সাধারণত আমাদের শরীরে যে কোন অংশে টিউমার হতে পারে। যদি সেটা শরীরের উপরের অংশের দিকে হয় তাহলে তো খুব ভালো তার কারণ হচ্ছে সেটা আমরা সহজেই খুঁজে পাবো এবং তার চিকিৎসা সহজে করতে পারবো। সাধারণত মাথা এবং ঘাড়ে যে টিউমার গুলো হয় সেগুলোকে ম্যালিগনেট টিউমার হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত গলা মুখ নাক এবং সাইনাসের মধ্যে বা তার আশেপাশে এই টিউমার হতে পারে এবং মাথা ও ঘাড়ের টিউমারের একটি গ্রুপ বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত হয় যা বেশিরভাগ এর ওপরই অ্যারোডিজেস্টিভ ট্রাক্টের পৃষ্ঠা স্তর থেকে উদ্ভূত হয়।
তবে যদি এই ধরনের কোন টিউমার হয় তাহলে কিভাবে বুঝবেন বা এর চিকিৎসা কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে আজকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। তার কারণ হচ্ছে টিউমার থেকে ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে তাই যদি ঘাড়ে বা ঘাড়ের আশেপাশে টিউমার ধরা পড়ে, তাহলে অবশ্যই তার চিকিৎসা করাতে হবে। বেশ কয়েক ধরনের টিউমার আছে মাথা ও ঘাড়ের আশেপাশে তাই চেষ্টা করতে হবে যেন এই ট্রিমার গুলো সঠিকভাবে চিকিৎসার আওতায় আনা হয়
ঘাড়ে টিউমার হলে করণীয়
সাধারণত মাথা এবং ঘাড়ের টিউমারের জন্য সবথেকে বেশি চিন্তায় থাকেন রোগীরা। তার কারণ হচ্ছে এগুলো সহজেই চোখের সামনে দেখা যায় যার কারণে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করার প্রয়োজন রয়েছে। সাধারণত এই টিউমার যদি ধরা পড়ে তাহলে সবার প্রথমে এটা নিশ্চিত হতে হবে এটা টিউমার কিনা। তোমার যদি নিশ্চিত হওয়া যায় তারপরে এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং এর চিকিৎসার জন্য আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
মানব শরীরে এমন কিছু টিউমার আছে যেগুলোকে অপসারণের প্রয়োজন রয়েছে তার কারণ হচ্ছে সেগুলো ক্যান্সারের ভাইরাস বহন করে তবে যদি এমন কিছু টিউমার আছে যেগুলো কোন ক্যান্সারের ভাইরাস বহন করে না সেগুলো মানব শরীরে থাকলেও সমস্যা নেই। তবে আমার মতে যেকোনো ধরনের টিউমারকে অপসারণ করা উচিত এবং তার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই টিউমার গুলো সঠিক টিউমার কিনা এবং সেখানে ক্যান্সারের ভাইরাস আছে কিনা সেটা নির্ণয়ের জন্য বায়োপসি পরীক্ষা করা উচিত
ঘাড়ের টিউমারের হোমিও চিকিৎসা
আদিকাল থেকেই হোমিও চিকিৎসা বাংলাদেশের হয়ে আসছে এবং বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধানে অনেকেই হোমিও চিকিৎসার ওপর বিশ্বাস রাখেন। ঘাড়ে টিউমার চিকিৎসায় হোমিও চিকিৎসা বহু আগে থেকে বাংলাদেশের ব্যবহার হয়ে আসছে এবং এর ফলাফল বেশ ভালো। সাধারণত হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে এই টিউমার গুলোকে বসিয়ে দেওয়া হয় যা অকার্যকর হয়ে যায়। তবে অবশ্য সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে রোগীকে নিজে তার কারণ হচ্ছে এ টিউমার গুলো যদি আবার পুনরায় ফিরে আসে তাহলে সেটা ক্যান্সারের ভাইরাস নিয়ে ফিরে আসতে পারে তাই অবশ্যই সব সময় সতর্ক অবস্থানে থেকে রিক্স গ্রহণ করতে হবে।সঠিক চিকিৎসা না পেলে অনেক সময় রোগী মারাও যেতে পারে তাই চেষ্টা করতে হবে সঠিক চিকিৎসার জন্য সঠিক চিকিৎসকের কাছে যেতে। মাথা এবং ঘাড়ে টিউমার গুলো সহজে বোঝা যায় তাই চেষ্টা করতে হবে অপারেশনের মাধ্যমে এগুলোকে অপসারণ করতে।
টিউমার চেনার উপায়
টিউমার চেনার জন্য আলাদাভাবে কিছু করতে হয় না টিউমার এমনিতেই বোঝা যায় তবে কিছু কিছু টিউমার আছে যেগুলো ধরন যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে এর জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। লাইপোমা নামক একটি টিউমার মানব শরীরে হয়ে থাকে এটা এমন একটি মানব শরীরে সারা জীবন থাকলেও সেটাতে কোন ক্যান্সারের ভাইরাস থাকবে না। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত হতে হবে এ টিউমার বাদে অন্য যে টিউমার গুলো আছে সেগুলো ক্যান্সারের ভাইরাস আছে কিনা এবং যদি থাকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটা অপসারণ করে নিতে হবে।