পুরুষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা হচ্ছে প্রোস্টেট এর সমস্যা। সাধারণত যাদের বয়স ৪০ এর উপরে উঠে গেছে তারা অবশ্যই এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন তার কারণ হচ্ছে চল্লিশের উপর ওঠা মানেই প্রস্ট্রেটের সমস্যা তৈরি হওয়া। এটা যদি সামান্য কোন সমস্যা হতো তাহলে আমরা এটা নিয়ে এত কথা বলতাম না কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না এটা কোন সামান্য সমস্যা না এই সমস্যা যদি অবহেলা করা হয় তাহলে সেটা ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয়।
ক্যান্সার কতটা সাংঘাতিক রোগ সেটা আমরা সকলেই জানি। তাই ছোটখাটো সমস্যা কে যদি অবহেলা করে আপনারা সেটাকে ক্যান্সার বানাতে না চান তাহলে বয়স ৪০ পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের প্রোস্টেটের খেয়াল রাখার চেষ্টা করুন। আপনি কিভাবে সেটা করবেন এবং কিভাবে বুঝবেন আপনার সমস্যা হচ্ছে সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল আপনাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য হারা হলে চলবে না এবং আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস হারালে চলবে না সব সময় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করবেন অবশ্যই তিনি আপনার জন্য উত্তম জিনিসটাই রেখেছেন।
প্রোস্টেট বড় হওয়ার লক্ষণ
প্রোস্টেট বড় হওয়ার সাধারণত যে লক্ষণগুলো রয়েছে সেই লক্ষণগুলোর সাথে আমরা সকলে পরিচিত। সাধারণত পোস্টেডের সমস্যার কারণে মেইন যে সমস্যা হবে সেটা হচ্ছে প্রস্তাব নিয়ন্ত্রণের সমস্যা। প্রস্রাবের যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে পারে তবে একটা দুইটা অপসর্গ দেখে বোঝা যাবে না একইসঙ্গে প্রায় চার থেকে পাঁচটি উপসর্গ যদি আপনি খুঁজে পান তাহলে নিশ্চিত হতে পারেন পোস্টেডের সমস্যা নিয়ে।
সাধারণত প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি কষ্ট হবে এবং এই অবস্থাতে প্রস্তাবের অনেক বেগ পাবে এবং সেটা ঘন ঘন। প্রস্রাব করে উঠে আসলেন তার পাঁচ মিনিট পরেই আবার জানি মনে হবে প্রস্তাব চেপেছে এবং সেটা প্রচুর চাপ দেবে। কিন্তু সব থেকে অবাক করা কথা হলো আপনি যখন প্রস্রাব করতে বসবেন তখন যে চাপ হয়েছিল সেই চাপের তুলনায় খুব বেশি প্রস্তাব বের হবে না এবং আরেকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষ্য করতে হবে প্রস্রাবের গতি অনেকটাই কমে গেছে। এই সমস্যাগুলো যদি কারো থাকে তাহলে নিশ্চিত ভাবে তার প্রোস্টেট এর সমস্যা হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসক দেখানো উচিত যত দ্রুত সম্ভব।
প্রস্রাব করার সময় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জ্বালা এবং প্রচুর পরিমাণে ব্যথার সৃষ্টি হবে প্রোস্টেট সমস্যার কারণে। এছাড়াও এই সমস্যাগুলোর কারণে অনেক সময় একটা জিনিস হতে পারে সেটা হচ্ছে রক্ত পড়া। এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে পিট ও কোমরে যন্ত্রণা হতে পারে। প্রস্রাব সম্পূর্ণ হবে না এবং আস্তে আস্তে প্রস্রাব করতে থাকবে অনেক সময় ফোটায় ফোটায় পড়তে থাকবে এই সমস্যাগুলো যদি কারো দেখা দেয় তাহলে নিশ্চিত ভাবে সে বুঝতে পারে তার প্রোস্টেটের সমস্যা হয়েছে।
প্রোস্টেট ভালো রাখার উপায়
প্রোস্টেট ভালো রাখার বেশ কয়েকটি উপায় আছে। সাধারণত নিজে থেকে আপনি কিছু অভ্যাস করে তুলতে পারেন যে এই অভ্যাসগুলো অল্প বয়স থেকেই আপনার প্রোস্টেট ভালো রাখতে সাহায্য করবে। সাধারণত পরিমাণ মতো পানি পান করা সারা জীবনের একটি ভালো অভ্যাসে যা আপনার প্রোস্টেট কে ভালো রাখতে পারে। যেকোনো সময় প্রস্রাব চাপলে সে প্রস্রাবকে ধরে না রেখে সময়মত প্রস্রাব করা প্রোস্টেট ভালো রাখার আরেকটি পদক্ষেপ।
ছাড়াও আপনাদের নিয়মিত কিছু যোগ ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যেই যোগ ব্যায়ামগুলো আপনি নিয়মিত করলে আপনার প্রশ্নের সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়াও নিজের খাদ্যাভ্যাসকে পরিবর্তন অর্থাৎ অতিরিক্ত তেল চর্বি খাওয়ার বর্জন করুন বিশেষ করে ৪০ বছর পার হওয়ার পরে। এই অভ্যাসগুলো যদি আপনি আগে থেকেই করে তুলতে পারেন তাহলে এমনিতেই প্রোস্টেট এর সমস্যা থেকে আপনি মুক্ত হতে পারবেন। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে প্রথম পদক্ষেপ নিজেকেই নিতে হবে।