এটা রক্তে বেড়ে গেলে যে সমস্যা হয় সেটা হচ্ছে কিডনির সমস্যা। কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ আমরা যেমন খাবার খাই সেই খাবারের মধ্যে যে তরল গুলো থাকে প্রত্যেকটি তরল এই কিডনি পরিশোধিত করে। তরল গুলো পরিশোধিত করার পরে সেখান থেকে ভালো জিনিস গুলো আমাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত করে এই কিডনি। এরপরে যে অপচয় পদার্থ গুলো থাকে সেগুলোকে প্রস্রাব হিসেবে শরীর থেকে বের করে দেয়।
সে কিডনিতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে পুরো শরীর অচল হয়ে যায়। একেবারে স্বাভাবিক ঘটনা সমস্যা হলে অবশ্যই পুরো শরীর একেবারেই অচল হয়ে যাবে। তবে সে সমস্যা নির্ণয়ের জন্য যে পরীক্ষা করা হয় সেই পরীক্ষা সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে। যদি কোন রোগী চিকিৎসকের কাছে পেটের ব্যথা অথবা তল পেটের ব্যথা নিয়ে আসে এর সঙ্গে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া অথবা প্রস্তাবে ব্যথা এই ধরনের সমস্যা নিয়ে আসে তাহলে বুঝতে হবে তার রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিডনির সমস্যার লক্ষণ সমূহ
কিডনির সমস্যা বেশ কিছু লক্ষণের মাধ্যমে সহজে বুঝতে পারা যায়। তবে আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা হলো আমরা এই লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেয় না আমরা মনে করি এগুলো সাধারণ সমস্যায় এবং এই সমস্যা গুলো এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এগুলো একেবারেই ভুল ধারণা যার কারণে এই সমস্যাগুলো আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এবং যখন আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি তখন দেখি কিডনির সমস্যার কারণে এই সমস্যাগুলো হয়েছে।
কিডনি সমস্যায় বেশ কিছু লক্ষণ ধরা পড়তে পারে তার মধ্যে সবথেকে বড় লক্ষণ হচ্ছে প্রস্রাবের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। এর মধ্যে রয়েছে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া অনেকের ক্ষেত্রে প্রস্তাবের দুর্গন্ধ থেকে শুরু করে প্রস্রাব দিয়ে রক্ত বের হওয়ার মতন সমস্যাও দেখা দিতে পারে কিডনির সমস্যার কারণে। এর পাশাপাশি পিঠের দুই পাঁজরে ব্যাথা হওয়া কিডনির সমস্যার বড় লক্ষণ। সাধারণত পিছের দুই পাঁজরে ব্যথা হওয়াকে মানুষ অন্যভাবে দেখে এবং যখন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় তার কিডনির সমস্যা হয়েছে তখন হতাশায় ভোগে।
এছাড়া অনেক রোগীর ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা থেকে শুরু করে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার মতন লক্ষণ ও ধরা পড়তে পারে।হঠাৎ করে কোন ব্যক্তির যদি এই লক্ষণগুলোর সঙ্গে ওজন কমে যাওয়া এবং খাওয়ার প্রতি অনিহাস সৃষ্টি হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই বলা যেতে পারে তার কিডনির কোন না কোন সমস্যা অবশ্যই হয়েছে। এই লক্ষণ গুলো সব সময় ফলো করবেন যাদের এই লক্ষণগুলো রয়েছে তারা বাড়িতে বসে না থেকে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
কিডনিতে পাথর হলে কি লক্ষণ পাওয়া যায়
কিডনির পাথর হলে সাধারণত দুই একটা লক্ষণ দেখা যেতে পারে। দু একটা লক্ষণের মধ্যে প্রস্রাবের সমস্যা সব থেকে বেশি যেমন মনে করুন প্রস্রাবের দুর্গন্ধ হওয়া। অতিরিক্ত প্রস্রাবের বেগ পাওয়ার পরেও যখন প্রস্রাব করতে বসে তখন অল্প অল্প প্রস্রাব হওয়া এবং সেটা শেষ না হওয়া দীর্ঘক্ষন ধরে হতেই থাকা। অনেকের ক্ষেত্রে প্রস্তাব আটকে যাওয়ার মতন সমস্যাও তৈরি হতে পারে যার কারণে সে অনেক বেশি কষ্টে পড়ে যায়।
এছাড়াও বমি বমি ভাব অথবা পেটে ব্যথা নিয়ে অনেক রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারে এ ধরনের সমস্যার কারণে। এ সমস্যাগুলো নিয়ে যখন একজন রোগী চিকিৎসকের কাছে যান তখন বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসক এটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন তার কি সমস্যা হয়েছে। তবে নিশ্চিতভাবে কিডনির পাথর নির্ণয়ের জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি এবং এক্সরে করাতে হবে এই দুইটা টেস্ট না করলে কোনভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে না তার কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা। পাথর ধরা পড়লে পরবর্তীতে বড় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।