কিছু জটিলতা খুবই খারাপ। সাধারণত এটা এমন একটি জ্বর যার ভেতরে ভেতরে রোগীকে একেবারে দুর্বল করে দিতে পারে। তাই দীর্ঘদিন ধরে টাইফয়েড যদি কোন রোগীর শরীরে থাকে তাহলে রোগ মুক্তির পরবর্তী সময়ও তাকে অনেক কষ্ট করতে হয় তবে যখন টাইফয়েড থাকবে তখন কি কি ধরনের সমস্যা হয় সেটা আগে জেনে নেই।
টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে টাইফয়েড এর জীবন রক্তে সরিয়ে পড়া সঙ্গে সঙ্গে তার জ্বর আসতে শুরু করবে। শুধু স্বাভাবিক জ্বর নয় এই জ্বরের মাত্রা ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। জ্বরের সঙ্গে রোগীর মাথা ব্যথা এবং প্রচন্ড দুর্বলতা এবং ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে অনেকের ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ত্বকে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি তৈরি হতে পারে। এগুলো হচ্ছে টাইফয়েড চলাকালীন উপসর্গ যেগুলো থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে সবার প্রথমে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে টাইফয়েড পরীক্ষা করাতে হবে এবং তার চিকিৎসা করাতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করার পরে আপনি যখন সুস্থ হবেন তখন টাইফয়েড এমন কিছু সমস্যা আপনার শরীরে রেখে যেতে পারে যেগুলো আপনাকে ভোগাতে পারে। এই সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে হৃদ যন্ত্রের রিলিস স্পন্দন কমে যাওয়া এবং সেটা সঠিকভাবে কাজ না করা। অনেকের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। অবশ্যই সেই রোগীর শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল হয়ে যাবে।
পুরোপুরি সুস্থ হতে হলে তাকে অবশ্যই সময় দিতে হবে এ অবস্থাতে শারীরিক দুর্বলতার কারণে তার চুল পড়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে শরীরে এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে সে বাড়ি থেকে কোথাও যেতে চায় না। এই অবস্থাতে পরিবারের লোকজনের মানসিক সাপোর্টের প্রয়োজন রয়েছে তাই আশা করবো আপনারা তাদেরকে মানসিক সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন।
টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে
অনেকে জানতে চেয়েছেন টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে এই বিষয়ে। সাধারণত টাইফয়েড জ্বর টাইফয়েড এর জীবাণু যতদিন শরীরে থাকে ততদিন থাকতে পারে এটা স্বাভাবিক। তবে যখন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করা হয় এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে পুরোপুরি জ্বর আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায়
অনেকে জানতে চেয়েছেন টাইফার জ্বরে আক্রান্ত হলে গোসল করা যাবে কিনা। অবশ্যই টাইফয়ের জরে আক্রান্ত হলে গোসল করা যাবে এটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে খুব তাড়াতাড়ি আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে বিষয়টি যদি এমন হয় যে গোসল করতে কি আপনার শরীরের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে এবং আপনার ঠাণ্ডা সর্দি লেগে যাচ্ছে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনি গোসল না করতে পারেন শুধুমাত্র ঠান্ডা পানি দিয়ে পুরো গা মুছে ফেলতে পারেন।
টাইফয়েড হলে কি চুল পড়ে যায়
টাইফয়েড হলে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে চুল পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এগুলো সাধারণত যাদের প্রচুর পরিমাণে টাইফয়েড এবং টাইফয়েড এর মাত্রা অনেক বেশি হয় তাদের খেতে হয়। তাই এই অবস্থাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে এবং সম্ভব হলে চুলগুলো স্ট্রিম করে কেটে ফেলতে হবে।