ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ

ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ খুব সহজে বোঝা যায়। সাধারণত ফুসফুস আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সাহায্য করে এবং এই শ্বাস-প্রশ্বাসে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে আমরা বুঝতে পারবো আমাদের ফুসফুসে সমস্যা হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি মহামারী গোটা বিশ্বকে টালমাটাল করে দিয়েছিল সেই মহামারীর এতটা প্রকোপ হবার মূল কারণ ছিল সেটা ফুসফুসের উপর আঘাত করতো।

আর মানুষ শরীরের জন্য এই ফুসফুস অত্যন্ত জরুরি একটি অঙ্গ। এখানে যদি কোন সমস্যা হয় স্বাভাবিকভাবে মানুষের সমস্যা হয় যার কারণে ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ যদি প্রাথমিক অবস্থা তা আপনি বুঝতে না পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হতে পারে। নিজে আমরা জানার চেষ্টা করি ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ কিভাবে আমরা খুজে বের করব সে সম্পর্কে।

যক্ষার প্রাথমিক লক্ষণ গুলো কি কি

যক্ষা হলে রক্ষা নাই এই কথাটির বর্তমানে কোন ভিত্তি নাই। যক্ষা রোগের সঠিক চিকিৎসায় রোগীরা পুরোপুরি সুস্থ হয়। যক্ষা রোগ প্রাথমিক অবস্থাতে ধরতে পারলে আরো সহজেই সুস্থ হওয়া যায় তবে যক্ষা রোগ বোঝার জন্য প্রাথমিক যে লক্ষণগুলো আছে সেগুলো যদি কারো জানা না থাকে তাহলে অবশ্যই সে বুঝতে পারবে না যে তার যক্ষ্মা হয়েছে। চলুন যক্ষা রোগের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো জানার চেষ্টা করি।

যক্ষা রোগের প্রথম যে লক্ষণ দেখা যায় সেটা হচ্ছে কাশি এবং এই কাশি দীর্ঘদিন ধরে থাকে এবং সেটা শেষ হতে চায় না। কাশি কমানোর জন্য অনেক ওষুধ খাওয়ার পরেও দেখবেন কাশির মাত্রা কমছে না এবং সেটা বরংচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাশির সঙ্গে প্রচন্ড ব্যথা এবং রক্ত উঠে আসতে পারে এটা যক্ষা রোগের একটি লক্ষণ।

যখন ওদের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে শ্বাসকষ্ট। যার কখনোই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়নি তার হঠাৎ করে রাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট তৈরি হলে অবশ্যই তাকে ধরে নিতে হবে প্রাথমিকভাবে তার যক্ষা হয়েছে। এছাড়া প্রচন্ড বুকে ব্যথা এবং খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারানো হঠাৎ করে রোগীর ওজন কমে যাওয়া যক্ষা রোগের একটি কিছু প্রাথমিক লক্ষণ যেগুলো হলে অবশ্যই রোগীকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

যক্ষা রোগের চিকিৎসা কিভাবে করাবেন

যখন ওকে চিকিৎসা করার জন্য আপনাকে সরাসরি সরকারি হাসপাতালে যেতে হবে তার কারণ হচ্ছে সরকারিভাবে একেবারে ফ্রিতে যক্ষা রোগের চিকিৎসা করা হয়। সব থেকে বড় ব্যাপার হলো প্রত্যেকটি সরকারি হাসপাতালে যক্ষা রোগে চিকিৎসা করার জন্য আলাদা একটি ইউনিট আছে তারা সব সময় সেই বিষয় নিয়ে গবেষণা করে এবং সে বিষয়ে চিকিৎসা প্রদান করে।

এখানে আপনি যদি যক্ষা রোগের চিকিৎসা করাতে চান তাহলে আজেবাজে জায়গাতে ঘোরাঘুরি না করে সরাসরি একেবারে ফ্রিতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য সরকারি হাসপাতালে চলে যান। একটু খোঁজ করলে সেখানে যক্ষা রোগের চিকিৎসা দিচ্ছে এমন একটি ইউনিটের খোঁজ পাবেন এবং তাদের তত্ত্বাবধানে আপনি যদি চিকিৎসা করেন তাহলে ছয় মাসের মধ্যে যক্ষা রোগ থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যাবে।

যক্ষা রোগী কি পুরোপুরি সুস্থ হয়

অনেক আগের কথা যেখানে যক্ষা ছিল একটি মরণঘাতী রোগ। সাধারণত জব খায় এতটাই ভয়ানক ছিল যে সেটা একটি গ্রামে হওয়ার পরে প্রায় গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে কারো না কারো হতো এবং সেখানে অনেক মানুষ মারা যেত। তখনকার পৃথিবীতে এটাকে বড় ধরনের দুর্যোগ মনে করা হতো এবং অনেকে এগুলোকে আধ্যাত্মিক হিসেবেও বিবেচনা করতেন।

কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞান আরো উন্নত হয়েছে এবং বিজ্ঞানের এই উন্নয়নের ফলে অনেক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে একেবারেই সহজ করে দেওয়া হয়েছে যেমন যক্ষার চিকিৎসা। যদি এখন যক্ষার চিকিৎসায় কোন ধরনের ভুল না হয় তাহলে কোন রোগী মারা যান না। বর্তমানে যে চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু রয়েছে সেই চিকিৎসার ব্যবস্থার যক্ষা রোগের ১০০% রোগই সুস্থ হয়।