প্রসবের ইনফেকশন এর লক্ষণ

প্রাথমিকভাবে প্রস্রাবের ইনফেকশন সবার আগে বুঝতে পারে রোগী নিজেই। প্রসাবের ইনফেকশন হলে সাধারণত যে লক্ষণ গুলো দেখা দেয় সে লক্ষণগুলো অবশ্যই জানা প্রয়োজন। আবার লক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু জিনিস আছে যে একটা দুইটা সমস্যা দেখা দিলে আমরা হুট করে একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলি। কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে শুধুমাত্র একটা দুইটা উপসর্গ দেখা দিলে হবে না এর সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিবে যার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে কারণটা আসলে কি।

প্রসাবের ইনফেকশনের ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচটি উপসর্গ আপনাকে খুঁজতে হবে এবং সে পাঁচটি উপসর্গ কি হতে পারে সে সম্পর্কে অবশ্যই এখন আমরা আলোচনা করব। অনুরোধ জানাচ্ছি একটু মনোযোগ দিয়ে এই লক্ষণগুলো মনে রাখুন দেখবেন এই উপসর্গগুলো যদি আপনার শরীরে দেখা যায় তাহলে আপনি নিজে থেকেই বুঝতে পারছেন আপনার প্রসবের ইনফেকশন হয়েছে যা আপনাকে সুস্থ হতে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে।

কিভাবে বুঝবেন প্রসাবে ইনফেকশন হয়েছে

প্রসাবের ইনফেকশন বোঝা যায় প্রস্রাব করার সময়। প্রস্রাব করার সময় অত্যন্ত জ্বালাপোড়া শুরু হয় প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণে আবার একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখা যায় যে যদি প্রস্রাব করতে যায় তখন কেন জানিনা প্রস্রাবের দুর্গন্ধ বের হয় এবং সেটা প্রচুর পরিমাণে হয়। এছাড়া প্রস্তাবের ইনফেকশন হলে প্রস্তাবের রং পরিবর্তন হয় কোন কোন ক্ষেত্রে এটা হলুদ হয়ে যায় আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এটা ফ্যাকাসি হয় আবার কিছু কিছু গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রং লাল হয়ে যায় রক্তের মত।

প্রসাবের ইনফেকশন এর ক্ষেত্রে আরও কিছু লক্ষণ আপনারা দেখতে পারেন এবং সেই লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি লক্ষণ হচ্ছে তলপেটে ব্যথা হওয়া। সাধারণত তলপেট থেকেই মূলত এই ইনফেকশন আসে যখন ইনফেকশন তলপেটের প্রাচীর গুলোতে সংক্রমণ শুরু করে তখন সেখানে ব্যথা হয় যেটাকে চিনচিন ব্যথা বলা হয় যেটা হতে পারে। এছাড়া রোগীর পেটে ব্যথা হতে পারে প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণে।

অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ওজন কমে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে ওজন কমে গেলে বুঝতে হবে তার শারীরিক সমস্যা হয়েছে এবং তার সঙ্গে যদি প্রসবের ইনফেকশনের এই উপসর্গগুলো দেখা যায় তাহলে তো আর দেরি করা যাবে না সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

প্রসবের ইনফেকশন হলে কি করবেন

প্রসবের ইনফেকশন ধরা পড়লে সবার আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে কেন এ প্রসাবের ইনফেকশন ধরা পড়েছে। আপনি যদি সঠিকভাবে নিশ্চিত হতে না পারেন কেন প্রসাবের ইনফেকশন ধরা পড়েছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাবেন। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার পরে আপনি অবশ্যই নিশ্চিত হতে পারবেন কেন প্রসাবে ইনফেকশন হয়েছে।

এ অবস্থাতে আপনি যখন খুব সুন্দর ভাবে প্রসাবে ইনফেকশন সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন তখন অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চেষ্টা করবেন নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে। এছাড়াও যদি বড় কোন সমস্যার কারণে প্রসাবে ইনফেকশন হয় তাহলে অবশ্যই তার বড় পরিকল্পনার ভেতরে যেতে হবে। কিডনি সমস্যার কারণে প্রসাবের ইনফেকশন হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে কেন্দ্রের চিকিৎসা করাতে হবে।

এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি জিনিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই অবশ্যই প্রত্যেকটি জিনিসকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে এবং চিকিৎসক যে কথাগুলো বলছেন সে কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। কখনো শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে আবার কখনো শারীরিক অবস্থা উন্নতি হতে পারে তাই সবসময় মানসিক শক্তিকে ধরে রাখতে হবে এবং আল্লাহতালার উপর ভরসা রাখতে হবে অবশ্যই তিনি আপনার জন্য উত্তম কিছুর ব্যবস্থা করে রেখেছেন।অসুস্থ হলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানসিক শক্তিকে ধরে রাখা আপনি যদি মানসিকভাবে দিক দিয়ে সুস্থ থাকেন তাহলে কোন অসুখী আপনাকে হারাতে পারবে না।