ব্রেস্ট টিউমার এর লক্ষণ

সাধারণত যাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হয় তাদের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে যদি লক্ষণ গুলো আমরা বুঝতে না পারি তাহলে অবশ্যই সেটা অনেক বড় ধাক্কা। সবার প্রথম আমাদের এই লক্ষণগুলো খুঁজে বের করতে হবে আমরা যদি এই লক্ষণগুলোকে খুঁজে বের করতে পারি তাহলে এই বড় ধরনের রোগকে জয় করতে পারবো। ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লক্ষণ বের করা। আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের সেই সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেবে।

প্রাথমিক লক্ষণ এর মধ্যে প্রথমে রয়েছে বুকের দুধ ছাড়া স্তন বৃত্ত থেকে অস্বাভাবিক তরল স্রাব নির্গত হওয়া একটি হচ্ছে প্রাথমিক লক্ষণ। এটা একেবারেই প্রাথমিক লক্ষণ যেটা ইসলাম ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কমন।অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে স্তনের রং লাল হয়ে যাওয়া এবং স্তনবৃত্ত ও স্তনের চামড়া কোষার মতো হয়ে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হতে পারে স্তন ক্যান্সারের জন্য। অবসর মাথায় রাখতে হবে যে এই অবস্থাতে খুব বেশি দেরি করা যাবে না।

হঠাৎ করে যদি কারো স্থানের রং লাল হয়ে যায় অথবা স্থানের আকৃতি বা আকারের পরিবর্তন হয় তাহলে এটা ক্যান্সারের আরেকটি লক্ষণ। এ অবস্থাতে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

স্তন বৃদ্ধ থেকে হঠাৎ করে রক্তক্ষরণ এই প্রাথমিক লক্ষণ যদি দেখা যায় তাহলে অবশ্যই বাড়িতে বসে থাকা যাবে না। সাধারণত এই অবস্থাতে অনেক সময় দেখা যায় কোন কোন ক্ষেত্রে স্তনে চাকা অথবা অক্সিলারি বা বগলে চাকা দেখা যেতে পারে। এই চাকা দেখতে পাওয়ার কারণে অনেকেই এটাকে চর্মরোগ হিসেবে ধরে নিতে পারেন কিন্তু চর্ম রোগের চিকিৎসার সঙ্গে আপনাকে অবশ্যই স্তন ক্যান্সারের বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে হবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য।

ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কি করবেন

বেস্ট ক্যান্সারে সব থেকে বেশি মহিলা মারা যাচ্ছে। এই সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য সবার প্রথমে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং সেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারেন আপনি আপনার পরিবার এবং আপনার বাড়ি থেকে। আপনার যদি এই সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তাহলে সবটুকু জ্ঞান নিজের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিন। বাংলাদেশে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা অনেক কম যার কারণে লজ্জায় পড়ে অনেকেই নিজের সমস্যার কথা অন্যকে বলতে পারেনা এবং আস্তে আস্তে রোগে আক্রান্ত হয়।

সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মেয়েদের আগে থেকে নিজের খাদ্যাভ্যাস এবং নিজের কিছু অভ্যাস আছে যেগুলোকে পরিবর্তন করতে হবে যার মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রতিরোধ গড়ে তোলা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে খাবারের অভ্যাস। খাবারের মধ্যে কিছু খাবার আছে যেগুলো মেয়েরা খেতে পারে এই ক্যান্সার প্রতিরোধে। সাধারণত এমন কিছু খাবার বা এমন কিছু শাকসবজি আছে যেটাকে বলা হয় রঙিন শাকসবজি যেটা নিয়মিত খাওয়ার ফলে রেস ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়াও নিয়মিত চিকিৎসক দেখানো এবং যেকোনো সমস্যা হলে সেটা সকলের সামনে খুলে বলতে পারাটা অত্যন্ত জরুরী।

ব্রেস্ট ক্যান্সার এর চিকিৎসা

বাংলাদেশে এখন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি এবং সবথেকে দুঃখজনক বিষয় হলো প্রতিনিয়তই এই সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি এর প্রতিরোধ ঘরে ঘরে গড়ে তোলা না যায় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এটা আরো বড় ধরনের ক্যান্সার রূপান্তর হতে পারে। ব্রেস্ট ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় একটি পদ্ধতি হচ্ছে থেরাপি অন্য একটি পদ্ধতি হচ্ছে সার্জারি এবং আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে রেডিওথেরাপি।

মেন চিকিৎসায় হচ্ছে সার্জারি তবে সার্জারির আগে এবং পরে কেমোথেরাপি দেওয়া হয় ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ গুলোর পরিধি কমিয়ে আনতে এবং কোষগুলোকে একত্রিত করে সেখানে সার্জারি করে সেই কোর্সগুলো শরীর থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করতে। এর বাইরে ব্রেস্ট ক্যান্সারের আর কোন চিকিৎসা নেই তার কারণ হচ্ছে সরাসরি ব্রেস্ট ক্যান্সার এর কোষ কে মারতে পারে এমন কোন ঔষধ এখন পর্যন্ত বের হয়নি।