আপনি যদি আপনার হার্ট ভালো রাখতে পারেন তাহলে আপনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুস্থ থাকতে পারবেন। তবে এটা যদি দুর্বল হয়ে যায় তাহলে সেটা অস্বাভাবিক একটি কারণ এবং এর কারণে শরীরে আরো বড় বড় রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করবে। কেন এই হার্ট দুর্বল হয়ে যায় এবং কিভাবে সেটা বুঝতে পারা যাবে সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হচ্ছে। অবশ্যই এই আলোচনা থেকে আপনারা এই বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন যেটা আমাদের হার্টের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করবেন।
বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনা করে এবং সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয় প্রতিটি পরিবারের এবং প্রত্যেকটি সমাজে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর একটি উদাহরণও পাওয়া যায় না তাই আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের এখানে কিছু সঠিক তথ্য দিতে যার মাধ্যমে একটু হলেও আমরা এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে আপনাদের পাশে থাকতে পারি। এখন যে লক্ষণ গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব সেই লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে একজন রোগী বুঝতে পারবে তার হার্টের অবস্থা একটু খারাপ।
হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া অর্থাৎ সাধারণভাবে যে হৃদ স্পন্দন আমাদের ছিল সেটা আস্তে আস্তে বেড়ে যাবে এই হার্টের দুর্বলতার কারণে। এটা সাধারণত রোগীর পক্ষে বোঝা সম্ভব না হলেও যদি নিয়মিত চেকআপে একজন চিকিৎসকে দেখানো হয় তাহলে সেটা বোঝা যায় সেক্ষেত্রে পাল স্ট্রেট ৬০ থেকে ১০০ এর ভিতরে থাকলে তেমন কোন সমস্যা নেই। তবে এই পালস রেট যদি ৬০ এর নিচে নামতে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই দুশ্চিন্তার কারণ এবং এর কারণে হার্টের দুর্বলতা প্রকাশ পেতে পারে।
হার্টের দুর্বলতা ধরার জন্য আরেকটি কারণ চিহ্নিত করা যেতে পারে সেটা হচ্ছে ক্লান্তি। সারাদিন কাজ করার পর ক্লান্তি আসতে পারে তবে সেই ক্লান্তি যদি ঘন ঘন হয় এবং ক্লান্তির কারণে শরীর অনেক বেশি দুর্বল মনে হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে সেটা হার্ট দুর্বল হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ।
হার্ট দুর্বল হওয়ার আরেকটি লক্ষণের মধ্যে বুকে ব্যথা হওয়া আরেকটি ব্যাপার। সাধারণত যাদের বুকে ব্যথা হয় তাদের যদি হার্টের পরীক্ষা করানো হয় তাহলে সেটা ভালো একটি পদক্ষেপ। হার্ট দুর্বল হলে শ্বাসকষ্ট জড়িত সমস্যা দেখা দিতে পারে অর্থাৎ কাজ করতে গেলে খুব ঘন ঘন হাসপাশ বেঁধে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি হওয়ার মতন সমস্যা তৈরি হতে পারে আর দুর্বল হয়ে গেলে।
কিভাবে বুঝবেন হার্ট দুর্বল হয়ে গেছে
সাধারণত আমরা উপরে কিছু লক্ষণ আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। আপনারা যদি এই লক্ষণগুলো একইসঙ্গে খুঁজে পান তাহলে ধরে নিতে পারেন এটা একটি বড় সমস্যার ইঙ্গিত করছে। তখন আপনাদের অবশ্যই একজন হার্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ করা উচিত আপনার এই সমস্যাগুলোর ব্যাপারে। অবশ্যই আপনারা একটি ভালো সমাধান খুঁজে পাবেন এবং এর সমাধান গুলো আপনাদের জন্য উপকারী হবে।
হার্ট দুর্বল হলে করণীয়
সবার প্রথমে এটা নিশ্চিত হতে হবে তারপরে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সুস্থ থাকতে হলে নিজের জীবনকে পরিবর্তন করতে হবে। আগে যে লাইফ স্টাইল আপনার ছিল সেটা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে হবে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যেটা ভালো আপনার হার্টের জন্য যেটা ভালো সেই লাইফ স্টাইল আপনাকে গড়ে তুলতে হবে এবং এটাতে কোনভাবে কোন ধরনের দেরি করা যাবে না। এর পাশাপাশি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়মিত নিতে আপনাকে যেতেই হবে।
হার্ট দুর্বল হওয়ার কিছু কারণ
হট দুর্বল হওয়ার কারণ এর মধ্যে স্বাভাবিক যে কারণ রয়েছে সেই কারণের মধ্যে একটি কারণ হতে পারে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যালকোহল সেবন এবং ধূমপান করা। উচ্চ রক্তচাপ। এছাড়াও আয়সি জীবন যাপন এবং বিভিন্ন ধরনের বড় রোগ যেমন ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগ দীর্ঘদিন ধরে থাকে এবং দীর্ঘদিন ধরে কিছু ওষুধ সেবনের ফলে।