প্রেসার যদি কারো হাই হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই সেটা সমস্যার কারণ এবং যদি সেটা তৎক্ষণাৎ বোঝা না যায় তাহলে তো আরো বড় বিপদ। তবে বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই হাই প্রেসার খুব সহজে বোঝা যায় এবং সেটা যদি অতিমাত্রায় হয়ে যায় তাহলেও সেটা বোঝা যায়। যাদের প্রেসার হাই সব সময় থাকে তাদের এমনিতেই হাই প্রেসার থাকে এবং তারা নিয়মিত ঔষধ খান এবং অন্যান্য চিকিৎসা করেন।
কিন্তু যদি কারো হঠাৎ করে হাই প্রেসার হয় তাহলে সেটা অনেক বড় সমস্যা এবং এই সমস্যার সমাধানের জন্য অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে তার কারণ হচ্ছে হঠাৎ করে হাই প্রেসার হওয়া ভালো লক্ষণ নয় এর কারণে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই হঠাৎ করে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবার প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে হাই প্রেসার হয়েছে কিনা তার জন্য অবশ্যই কিছু উপসর্গ আছে যেগুলো আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।
কিভাবে বুঝবেন প্রেসার হাই হয়েছে
সাধারণত হাই প্রেসার হওয়ার প্রথম যে লক্ষণ দেখা যায় সেটা হচ্ছে অতিরিক্ত গরম লাগা। যাদের হাই প্রেসার আছে তারা শীতের সময় গরম অনুভব করে কিন্তু হঠাৎ করে যদি তাদের পেশার অত্যাধিক বেড়ে যায় অথবা যাদের হঠাৎ করে হাই প্রেসার হয় তাদের শরীর অনেক গরমে উঠে যেতে পারে। এই প্রাথমিক লক্ষণ যদি ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রেসারটা চেক করে দিতে হবে হতে পারে সেটা হাই প্রেসারের কারণে হচ্ছে।
পেশার বৃদ্ধি পাওয়ার আরো কিছু লক্ষণ আছে যেমন রাতে ঘুম কমে যাওয়া। হঠাৎ করে যদি কারো রাতে ঘুম কমে যায় তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই তার প্রেশারের কারণে এটা হতে পারে এর জন্য অবশ্যই তাকে প্রচার চেক করে নিতে হবে এবং যদি প্রেসার চেক করে দেখে সত্যিই প্রেসার বৃদ্ধি পেয়েছে তাহলে অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।
প্রেসার হাই হলে কি করবেন
প্রেসার হাই হলে কি করবেন এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব যে যাদের প্রেসার হাই হয়েছে তারা অবশ্যই একটি নিয়মের মধ্যে চলে যাবেন। এমন মানুষ অনেক খুঁজে পাওয়া যায় যারা প্রেসার হাই হওয়ার পরেও অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেছেন যার ফলে তাকে খুব কম বয়সে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। কেউ এরকম চায়না তাই অবশ্যই নিজেকে নিজের অবস্থান থেকে ঠিক করতে হবে যাতে করে হাই প্রেসার আপনাকে কোন ক্ষতি না করতে পারে।
হাই প্রেসার হলে সব সময় এটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে এবং অবশ্যই এর জন্য একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে আপনাকে যেতে হবে। যাদের হাইপ্রেশার আছে তাদের যদি ওজন বৃদ্ধি পায় বা ওজন অতিরিক্ত থাকে তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে হাইপ্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার। সঠিকভাবে যদি হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা না হয় তাহলে অবশ্যই সেটা ক্ষতির কারণ।
এছাড়াও যাতে খারাপ অভ্যাস আছে যেমন ধূমপান করা এবং মদ পান করা তাদের অবশ্যই এই অভ্যাসগুলো পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে। যদি এই অভ্যাসগুলো পুরোপুরি ত্যাগ করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই সেটা বড় ধরনের সমস্যা তাই অবশ্যই হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে এই ধরনের অভ্যাসকে পুরোপুরি বর্জন করতে হবে।
হাই প্রেসার এর চিকিৎসা
হাই প্রেসারে চিকিৎসায় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানসিক শক্তি। অবশ্যই হাই প্রেসার এর চিকিৎসায় আপনি যখন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাবেন তার পরামর্শ অনুযায়ী চলতে পারলে আপনি সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। যদি এই ক্ষেত্রে আপনার মানসিক শক্তির না থাকে তাহলে অবশ্যই কোন কিছুই আপনার কাজে আসবে না। এক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানসিক শক্তি যেটা আপনাকে মানসিক দিক দিয়ে ফ্রি রাখবে যার কারণে প্রেসার অনেকটা নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে।