প্রেসার বেড়ে যাওয়া লক্ষণ

হঠাৎ করে যদি কারো প্রেসার বেড়ে যায় তাহলে সেটা অনেক বড় সমস্যার কারণে। অবশ্যই এই হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আপনাকে যে চেষ্টাটা করতে হবে সেটা হচ্ছে নিজের মধ্যে একটি নিয়ম তৈরি করা যে নিয়মের মধ্যে থাকলে আপনি অনেক ভালো থাকবেন। তবে হঠাৎ করে হাই প্রেসার বেড়ে গেলে কোন কোন লক্ষণের মাধ্যমে সেটা বোঝা যায় সে সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব।

পেশার যদি একবার হায় হয়ে যায় তাহলে সেটা আর নিয়ন্ত্রণে থাকে না তবে একটি স্বাভাবিক মাত্রায় থাকার চেয়ে যদি বেশি বাঁচায় চলে যায় তাহলে সেটা কিভাবে বোঝা যায় সেটা জানব। অবশ্যই যাদের হাই প্রেসার আছে তারা এই তথ্যগুলো জানবেন এতে করে আপনারা অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবেন। যেকোনো ধরনের সময় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তাই আপনি যদি সে দুর্ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকেই জ্ঞান রাখেন তাহলে অবশ্যই আপনি পারবেন সেই সমস্যার সমাধান খুব তাড়াতাড়ি করতে।

হঠাৎ করে প্রেসার বেড়ে যাওয়া কিভাবে বুঝবেন

হঠাৎ করে যদি কারো হাই প্রেসার বাড়ে তাহলে সবার প্রথমে যে সমস্যাটা তৈরি হয় সেটা হচ্ছে ঘুমের সমস্যা। নিয়মিত যে পরিমাণে ঘুম হচ্ছিল হঠাৎ করে সেই ঘুম এর পরিমাণ একেবারে কমে যাবে অনেকের ক্ষেত্রে ঘুম একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে হাই প্রেসার হঠাৎ করে বেড়ে গেলে যে উপসর্গ দেখা যায় সেটা হচ্ছে মাথা ঘোরা এবং মাথা ব্যথা করা বা ঘাড়ে ব্যথা করা। এই সমস্যা যাদের হয় তারা নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারবেন যে হঠাৎ করে তার প্রেসার আরো বেড়ে গেছে।

যাদের হাই প্রেসার আছে তাদের আরও একটি সমস্যা তৈরি হতে পারে সেটা হচ্ছে গরম লাগার প্রবণতা। হঠাৎ করে যদি গরম লাগে এবং গা ঘেমে উঠে এবং সেটা আপনার শ্বাসকষ্ট তৈরি করে তাহলে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন আপনার হাই প্রেসার অনেক বেশি এই অবস্থাতে আপনাকে পুরোপুরি বিশ্রামে চলে যেতে হবে। সাধারণত এই প্রাথমিক লক্ষণ গুলো দেখা যায় তবে অবশ্যই এ লক্ষণগুলোকে কোনভাবে অবহেলা করতে পারেন না একজন উচ্চ রক্তচাপ এর রোগী তাই যথাসময়ে পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই আপনি সুস্থ হতে পারবেন।

প্রেসার বেড়ে গেলে কি করনীয়

পেশার বেড়ে গেলে সবার প্রথমে আপনাকে এটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনাকে বিশ্রামে চলে যেতে হবে। তারপরও যদি এটা নিয়ন্ত্রনে না আসে তাহলে একটা প্রেসার এর ওষুধ আপনাকে খেতে হবে এবং ঠান্ডা পানি মাথায় ঢালতে হবে। এছাড়া ঘরোয়া কিছু টটকা আপনি এপ্লাই করতে পারেন যেমন মনে করুন লেবুর রস অথবা তেতুলের পানি এগুলো খাওয়ার পরেও যদি সেটা নিয়ন্ত্রণে না চলে আসে তাহলে বাড়িতে বসে থেকে কোনই কাজ নেই। যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে চলে আসুন এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করুন।

হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেকেই অনেক ধরনের চেষ্টা করে। হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য সবার প্রথমে যেই সিদ্ধান্ত আপনাকে গ্রহন করতে হবে সেটা হচ্ছে একটি সুন্দর জীবন যেখানে কোন ধরনের চাপ নেই এরকম জীবন তৈরি করা। তবে সকলের পক্ষে এটা তৈরি করা সম্ভব হয় না তারপরও বিভিন্ন চাপের মধ্যে থেকেও নিজেকে যদি চাপ মুক্ত রাখতে পারেন তাহলে সেটা সবথেকে ভালো।

হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে ভারী খাবার বর্জন করতে হবে অর্থাৎ অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার বা মসলাযুক্ত খাবার কখনোই খাওয়া যাবেনা এবং চেষ্টা করতে হবে খুব অল্প পরিমাণে খাবার খেয়ে নিজের শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। হাই প্রেসারযুক্ত ব্যক্তি যাদের অতিরিক্ত ওজন আছে তারা সব থেকে বড় রিক্সে আছেন তাদের অবশ্যই ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে এর জন্য খাবার কমানো থেকে শুরু করে শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম অবশ্যই আপনাকে করতে হবে।