ক্যান্সারের মতো বড় রোগ এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি যে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঔষধ নাই। প্রতিনিয়তই পৃথিবীর বিভিন্ন কোনায় এই ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চলছে কিন্তু বাস্তব সত্যি হচ্ছে এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসক এর সমাধান খুঁজে বের করতে পারেননি। ক্যান্সার মূলত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হতে পারে সেই ক্যান্সারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটা খুব দ্রুত আমাদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
ক্যান্সারকে যারা অবহেলা করবেন তাদের জন্য মৃত্যু অনিবার্য। লিভার ক্যান্সার ক্যান্সারের মধ্যে বড় ধরনের একটি ক্যান্সার এবং এই লিভার ক্যান্সার অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি সমস্যা। সাধারণত লিভার ক্যান্সার হলে কিভাবে সেটা বোঝা যায় এবং লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গগুলো কি সে সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে বিভিন্ন বর্ণনা দেওয়া থাকবে। আপনার অবশ্যই আমাদের এখান থেকে লিভার ক্যান্সার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা সংগ্রহ করতে পারবেন তাই আশা করছি আপনারা শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই আছেন।
লিভার ক্যান্সার এর উপসর্গ
লিভার ক্যান্সারের যে উপসর্গগুলো রয়েছে তার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে পেটে অত্যধিক যন্ত্রণা এবং ব্যথা। হঠাৎ করে পেটের এই ব্যথা আসতে পারে এবং এই ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে ব্যথার কারণে রোগী কান্না করতে থাকে। ব্যথার সঙ্গে পেটে জ্বালাপোড়া এবং প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা যেতে পারে লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে।
লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ এর হিসাবে উপরের সমস্যার সঙ্গে আরও একটি বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে সেটা হচ্ছে ঘনঘন বমি হওয়া কোন কোন ক্ষেত্রে বমির সঙ্গে রক্ত ওঠা এবং প্রচন্ড দুর্গন্ধ হতে পারে। সাধারণত এই অবস্থাতে লিভার ক্যান্সার বোঝা যায় তবে আরো কিছু উপসর্গ আছে যেগুলো যদি কোন রোগীর শরীরে খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে নিশ্চিত ভাবে বলা যায় তিনি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ ধরনের রোগীদের হঠাৎ করে শরীরের ওজন কমতে শুরু করে এবং রক্তশূন্যতা দেখা যায়। শরীরের রঙ ফেকাশে হতে শুরু করে এবং লিভার ক্যান্সারের কারণে খাবারের প্রতি অরুচি এবং বদহজম প্রাথমিক লক্ষণ গুলো দেখা যায়। আমরা এখানে যে সাধারণ বা প্রাথমিক লক্ষণগুলোর কথা উল্লেখ করলাম লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এগুলোই সাধারণত বেশি বোঝা যায়। যত প্রাথমিক অবস্থাতে এগুলো দেখা যাবে সে রোগের জন্য ততটাই ভালো।
লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসা
লিভার ক্যান্সারের একটি সুন্দর চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে তবে এই ক্যান্সার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলেই এই চিকিৎসার যে ফল আছে সেটা আশানুরূপ হয়। সরাসরি এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এমন কোন ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি তবে চিকিৎসা পদ্ধতি আছে যে চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো একত্রিত করে রোগীকে সুস্থ করার চেষ্টা করা হয়।
সাধারণত এই ক্যান্সার নির্মূলের জন্য তিনটি চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় প্রথম চিকিৎসা পদ্ধতিতে সাধারণত রোগীদের কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ক্যান্সারের কোষগুলোকে একত্রিত করা হয় এবং চেষ্টা করা হয় এই কোডগুলোকে মেরে ফেলতে যদি সম্ভব না হয় তারপরে সার্জারির ব্যবস্থা করা হয়। এখানে যে অংশে ক্যান্সারের ভাইরাস আছে সেই অংশকে পুরোপুরি কেটে ফেলা হয় এবং সেটাকে সুন্দরভাবে রিপেয়ার করা হয়।
এরপরে প্রয়োজন পড়লে ক্যান্সার পুনরায় ফিরে না আসার বিষয়টিকে নিশ্চিত করার জন্য রেডিও থেরাপি দেওয়া হয়। এই তিনটা চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে মূলত বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রয়েছে গোটা বিশ্বে। তবে এর ফলাফল নির্ভর করে সাধারণত এর চিকিৎসা পদ্ধতি বা এর স্টেজ এর ওপর। প্রাথমিক স্টেজে ধরা পাওয়া ক্যান্সারের মধ্যে ৯০% চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। লিভার ক্যান্সার উত্তর তো সাংঘাতিক একটি সমস্যা তাই লিভার ক্যান্সার সম্পর্কে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আমাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।