ক্যান্সার হচ্ছে মরণঘাতী একটি রোগ। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসতে পারে তাদের মতন ভাগ্যবান হয়তো এই পৃথিবীতে আর নেই। আল্লাহ তাআলা নিজের হাতে যেন তাকে সুস্থ করে বাড়িতে ফিরিয়ে দেন। অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সার পৃথিবীর সবথেকে বড় রোগ গুলোর মধ্যে একটি যেটাতে আক্রান্ত হলে সরাসরি ঔষধের মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার কোন ঔষধ এখন পর্যন্ত বের হয়নি। ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সবথেকে খারাপ দিক হচ্ছে এই ক্যান্সারের কোষ রক্তের মাধ্যমে শরীরের পুরো জায়গাতে ছড়িয়ে পড়ে যেটা সবথেকে বড় সমস্যা।
ব্লাড ক্যান্সার সাধারণত লোহিত রক্তকণিকা থেকে হয় এবং এই রোগ যে কোন বয়সের মানুষের মধ্যেই হতে পারে। আজকে আমরা এই ব্লাড ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব আশা করছি এগুলো জানতে পারার পরে আপনারা আগে থেকে সতর্ক থাকবেন। তবে যে জিনিসটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে ব্লাড ক্যান্সারের প্রতিরোধ সমাজে এবং আমাদের পরিবারে গড়ে তোলা এতে করে একটি পরিবার যাতে ধ্বংস না হয় সেদিকে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।
কিভাবে বুঝবেন ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে
সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার হলে যে উপসর্গ বা লক্ষণগুলো দেখে আপনি বুঝতে পারবেন কারো ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে আমরা এখন আপনাদের ধারণা দেব। সঙ্গে থাকুন এবং গুরুত্ব সহকারে প্রত্যেকটি লক্ষণ মাথায় ঢুকিয়ে নিন।
মূলত এই অবস্থাতে রোগীর রক্তস্বল্পতা দেখা দেবে এবং রক্তস্বল্পতার কারণে রোগী এতটাই শারীরিক দুর্বল হয়ে যাবে যে সে কোন কাজ ঠিকভাবে করতেও পারবেনা এবং ঠিকভাবে খেতেও পারবেনা। এই অবস্থাতে তার খাওয়া প্রচুর পরিমাণে কমে যাবে কিছু কিছু রোগী একেবারে খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে এবং আরো অসুস্থ হয়ে যাবে।
এখানে আরো যে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ আছে সেটা হচ্ছে বুক ধরফর করা এবং পায়ে পানি জমা এর পাশাপাশি শরীরের রং ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া এটা মূলত রক্ত শূন্যতার কারণে হবে। সব উপসর্গ যখন একসঙ্গে দেখা যাবে তখন অবশ্যই নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
এছাড়াও ব্লাড ক্যান্সারের যে আরো প্রাথমিক উপসর্গ রয়েছে তার মধ্যে দীর্ঘদিন জ্বর বা ঘন ঘন জ্বর। দীর্ঘদিন ধরে জ্বর কিন্তু সেটা ভালো হয় না এবং ঘন ঘন জ্বর সেটাও ভালো হয় না এরকম লক্ষণ যদি কারো থাকে এর সঙ্গে অন্যান্য লক্ষণ যদি থাকে তাহলে অবশ্যই সন্দেহজনক।হঠাৎ করে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ অর্থাৎ শরীরের কোথাও যদি কেটে যায় অথবা যেকোনো জায়গা দিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হতে পারে এটা ব্লাড ক্যান্সারের আরেকটি লক্ষণ।
লিভার এবং প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া ও গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়ার মতন গুরুতর প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে ব্লাড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। হাড়ের ব্যথা এবং ওজন কমে যাওয়া ব্লাড ক্যান্সারের আরো কিছু প্রাথমিক লক্ষণ যেগুলো আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারব।
ব্লাড ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে
অনেকে জানতে চেয়েছেন ব্লাড ক্যান্সার হলে একজন রোগী কত দিন বাঁচতে পারে মূলত এটা নির্ভর করছে রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে চিকিৎসা করে দেখা যেতে পারে তার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কত রয়েছে তবে যদি এই পর্যায়ে আরো পরে ধরা পড়ে তাহলে নিশ্চিতভাবে সেই রোগী মারা যাবে। এখন সে কতটুকু খরচ করতে পারছে তার উপর নির্ভর করে তার বেঁচে থাকা অর্থাৎ কেমোথেরাপি এবং রেডিও থেরাপির মাধ্যমে তাকে কতক্ষণ বাঁচিয়ে রাখা যাবে সেটা কেউ বলতে পারবে না।
ব্লাড ক্যান্সারের রিপোর্ট
ব্লাড ক্যান্সারের রিপোর্ট এটা অনেক মূল্যবান একটি রিপোর্ট তার কারণ হচ্ছে এটার সঙ্গে একজন মানুষের জীবন মরণের অনেক কিছুই জড়িত। যারা গোপনে এই রিপোর্ট কেমন হয় সেটা দেখতে চান তাদের জন্য আমরা কিছু ছবি সংগ্রহ করেছি আপনারা চাইলে সেই ছবির মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সারের রিপোর্ট বা ব্লাড ক্যান্সার পজেটিভ এরকম কোন রিপোর্ট সম্পর্কে সং জানতে চান তাহলে অবশ্যই ছবিগুলো google.com এই লিংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করুন।