ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

সাধারণত আজকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি যেটা হঠাৎ করেই একটি জীবনকে নষ্ট করে দিতে পারে। জি আপনারা ঠিক ধরেছেন আজকে আমরা কথা বলব ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ে এটা সাধারণত একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এই ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে সবার প্রথমে এর লক্ষণ গুলো চিনতে হবে আপনি যদি এটা ভালোভাবে চিনতে পারেন তাহলে আর বাড়িতে বসে না থেকে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আমরা সকলে অবগত আছি ম্যালেরিয়া রোগের ভাইরাস যেটা আছে সেটা সাধারণত মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগের প্রধান লক্ষণ নির্দিষ্ট সময় পরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা এটা এমন একটি জ্বর যার তাপমাত্রা হতে পারে ১০৪ ডিগ্রি থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। সত্যিই অবাক করা ঘটনা এই অবস্থাতে যদি কারো হার্ড ফেলার হয় তাহলে তার মৃত্যু অনিবার্য। চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করি এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করে নিজেদের মধ্যে।

কিভাবে বুঝবেন ম্যালেরিয়া রোগ হয়েছে

পূর্বাভাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সেটা আবহহার ক্ষেত্রে হোক বা শরীরের রোগের ক্ষেত্রে হোক এটা বুঝতে হবে আমাদের তা না হলে যে কোন ধরনের দুর্যোগ হতে পারে। ম্যালেরিয়া রোগের যে উপসর্গ বা লক্ষণগুলো রয়েছে সেগুলো এখানে আমরা তুলে ধরছি আশা করব এগুলা আপনারা আপনাদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন এবং নিজেরা উপকৃত হবেন।

যারা ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হন তাদের প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে গায়ে প্রচন্ড ব্যথা। শুধুমাত্র যে গায়ে ব্যথা এটা ভুল ধারণা এর সঙ্গে মাথা ব্যথা এবং অনেক সময় খিচুনি হতে পারে এটা অত্যন্ত সাংঘাতিক ব্যাপার। এই উপসর্গের সঙ্গে আরও যে উপসর্গ একেবারে ফুটে উঠবে সেটা হচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র কাঁপুনি বা সিচ্ছের অনুভব করা এবং ঘুম কমে যাওয়া।

গরম হোক বা না হোক যেকোনো সময় প্রচন্ড ঘেমে যাওয়া ম্যালেরিয়া রোগের একটি উপসর্গ এছাড়াও ক্লান্তি বা অবসাদ অনুভব করা এই রোগের সাধারণ উপসর্গ। এইভাবে যদি কিছুদিন থাকে তাহলে হয়তো দেখা যায় রোগীর শরীরের রং পরিবর্তন হতে শুরু করছে অর্থাৎ তার রক্তশূন্যতা বাড়ছে। এইসব উপসর্গের সঙ্গে যদি রোগীর শরীরে জ্বরের তাপমাত্রায় ১০৪ ডিগ্রি থেকে ১০৫ ডিগ্রি বা ১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত যায় তাহলে সেটা শিওর ম্যালেরিয়া বাড়িতে বসে থেকে লাভ নেই ।

ম্যালেরিয়া মশা আমাদের কখন কামড়ায়

সাধারণত এটা একটি নির্দিষ্ট সময়ে রোগীদের কামড়ায়। ম্যালেরিয়া রোগের ভাইরাস সাধারণত মশার মাধ্যমে ছড়ায় এটা হচ্ছে মৌসুমী একটি রোগ যেটা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। আমরা ছোটবেলা থেকেই এই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বিভিন্ন গণসচেতনতামূলক পদক্ষেপ দেখে আসছি তারপরও এখন পর্যন্ত আমরা ১০০% এই রোগ কে দূরে ঠেলতে পারেনি শুধুমাত্র আমাদের অলসতার কারণে। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় সাধারণত এই রোগ হয়।

সাধারণত এই মৌসুম হচ্ছে বর্ষাকাল এবং এই অবস্থাতে সন্ধ্যার আগে ঘরের জানালা বন্ধ করে দিতে হবে এবং দিনে রাতে যে কোন সময় ঘুমানোর প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে আপনাকে ঘুমাতে হবে। এই মশা কামড়ানোর কোন সময় নেই যখনই সে সুযোগ পাবে তখনই আপনাকে কামড়াতে পারে।

ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসা

আগেই বলে রাখি এই রোগের প্রতিকার করার পাশাপাশি যদি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে ঘরোয়া কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই আপনাকে সরাসরি হাসপাতালে যেতে হবে এবং সেটা খুব দ্রুত করতে হবে। আপনি যদি দ্রুত হাসপাতালের না যান তাহলে সেটা আপনার শারীরিক দুর্বলতার কারণ হবে এবং এই দুর্বলতা এত তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় যে সেটা রোগীকে অচেতন করে দিতে পারে ‌। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যায় তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।