তলপেটে টিউমারের লক্ষণ

তলপেটে টিউমার বলতে বোঝানো হয়েছে জরায়ুর টিউমার এবং প্রোস্টেট টিউমার। সাধারণ প্রোস্টেট টিউমার ছেলেদের হয়ে থাকে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশি হয়ে থাকে জরায়ুর ডিমার। সাধারণত এই ধরনের টিউমারে দেখা দিলে সব থেকে প্রথমে যে জিনিসটা বোঝা যাবে সেটা হচ্ছে এই অঙ্গগুলোর সাধারণ যে কার্যকলাপ রয়েছে সেগুলো উল্টোপাল্টা হয়ে যাবে অনেক ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতন প্রবণতা সৃষ্টি হবে।

যেমন মনে করুন ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেটের টিউমার হলে সবার প্রথমে প্রস্রাবের সমস্যা তৈরি হবে। প্রস্রাব হওয়ার সময় সেটা ঠিকঠাক ভাবে হতে চাইবে না এবং যখন প্রস্রাব হবে তখন প্রচুর পরিমাণে জ্বালা-যন্ত্রণা হতে পারে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সাধারণত চিকিৎসার মাধ্যমে বোঝা যাবে তার প্রোস্টেট টিউমার হয়েছে। এছাড়াও প্রোস্টেট টিউমারের কারণে তলপেটে ব্যথা এবং অনেক সময় রোগীর খাবারের প্রতি অনীহা এবং ওজন কমার মতন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মেয়েদের জরায়ুর টিউমারের অনেক কারণ থাকতে পারে। বয়সন্ধিকাল থেকে মেয়েরা যখন জরায়ুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে জীবন অতিবাহিত শুরু করতে থাকে তখন জীবনের একটি পর্যায়ে এসে তাদের এখানে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন তৈরি হতে পারে। এই ইনফেকশন গুলো থেকেই মূলত টিউমারের উৎপত্তি। সাধারণত এই ধরনের টিউমারের ক্ষেত্রে জরায়ু থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং অনিয়মিত মাসিক স্বাভাবিক কিছু লক্ষণ।অনেক সময় দেখা যায় যে কিছু কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক শুরু হওয়ার পরে সেটা আর বন্ধ হতে চায় না সাধারণত জরায়ুর টিউমারের কারণে।

এছাড়াও গর্ভধারণের সমস্যা এবং তলপেটে ব্যথা জরায়ু টিউমারের অন্যতম লক্ষণ। জরায়ুর টিউমার সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা নিচের অংশে আলোচনা করব। আপনারা যারা এই সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই মেডিকেল রিলেটেড গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদের এই অংশগুলো থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

জরায়ুর টিউমার হলে কি কি সমস্যা হতে পারে

জরায়ুর মুখে টিউমার হলে সাধারণত যে ধরনের সমস্যা হবে সেগুলো নিয়ে এই অংশে আলোচনা করা হবে। সবার প্রথমে এখানে টিউমার হলে যে আশঙ্কা করা হয় সেটা হচ্ছে ক্যান্সার। যে রোগীগুলোর এই টিউমার ধরা পড়ে তাদের সবার প্রথমে ক্যান্সারের টেস্ট করানো হয় অর্থাৎ বায়োপ্সি টেস্ট করানো হয়।এখানে টিউমার হলে আরেকটি সমস্যা হয় সেটা হচ্ছে গর্ভধারণের সমস্যা। সাধারণত বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রেই জরায়ুর টিউমার হলে সে আর গর্ভবতী হতে পারে না। এটা বড় ধরনের একটি সমস্যা মেয়েদের জন্য।

এছাড়াও জরায়ুর টিউমার হলে যে সমস্যা বড় আকার ধারণ করে সেটা হচ্ছে অনিয়মিত মাসিক এবং প্রচুর পরিমাণে রক্ত বেরিয়ে যাওয়া। এমনিতে সেখানে সংক্রমনের সমস্যা আছে তার ওপর সম্ভাবনা আছে অতিরিক্ত পরিমাণে শরীর থেকে রক্ত বের হয়ে যাওয়ার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং রক্তশূন্যতায় পড়া।

মেয়েদের জরায়ুর টিউমার কেন হয়

জরায়ুর টিউমার বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যাদের বয়সন্ধিকাল থেকেই মাসিকের সমস্যা আছে এবং সারা জীবন এটা বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে জীবনের শেষ সময়ে এসে সেখানে ইনফেকশন হতে পারে।এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর মাধ্যমে এটা ছড়াতে পারে। এর জন্য প্রত্যেক নারীকে যতটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।সন্তান প্রসবের সময় যদি সেখানে কোন ধরনের ইনফেকশনের সৃষ্টি হয় তাহলে সেখান থেকেও পরবর্তীতে জড়ায় টিউমার এবং জরায়ুর ক্যান্সার তৈরি হতে পারে।

জরায়ুর টিউমারের চিকিৎসা

এই রোগের চিকিৎসা একেবারেই সাধারণ। প্রথমে পরীক্ষা করতে হবে সেখানে ক্যান্সারের ভাইরাস আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে অপারেশন করতে হবে জরায়ুর টিউমারের এবং সেখান থেকে টিউমার অপসারণ করতে হবে। তবে কোন কোন মেয়েদের ক্ষেত্রে যদি এই ইনফেকশন পুরো জরায়ুতে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে দুঃখজনকভাবে পুরো জরায়ু অপসারণ করতে হয়। শুনতে বিষয়টা খারাপ লাগলেও এটাই বাস্তবতা।