আমাদের শরীরের যে কোন অঙ্গে যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং এই সমস্যার সমাধান করা আমাদের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের পরীক্ষা করার জন্য আমাদের জন্য রোগ বালাই সৃষ্টি করেছেন। তিনি পবিত্র কোরআনে এটা উল্লেখ করে দিয়েছেন যে আমাদের সেই রোগ বালাই ভালো করার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রাখতে হবে। আমরা যদি এই চেষ্টাটা করি তাহলে অবশ্যই সুস্থ হতে পারবো।
আজকে আমরা কথা বলছি মূত্রথলির পাথর নিয়ে যেটা অত্যন্ত সাংঘাতিক রোগ ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে। তবে এই রোগের ক্ষেত্রে ছেলেরা এগিয়ে আছে অর্থাৎ মূত্রথলির পাথর হয় ছেলেদের বেশি মেয়েদের কম। পুত্রথলির পাথর হলে কিভাবে বোঝা যাবে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি প্রাথমিক অবস্থাতে এটা বুঝতে না পারেন তাহলে সেটা আপনার দুর্বলতা তবে অবশ্যই বুঝতে হবে কেন এটা হয়েছে সে সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হচ্ছে।
কিভাবে বুঝবেন মূত্রথলিতে পাথর হয়েছে
যাদের সাধারণত মূত্রথলিতে পাথর হয় তাদের প্রস্রাবের নানা ধরনের সমস্যা হয়। এখানে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হতে পারে প্রাথমিক লক্ষণ এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার সঙ্গে প্রস্রাবের অতিরিক্ত দুর্গন্ধ মূত্রথলির পাথরের একটি লক্ষণ। এছাড়াও তলপেটে অত্যাধিক যন্ত্রণা এবং ব্যথা অনুভূত হতে পারে এটাও মূত্রথলিতে পাথর হওয়ার একটি পূর্ব লক্ষণ। একটি বিষয় আপনাদের জানিয়ে রাখি দু-একটা লক্ষণ সাধারণত একটি রোগকে নির্দেশ করে না একই সঙ্গে চার থেকে পাঁচটি লক্ষণ যখন ধরা পড়ে তখনই মূলত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এই রোগগুলোর বিষয়।
মূত্রথলির পাথরের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে প্রস্রাবের বেগ কমে যাওয়া এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসার পরেও চাপের তুলনায় প্রস্রাব কম হওয়া। এই অবস্থাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোগীকে এই বিষয়গুলো বোঝা। এটা যত তাড়াতাড়ি রোগী বুঝতে পারবে তত ভালো তার কারণ হচ্ছে এই পাথরগুলো যদি আগের দিকে ধরা পড়ে তাহলে সেগুলো ওষুধের মাধ্যমে নষ্ট করা যায়
মুত্র থলিতে পাথর হলে করণীয়
যদি কারো মূত্রথলির পাথরে ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই সেটা দুশ্চিন্তার কারণ তবে এই অবস্থাতে মানসিক শক্তি যে ধরে রাখতে পারে সেই যেতে পারে। প্রাথমিক অবস্থাতে মূত্রথলিতে যদি পাথর ধরা পড়ে তাহলে সেটা খুব ছোট অবস্থাতে থাকে এবং এই অবস্থাতে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ১০০ পার্সেন্ট। যদি পাথর এর আকৃতি বড় হও তাও কোন সমস্যা নেই তাও সুস্থ হওয়া যাবে তাই এখানে এমন কোন ভয়ের কোন কারণ নেই।
তবে সবার প্রথমে আপনাকে একজন ইউরোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দেখাতে হবে এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে পাথরের অবস্থান কোথায় এবং পাথরের সাইজ কত বড়। সাইজ ছোট থাকলে চিকিৎসকের অবশ্যই কিছু ঔষধ দেবেন এবং কিছু খেলাধুলা করতে বলবেন এবং নিয়মিত পরিমাণ মাথায় পানি খেতে বলবেন এর মাধ্যমে সেগুলো বেরিয়ে যেতে পারে। তবে যদি পাথরের সাইজ অনেক বড় থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে সবথেকে বড় উপায় হচ্ছে অপারেশন করা।
ভয় করার কিছু নেই বর্তমানে ল্যাপারোস্কপি সার্জারির মাধ্যমে পেটে সাধারণত তিনটি ফুটা করে সেখান থেকেই মূত্রথলির পাথর অপসারণ করানো হচ্ছে। এই অপারেশনের খরচ ততটাও ব্যয়বহুল নাই সাধারণ মানুষের পক্ষেও এটা করা সহজ তাই দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।
মূত্রথলির পাথর চিকিৎসা
মুত্র থলিতে পাথর হলে প্রথমে চিকিৎসা নিতে হবে ওষুধের মাধ্যমে সেটাকে ভালো করার। যদি সম্ভব না হয় তাহলে যে কাজটি আপনি করতে পারেন সেটা হচ্ছে অপারেশন করিয়ে নেন। অনেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়। হোমিওপ্যাথি ওষুধের মাধ্যমে এই পাথরগুলো থেকে মুক্ত হতে পেরেছেন এমন যদি কেউ থাকেন তাহলে অবশ্যই তার অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন যাতে করে এর উপর বিশ্বাস আমাদের আরো বাড়ে।