প্রোস্টেট ক্যান্সার এর লক্ষণ

প্রস্টেট ক্যান্সার অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি সমস্যা। স্বাভাবিক লক্ষণগুলো বুঝতে পারা অত্যন্ত জরুরি। কারণ হচ্ছে ক্যান্সার একটি মরণঘাতী রোগ। ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে যদি ক্যান্সার ধারণাও পারে তাহলে সেটা সত্যি অস্বাভাবিক। দায়ী প্রাথমিক যে লক্ষণ গুলো আছে সে প্রাথমিক লক্ষণগুলো আপনারা যদি বুঝতে না পারেন তাহলে সেটা ভুল করবেন। সাধারণত প্রাথমিক অবস্থাতে যদি ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে ভালো এটা সুস্থ করা যায় যদি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা না পড়ে তাহলে সেটা পুরোপুরি সুস্থ হয় না।

প্রোস্টেট ক্যান্সারের প্রাথমিক একটি লক্ষণ হচ্ছে ব্যথা। যেখানে ক্যান্সার হয়েছে সেখানে অবশ্যই ক্যান্সারের ভাইরাস আছে এবং সেখানে প্রচুর যন্ত্রণা এবং ব্যথা হবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। রোস্টার ক্যান্সারের সময় পোস্টেডের অংশে পুরোটা ব্যথা হয় যার কারণে রোগীকে অনেক বেশি কষ্ট করতে হয় ব্যথার কারণে।

কি সমস্যায় আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া বা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া। এমনিতে বয়স্ক মানুষের প্রস্রাবের সমস্যা হয় কিন্তু এই প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণে সে সমস্যা আরো গুরুতর আকার ধারণ করে এবং প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতন প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে।

এ সমস্যার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় দেখা যায় সেটা হচ্ছে যে প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্ত বের হওয়া। যেহেতু এটা সাংঘাতিক একটি সমস্যা এবং ক্যান্সারের কারণে সেখানে রক্তপাত হতে পারে বা রক্তক্ষয় হতে পারে। যখন প্রস্রাব করবে রোগী তখন প্রস্রাবের সময় রক্ত বের হতে পারে।

এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে আরও বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে তবে এগুলো ছিল প্রাথমিক লক্ষণ। এ লক্ষণ এর পাশাপাশি রোগীর হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া এবং খাওয়ার উপর অনীহা তৈরি হওয়া এই ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।তবে সব লক্ষণ গুলো যদি একইসঙ্গে হয় তাহলে কেবলমাত্র নিশ্চিত হওয়া যাবে ক্যান্সার হয়েছে আর প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরতে পারাটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রাথমিক পর থেকে ক্যান্সার ধরতে না পারলে সেই ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়া খুব কষ্ট ।

প্রোস্টেট ক্যান্সার এর চিকিৎসা

সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার মানব শরীরে হয়ে থাকে। গোটা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ক্যান্সারের ওপর প্রচুর গবেষণা চালানো হচ্ছে কিন্তু কোন ভাবেই ক্যান্সারের কোষ কে মেরে ফেলার মতন ঔষধ কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি। তবে ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যে চিকিৎসা পদ্ধতিতে ক্যান্সারকে পুরোপুরি নির্মূল করা যায়।

তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে কেবল এটা করা সম্ভব। এখানে ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবার প্রথমে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এই অবস্থাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রোগীর শারীরিক সক্ষমতা অর্থাৎ এটার পার্শ্ব প্রতিককে অনেক তাই রোগী যদি শারীরিকভাবে সক্ষম হয় কেমোথেরাপি দেওয়ার জন্য তাহলে তাকে কি মোথেরাপি দেওয়া হবে।

তারপরে প্রশ্নের যে অংশে ক্যান্সার হয়েছে সেই অংশটুকু সম্পূর্ণ অপারেশনের মাধ্যমে কেটে ফেলা অনেকের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট পুরোটাই কেটে ফেলা হয় এবং অপসারণ করে আর্টিফিশিয়াল পোস্টেড লাগানো হয়। এরপরে রেডিও থেরাপে দেওয়া হয়। বড় যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আরো একবার কেমোথেরাপি দেওয়া হয়।

সাধারণত যত ধরনের ক্যান্সার আছে প্রায় প্রত্যেকটি ক্যান্সারের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি গুলোর অধীনে করা হয়ে থাকে তবে দেশ এবং হাসপাতাল ভেদে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতির মান আলাদা। কেউ থেরাপি দেওয়ার জন্য এক কোম্পানির মেশিন ব্যবহার করছেন কেউ থেরাপি দেওয়ার জন্য অন্য কোম্পানির মেশিন ব্যবহার করছেন এবং প্রত্যেক ম্যাচিং এর মান এক নয় বিভিন্ন কোম্পানির কেমোথেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

শুধুমাত্র এই চিকিৎসা করলে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হবে তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না তার কারণ হচ্ছে যদি এই ক্যান্সারের ভাইরাস রোগীর রক্ত ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ক্যান্সার তার শরীরে থেকে যাবে এবং যেকোনো সময় সেটা আবার মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এছাড়া পুনরায় শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্যান্সার হবে কিনা তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না।