লিভার সিরোসিস এর লক্ষণ

লিভার সিরোসিসের যে প্রাথমিক লক্ষণগুলো রয়েছে সেগুলো বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। লিভার সিরোসিস রোগ কতটা সাংঘাতিক এবং কতটা গুরুতর হতে পারে সেটা সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। এর পাশাপাশি এই রোগ আমাদের শরীরের জন্য কতটা বড় ধরনের সমস্যা সেটাও আমরা জানি। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো লিভারসিটি আক্রান্ত হওয়ার পরে রোগীর কোন লক্ষণ ধরা পড়তে পারে। আপনি যদি একটু ভালোভাবে চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন প্রত্যেকটি রোগের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে লক্ষণ।

রোগ সম্পর্কে সব জানা সত্ত্বেও যদি লক্ষণ চিহ্নিত না করতে পারে তাহলে সেটা কোন কাজে আসবে না এটা আমরা সকলে অবগত আছি। তাই চলুন সবার প্রথমে যারা লিভার সিরিসে আক্রান্ত হন তাদের ক্ষেত্রে কোন কোন উপসর্গ দেখা যেতে পারে সেটা জানি তাহলে নিশ্চিতভাবে এই উপসর্গ দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমরা চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করবো যেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো একটি দিক।

কিভাবে বুঝবেন লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন

লিভার সিরোসিসের যে প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে বা উপসর্গ রয়েছে সেগুলো অবশ্যই অত্যন্ত জানার প্রয়োজন। একেবারেই যে প্রাথমিক লক্ষণগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্লান্তি ও দুর্বলতা এবং অনেকের ক্ষেত্রে খাওয়া কমে যাওয়া এবং ওজন কমে যাওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়। এ লক্ষণ গুলো অনেক গুরুতরভাবে দেখা যেতে পারে এবং এর কারণে রোগীর শারীরিক অবস্থা অনেক অবনতি হতে পারে।

আবার অনেক সময় জন্ডিস দেখা যেতে পারে এবং জন্ডিস এত মৃদু হয় যে রুটির পরীক্ষা নিরীক্ষা হঠাৎ লিভার ফাংশন টেস্ট করলে ধরা পড়ে। এ অবস্থাতে অবশ্যই আপনাকে আরো কিছু টেস্ট করাতে হবে লিভার সিরোসিস ধরার জন্য।

লিভার সিরোসিসের ক্ষেত্রে আরও যে সমস্যা হতে পারে তার মধ্যে একটি হচ্ছে লিভারে পানি জমা বা পেটে পানি জমে সেটা ফুলে যাওয়া। এই পানি শুধুমাত্র পেট পর্যন্ত পর থাকবে এমন না এই পাশাপাশি অনেক সময় রোগীদের পায়েও পানি জমতে পারে যেটা লিভার সিরোসিস রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপদজন। এ সময় সাধারণত রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে এবং অনেক রোগীর ক্ষেত্রে রক্তব্যমেও পায়খানার সঙ্গে কালো রক্ত যেতে পারে।

লিভার অফিস থেকে অনেক সময় লিভার ক্যান্সার হতে পারে এবং এই অবস্থাতে সাধারণত পেটের বিভিন্ন অংশে শক্ত চাকা বের হতে পারে। এবং বিভিন্ন আসে পানি জ্বলতে পারে। সাধারণত এই প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যেটা শনাক্ত করা অত্যন্ত জরুরি ব্যাপার এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেওয়াও ততটাই জরুরী ব্যাপার।

লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে
লিভার সিরোসিস অত্যন্ত জটিল একটি রোগ এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে রোগী বেঁচে থাকার আশা একেবারেই ফুরিয়ে যায়। তবে উপসর্গমূলক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে বেশ ভালোভাবেই চিকিৎসা দেওয়া যায় এবং যার মাধ্যমে সে বেঁচে থাকতে পারে। ইতিমধ্যে হয়তো আমরা সকলে অবগত হয়েছি লিভার সিরোসিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো বুদ্ধি হচ্ছে লিভার প্রতিস্থাপন। যদি এই অসম্ভবকে সম্ভব করা হয় তাহলে অবশ্যই সেই রোগী বেঁচে থাকতে পারবে আর যদি না করা হয় তাহলেও সেই রোগীকে বিভিন্ন চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে।

লিভার সিরোসিস কেন হয়

লিভার সিরোসিস কেন হয় এ প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা যেতে পারে। সাধারণত অভ্যাসগত কারণে এবং খাবারের কারণে যদি লিভার সিরোসিস হয় তাহলে এখানে সবার প্রথমে অ্যালকোহল এবং তারপরে অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার কে দোষারোপ করা যেতে পারে।

এছাড়া রক্ত দেওয়ার সময় ব্যবহৃত সিরিঞ্জ এবং দূষিত রক্ত শরীরে প্রবেশ করালে এবং অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক ইত্যাদির কারণে সাধারণত লিভার সিরোসিস হতে পারে। এছাড়াও হেপাটাইটিস বি অথবা হেপাটাইটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে তার চিকিৎসা সঠিকভাবে না কারণের কারণেও লিভার সিরোসিস হতে পারে।