সাধারণত যাদের স্বাভাবিক প্রেসার এর তুলনায় কম প্রেসার থাকে তাদের ক্ষেত্রে এটাকে লো প্রেসার ধরা হয়ে থাকে। রক্তচাপ অত্যন্ত সাংঘাতিক জিনিস যদি এই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে সেটা সবথেকে ভালো কিন্তু যদি এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাহলে সেটা অবশ্যই খারাপ দিক। সবার প্রথমে আপনাকে চেষ্টা করতে হবে আপনার রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে যদি সেটা না হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে বড় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সাধারণত যদি কারো লো প্রেসার দেখা দেয় তাহলে কি উপসর্গের মাধ্যমে সেটা বুঝতে পারবে সে সম্পর্কে এখন জানাবো। আমাদের শরীল খুব নিয়ম মেনে কাজ করতে পারে। শরীরের অভ্যন্তরে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে শরীল আমাদের ইসারা করে যে কি সমস্যা হয়েছে। আমাদের সেই শরীরের ইশারা বুঝতে হবে যদি আমরা সেই ইশারা বুঝতে ব্যর্থ হই তাহলে আমরা ক্ষতির সম্মুখে পড়বো। অবশ্যই আমাদের ইশারা বুঝতে হবে এবং আমরা যদি এই ইশারা বুঝতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা আরো বেশি অসুস্থ হব। লো প্রেসার হলে সাধারণত কোন কোন ইশারা শরীর করতে পারে চলুন সেগুলো জানি।
লো প্রেসার হলে সাধারণত শরীর দুর্বল হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। আপনি খাচ্ছেন যাচ্ছেন সব করছেন কিন্তু কেন জানিনা হঠাৎ করে শরীর দুর্বল হচ্ছে এবং মনে হচ্ছে হাত পায়ে কোন শক্তি পাচ্ছেন না এটা লো প্রেসার হওয়ার একটি লক্ষণ। এখানেই শেষ নয় এর সঙ্গে আরো কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন হঠাৎ করে শীত লাগা অর্থাৎ ঠান্ডা লাগা। গরমের দিনে অন্যরা যারা গরমের অত্যাচারে থাকতে পারছে না সেখানে হঠাৎ করে আপনার কোন কোন সময়ে ঠান্ডা লাগা এবং ঢাকা আপার প্রবণতা দেখা দিতে পারে এটা লো প্রেসার হওয়ার একটি লক্ষণ। লো প্রেসার হওয়ার লক্ষণের মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে মাথা ঘোরা।
বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা এবং ঘাড়ের আশেপাশে ব্যথা হতে পারে লো প্রেসার হওয়ার কারণে। লো প্রেসার হওয়ার কারণে অনেকের আরো কিছু উপসর্গ দেখা যায় যেমন ঘুমের অভাব। এই সমস্যার কারণে ঘুম কমে যেতে পারে।
প্রেসার লো হলে কি করবেন
প্রেসার যদি লো হয়ে যায় তাহলে প্রাথমিক অবস্থাতে কি করতে হবে সেটা সম্পর্কে আমাদের সকলের জ্ঞান রাখা উচিত। আমরা আগেও বলেছি রক্তচাপ অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি জিনিস এই রক্তচাপ যেতে আপনি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের ক্ষতি করবে তাই সবসময় প্রাথমিক জিনিসগুলো জেনে রাখা উচিত যদি কোন ধরনের দুর্ঘটনা হয় তাহলে।
সাধারণত নিম্ন রক্তচাপ খুব একটা বোঝা যায় না বোঝা গেলেও বোঝার আগে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে এখানে সময় পাওয়া যায় আপনি নিজের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করতে পারেন এবং ভালো মন্দ কিছু খাবার খেয়ে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। নিম্ন রক্তচাপে মনোবল টা অনেক জরুরি অর্থাৎ আপনি যদি মনোমার ধরে রাখতে পারেন এবং সব সময় ভালো খাবার দাবার এবং কাজকর্মের মধ্যে ব্যস্ত থাকেন তাহলে সেটা সম্ভব। সাধারণত অতিরিক্ত দুর্বল শরীরে এই সমস্যা হয় তাই চেষ্টা করতে হবে শরীর যাতে ভালো থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে।
প্রেসারে নিয়ন্ত্রণে রাখার নিয়ম
প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার সব থেকে ভালো নিয়ম হচ্ছে একটি সঠিক কাঠামো অনুযায়ী জীবন যাপন করা। খাবারের মধ্যে একটি সঠিক নিয়ম আনা এবং আপনি যে কাজ করছেন তার মধ্যে সময় সঠিক করা এবং অবসর সময়টিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে ব্যায়াম ও পরিশ্রম করা।
লো প্রেসারের খাওয়ার
লো প্রেসারে যে কোন খাবার আপনি খেতে পারেন। চেষ্টা করতে হবে এই সময় টক জাতীয় খাবার কম খেতে তা ছাড়া যে কোন ধরনের ভালো খাবার যেমন গরুর মাংস থেকে শুরু করে সবকিছু খেতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এই দামি খাবার গুলো খাওয়ার সময় যাতে অতিরিক্ত খাবার না হয় পরিমাণ মতো খেতে হবে সবকিছু শরীরের ভালোর জন্য।