প্রোস্টেট বড় হওয়ার লক্ষণ

সাধারণত পোস্টেড বড় হওয়ার যে লক্ষণগুলো রয়েছে সেই লক্ষণ গুলোর মধ্যে প্রধান লক্ষণ হচ্ছে প্রস্রাবের সমস্যা। প্রোস্টেট গ্রন্থি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্বল হতে শুরু করে এবং সেটা এমন একটি সময় বেশি দুর্বল হয় যখন বয়স অনেক বেশি। এ সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে প্রোস্টেট গ্রন্থি অতিরিক্ত বৃদ্ধি না পায়। তবে কোন অবসর্গের মাধ্যমে একজন রোগী বুঝতে পারবে প্রোস্টেট গ্রন্থির কোন সমস্যা আছে কিনা সেই উপসর্গ নিয়ে আজকে কথা বলব।

প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে সাধারণত যে সমস্যা হয় তার মধ্যে একটি হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ। কেউ এইমাত্র প্রস্রাব করে আসলো কিন্তু আবার সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হচ্ছে এটা পোস্টেড সমস্যা একটি লক্ষণ। শুধুমাত্র যে প্রস্রাবের চাপ হচ্ছে এমন নয় আপনি যদি পুনরায় আবার প্রস্তাব করতে যান তাহলে তখন খুব ভালোভাবে প্রসাব হয় না অর্থাৎ যে চাপ অনুভূত হয় সেই চাপ অনুযায়ী প্রস্রাবের যে গতি থাকবে বা প্রস্রাবে যে পরিমাণ থাকবে সেটা হয় না।

অনেক সময় দেখা যায় যে এর কারণে প্রস্তাব খুব অল্প অল্প করে বের হয় এমন সময় কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে এটাও দেখা গেছে যে প্রস্রাব ফোটায় ফোটায় পড়ছে আবার কারো প্রস্রাব একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।এরকম সমস্যা যদি কারো থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ধরে নিতে হবে প্রোস্টেট বড় হয়ে গেছে যার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য অবশ্যই আপনাকে এর সঠিক চিকিৎসা করাতে হবে এবং একজন নিউরোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ কাছে যেতে হবে।

প্রোস্টেট এর সমস্যা কেন হয়

সাধারণত এই সমস্যা হওয়ার আলাদা কোনো কারণ নেই এটা বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হয়ে থাকে। সাধারণত কম বয়সে যদি প্রসব ের চাপ অতিরিক্ত থাকে এবং যারা সঠিক সময় প্রস্তাব না করতে চায় তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনের কারণেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বুঝতে হবে কেন এই সমস্যা হচ্ছে এবং এর জন্য কি করা উচিত।

প্রোস্টেট টিউমার হওয়ার কারণ

সাধারণত টিউমার এমন একটি জটিল সমস্যা যেটা ক্যান্সারের ভাইরাস বহন করে। সঠিক সময়ে টিউমার ধরতে পারা এবং তার চিকিৎসা করা অত্যন্ত জরুরী। সঠিক সময়ে যদি টিউমার ধরতেন না পারা যায় এবং তার সঠিক চিকিৎসা না করা যায় তাহলে এখান থেকে ক্যানসার ছড়াতে পারে। এর জন্য অবশ্যই সঠিক সময়ে টিউমার ধরার চেষ্টা করতে হবে এবং টিউমারের যে কারণ থাকে তার মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে ইনফেকশন।

যদি দীর্ঘদিন ধরে কারো প্রসাবের ইনফেকশন থাকে তাহলে সেখান থেকে প্রোস্টেট ইনফেকশন হতে পারে এবং যার মাধ্যমে টিউমার হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের আঘাত আরো অন্যান্য কারণ আছে যেমন পোস্টেদের যে ডিএনএ আছে কোন কারনে তার পরিবর্তন হলে এবং এই অবস্থাতে যদি কোষ মৃত না হয়ে সেটা খারাপ কোষে রূপান্তর হয় তাহলে সেখান থেকে ক্যান্সার তৈরি হয়।

প্রোস্টেট টিউমার এর চিকিৎসা

এখানে এর চিকিৎসা প্রধানত অপারেশন। যদি সমস্যা ধরা পড়ে তাহলে বসে না থেকে অপারেশন করাতে হবে। অপারেশন হচ্ছে সবথেকে ভালো উপায় এই সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে তার কারণ হচ্ছে আপনি যতই একে পুষে রাখবেন এটা বড় হতে থাকবে এবং এটা যতই বড় হবে তত ক্যান্সারে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে কোন প্রশ্নই ওঠে না এটা অপসারণ না করানোর তাই যত দ্রুত সম্ভব এটা অপারেশন করে শরীর থেকে অপসারণ করতে হবে।

এটা সবথেকে ভালো উপায় তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কারণে এটাকে কিছুদিন ঔষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তবে শেষমেষ চিকিৎসা করতে হবে এবং চিকিৎসা করতে হবে ভালোভাবে যাতে করে সম্পূর্ণ টিউমার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।