হাই প্রেসার এর লক্ষণ ও প্রতিকার

সাধারণ রক্তচাপ প্রত্যেকটি মানব শরীরের জন্য ভালো কিন্তু সে রক্তচাপ যদি বেশি হয়ে যায় যাকে আমরা হাই প্রেসার নামে চিনি সেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত ভয়ের একটি কারণ। এটা কি সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় এবং নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে যদি হঠাৎ করে এটা অনিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে চলে যায় তখন শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা যায় যে অসুস্থতার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি হাইপ্রেসার অনিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এই জিনিসগুলো বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে সবকিছু নির্ভর করছে এটার ওপর।

সঠিক সময় হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ না করা হলে সেটা শরীরে আরও বড় ধরনের রোগের সৃষ্টি করতে পারে যা মরণঘাতী হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে হাই প্রেসার এর যে লক্ষণ গুলো রয়েছে সেই লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা এবং আরো বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে আপনারা একেবারে সঠিক জায়গাতে এসেছেন যেখানে আমরা আপনাদের এই সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।

হাই প্রেসার এর প্রাথমিক লক্ষণ

হাই প্রেসার এর ক্ষেত্রে যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় তার মধ্যে সবার প্রথম ে ঘুমের পরিমাণ কমে যাওয়ার প্রাথমিক লক্ষণটা অন্যতম। স্বাভাবিক যে ঘুম আপনি ঘুমাচ্ছিলেন তার বিপরীতে হাই প্রেসার বেড়ে গেলে আপনার ঘুমের পরিমাণ কমে যাবে এটা হাই প্রেসার হওয়ার একটি প্রাথমিক লক্ষণ।

এরপরে যে লক্ষণ গুলো দেখা যেতে পারে সেই লক্ষণের মধ্যে একটি লক্ষণ হচ্ছে হাই প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারণে সেই রোগীর অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে এবং এর কারণে হঠাৎ করে প্রচুর গরম লাগা এবং গা ঘেমে যাওয়া ও অল্প কাজ করতে গিয়েই হাঁসফাঁস অনুভব করা এরকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকে এটাকে ভুল ভেবে শ্বাসকষ্ট মনে করতে পারেন কিন্তু এটা শ্বাসকষ্ট না এটা হাই প্রেসারের কারণে হয়েছে যা প্রেসার পরিমাপের মাধ্যমে বোঝা যাবে।

হাই প্রেসার হওয়ার কারণে রোগীর মাথা ব্যথা হতে পারে এবং হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক বিভিন্ন আরো অসুস্থতার কারণে হাই প্রেসার বোঝা যায় এগুলো বোঝার পরে অপেক্ষা করা উচিত নয় রোদ হচ্ছে কৃষকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

হাই প্রেসার এর প্রতিকার

হাই প্রেসার এর প্রতিকার হিসেবে আপনাকে সবার প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে সঠিক বয়সের সঠিক সিদ্ধান্ত। হাই প্রেসার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে অন্তত ৩০ বছর বয়স থেকেই একটি পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে যে পরিকল্পনা মেনেই চলতে হবে। পর্যাপ্ত এবং পরিমিত পরিমাণে সঠিক খাদ্য গ্রহণ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং শারীরিক পরিশ্রম সঠিক করা এই জিনিসগুলোর ব্যালেন্স যদি আপনি ৩০ বছর বয়স থেকেই তৈরি করতে পারেন তাহলে সেটা থেকে আপনি যে ফল পাবেন সেটা হচ্ছে পরবর্তী জীবনে কোন ধরনের হাই প্রেসার বা কোন ধরনের ডায়াবেটিস রোগে আপনাকে পড়তে হবে না।

হাই প্রেসার এর চিকিৎসা

যদি হাই প্রেসার হয়ে যায় তাহলে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করাই হচ্ছে মূল চিকিৎসা। আপনি যদি সঠিকভাবে হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য হতাশাজ জন। এজন্য অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ হওয়া নিতে হবে আপনাকে নিয়মিত এবং চেষ্টা করতে হবে নিজের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন এর মাধ্যমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে হাই প্রেসার কে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে।

এর পাশাপাশি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খাওয়া এবং সুস্থতার জীবনযাপন করা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। তবে অল্প বয়স থেকে আমরা যদি এর প্রতিকার এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারি তাহলে আমাদের জন্য সেটা সবথেকে ভালো। আশা করছি হাই প্রেসারের সচেতনতা আপনাদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে।