মহিলাদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হন শুধুমাত্র পুরুষেরা এটা ভুল ধারণা। যদিও পুরুষদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার রোগীর সংখ্যা বেশি তারপরেও মহিলাদের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার রোগীর সংখ্যা দেখতে পাওয়া যায়। মহিলাদের মধ্যে এই ব্লাড ক্যান্সারের বিস্তৃতি ব্যাপক আছে তবে প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে যদি এই চিকিৎসা করা হয় তাহলে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটা বুঝতে পারা যে কারো ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে এবং সেটা সঠিক সময় বুঝতে পারা।

আমরা অবশ্যই অবগত আছি যে ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যুগ উপযোগী এমন কোন ঔষধ বের হয়নি যেই ওষুধের সরাসরি প্রয়োগে সেটা পুরোপুরি নির্মূল হবে। ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোগ নির্ণয় করা যে যত বেশি আগে রোগ নির্ণয় করতে পারবে তার সুস্থ হওয়ার হার ততই বাড়বে। সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে ক্যান্সারের প্রাথমিক যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় সে সম্পর্কে এখন কথা বলব। মহিলাদের ক্যান্সারের যে লক্ষণ গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে বেশি আলোচনা করা হলো।

মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সার এর প্রাথমিক লক্ষণ

মহিলাদের মধ্যে ক্যান্সারে যে প্রাথমিক লক্ষণগুলো রয়েছে সেগুলো জানতে পারা অত্যন্ত জরুরী। সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে শরীরের কিছু পার্থক্য আছে পুরুষদের চেয়ে যার কারণে এখানে কিছু বিষয় আলাদাভাবে বোঝা যায় তাছাড়া সব কিছুই প্রায় এক।

সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটা বুঝতে পারা তার শারীরিক দুর্বলতা। প্রথমে যেই উপসর্গ ধরা পড়তে পারে সেটা হচ্ছে শারীরিক দুর্বলতা এবং সেটা বুঝতে পারা অত্যন্ত জরুরী। শারীরিক দুর্বলতা এতটাই বেশি হবে যে সেই রোগী ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারবে না ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। এই সময় হঠাৎ করে রোগীর রক্তশূন্যতা দেখা যাবে এবং রক্তশূন্যতা অনেক বেশি হবে যার কারণে তার চেহারা দেখতে একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে যাবে।

মেয়েদের ক্ষেত্রে ক্যান্সার হওয়ার আরেকটি বড় লক্ষণ হচ্ছে হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া। যদি কারো হঠাৎ করে ওজন কমে যায় এবং তার সঙ্গে ক্যান্সারের আরো কিছু উপসর্গ থাকে তাহলে ভেবে নিতে হবে অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সারের কারণে এটা হচ্ছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ব্লাড ক্যান্সারের আরো কিছু লক্ষণের মধ্যে একটি লক্ষণ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথা হওয়া বিশেষ করে হাড়ের আশেপাশে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই ব্যথার পরিমাণ আরও বেশি হবে এবং কোন কোন মেয়েদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে মাথায় ব্যথা বা তলপেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

অনেকের আরো ধরনের অনেক সমস্যা হতে পারে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো এই সমস্যাগুলো আগে চিহ্নিত করা। আমাদের দেশের মেয়েদের ক্ষেত্রে রোগ গোপন করাটা একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে কিন্তু এই অবস্থাতে যদি সে তার রোগ গোপন করে লজ্জাতে বসে থাকে তাহলে সেটা তার জন্য মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। তাই আপনি যদি সতর্ক হয়ে থাকেন তাহলে নিজেকে বাঁচানোর স্বার্থে হলেও সঠিক সময় আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

মেয়েদের ক্যান্সারের চিকিৎসা

মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা হয়ে থাকে। শুরুতে ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হয় আলাদা আলাদা পরীক্ষা এবং পরে ক্যান্সার চিকিৎসা নিরাময়ের জন্য আলাদা আলাদা চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে কমন কিছু পদ্ধতি আছে যেমন মনে করুন কেমোথেরাপি থেকে শুরু করে রেডিও থেরাপি এবং সার্জারি এই তিনটি চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয়ে সাধারণত একটি বড় ধরনের চিকিৎসা প্রচেষ্টা চালানো হয়। যদি সবকিছু ভালো থাকে তাহলে কিছু সংখ্যক মহিলা এই সমস্যা থেকে বেঁচে ফিরে আসতে পারেন যেটা সত্যি অবাক করা ঘটনা। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।