প্রাথমিকভাবে কিছু লক্ষণের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার চিহ্নিত করা হয়। তবে এই রোগ সম্পর্কে আমাদের সাধারন মানুষের ধারণা খুব কম তাই আমরা বুঝতে পারি না এটা কোন রোগ। আমরা মনে করি গ্যাস বা অন্য কারণে পেটের ব্যথা হচ্ছে এবং সেটাকে যখন অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে নিয়ে যায় তখনই কেবলমাত্র আমরা চিকিৎসকের কাছে যাই। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই রোগ নিয়ে কোন সচেতনতা নেই তার কারণ হচ্ছে এই রোগ নিয়ে প্রচারমূলক কোন ব্যবস্থা নেই।
যদি আমরা এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতাম তাহলে আগেই সতর্ক হতাম যার কারণে আমাদের এত পরিমানে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা থাকতো না। যার এ সমস্যা হয়েছে তারা কিছু লক্ষণ বুঝতে পারবেন যার মাধ্যমে তার পেটের সমস্যা সম্পর্কে অবগত হবেন। নিচের অংশে সরাসরি উপসর্গগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ
এই রোগের প্রাথমিক যে লক্ষণ আছে সেগুলো হচ্ছে খাবারের সমস্যা বা হজমে সমস্যা। আমাদের ক্ষুধা লাগলে আমরা খেতে বসি এবং যে পরিমাণে ক্ষুধা লাগে আমরা সেই পরিমাণেই খেয়ে উঠি। কিন্তু হঠাৎ করে যদি খোদার পরিমাণ কমে আসে এবং খেতে বসলে অল্প খাওয়াতেই পেট ভরে যায় এরকম মনে হয় তাহলে সেটা সন্দেহজনক।
এরকম রোগীদের আরো সমস্যা হয় অল্প খাবার পরেও যখন খাওয়া ছেড়ে ওঠা হয় তখন কেন জানিনা অস্বস্তি কাজ করে এবং এর পাশাপাশি কাজ করে পেট ফুলে ওঠার মতন প্রবণতা। মনে হচ্ছে পেট ফুলে উঠছে।। এছাড়াও হঠাৎ করে পেট জ্বলা এবং পেটে ব্যথা হতে পারে এই ধরনের সমস্যার কারণে। এছাড়াও বদহজম হওয়া এবং এটা নিয়মিত হওয়া এরকম যদি সমস্যা থাকে তাহলে আপনাকে দেরি করা যাবে না। এরকম সমস্যা হলে যতটা দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তার কারণ হচ্ছে ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে সেটা অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ফ্যাটি লিভার হলে কিভাবে বোঝা যায়
ফ্যাটি লিভার হলে বোঝার জন্য প্রথমে উপসর্গগুলো গুরুত্বপূর্ণ। উপসর্গগুলো আমরা পড়ে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছি। এই উপসর্গগুলো ধরা পড়ার পরে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে যার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে ফ্যাটিলিভার সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। সবার প্রথমে যেই পরীক্ষার মাধ্যমে ফ্যাট লিভার ধরা পড়ে সেটা হচ্ছে আলট্রাসনোগ্রাফি।
পেটের ব্যথা এবং পেটের জ্বালাপোড়া নিয়ে যখন রোগী চিকিৎসকের কাছে যায় তখন অবশ্য চিকিৎসক আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে বলেন। আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ে কিন্তু এই ফ্যাটি লিভারের আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা আছে। রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া এর গ্রেট কত পর জায়গা আছে এছাড়াও এমআরআই অথবা সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার এর পরিধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ফ্যাটি লিভারের পরীক্ষা
ফ্যাটি লিভারের পরীক্ষার মধ্যে সবার প্রথমে সোনোগ্রাফি আছে। সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে পেটের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যায় রোগীরা এবং পেটের সমস্যা খোঁজার জন্য চিকিৎসক যখন আলট্রাসনোগ্রাফি করেন তখন সেই রিপোর্টে ধরা পড়ে ফ্যাটি লিভার। সাধারণত এই রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোন ধারণা নেই তাই তারা বুঝতেই পারে না এটা কোন সমস্যা কিন্তু চিকিৎসকের অবশ্যই বুঝতে পারেন।
সাধারণ চিকিৎসাতে রোগী সুস্থ না হওয়ার কারণে চিকিৎসকেরা চেষ্টা করে পরবর্তীতে বড় ধরনের পরীক্ষা করতে যেখানে সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই এর প্রয়োজন রয়েছে। এরপরে রক্তের টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় ফ্যাটি লিভারের গ্রেড কত। সঠিক গ্রেড নির্ণয়ের পরে ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা শুরু করা হয় যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে এই চিকিৎসা করতে পারলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তবে যদি অবহেলা শুরু করা হয় তাহলে সেখান থেকে কখনোই মুক্তি পাওয়া যাবে না।