পেটে যদি ক্যান্সার হয় তাহলে সেটা একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এই ক্যান্সারের কারণে যিনি মারা যান তার সঙ্গে তার পুরো পরিবার অসহায় হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তৈরি করেছেন সেই আল্লাহ তায়ালার নিয়মে আমরা রোগে আক্রান্ত হই। আর আল্লাহ তায়ালার নিয়মেই আমরা মৃত্যুবরণ করি। তাই যদি কারো সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে তাহলে চেষ্টা করতে হবে সেই ঘটনা থেকে নিজেকে শক্তিশালী করতে। পৃথিবী থেকে কেউ চলে যেতে চায় না কিন্তু তারপরেও যেতে হবে তাই আপনারা যতটুকু সাধ্য আছে আপনি সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করবেন
পেটের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। আপনি যদি প্রাথমিক পর্যায়ের এই লক্ষণগুলো বুঝতেন না পারেন তাহলে অন্য লক্ষণগুলো বুঝে কোন উপকার হবে না। আমরা সকলেই অবগত আছি প্রাথমিক পর্যায়ে যে উপসর্গগুলো আছে সেগুলো ক্যান্সারের প্রাথমিক স্টেজের এবং এই স্টেজে ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এটার স্টেজ যদি বেশি হয় তাহলে সেখান থেকে বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা খুব কম।
পেটে ক্যান্সার হলে কিভাবে বুঝবেন
সাধারণত কিছু উপসর্গ আছে যেমন মনে করুন হঠাৎ করে পেটের ব্যথা। রোগী কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না তার পেটে কেন ব্যথা হচ্ছে। পেটের ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে তবে আপনি কিভাবে বুঝবেন এটা ক্যান্সারের জন্য ব্যথা। সাধারণত এখন আমরা যেই উপসর্গ গুলোর কথা বলব সেই উপসর্গগুলি একইসঙ্গে যদি কারো শরীরে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ধরে নিতে হবে এটা ক্যান্সারের জন্য ।
প্রচন্ড পরিমাণে পেটে ব্যথা এবং ব্যথা এতটাই জোরালো হবে যে রোগী কাতরাতে থাকবে এই ব্যথার কারণে। ব্যথার সঙ্গে পেটে জ্বালাপোড়া হতে পারে অর্থাৎ আপনি যখন কোন খাবার খাবেন সকল আগুনের মত চলতে শুরু করবে পুরো পেট। খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারানো এই সমস্যার অন্যতম কারণ এর পাশাপাশি অল্প খাওয়াতেই পেট ভরে যাওয়া ও একটি প্রাথমিক লক্ষণ।
পেটের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ এর সঙ্গে আরো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন বমি হওয়া এবং ভবিষ্যকে রক্ত ওঠা এই ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে পেটের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে। পেটের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় অত্যন্ত লক্ষণীয় সেটা হচ্ছে পায়খানা কমে যাওয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি হওয়া অনেকের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যায়। এই উপসর্গগুলোর সঙ্গে পায়খানার সঙ্গে লাল রক্ত বের হওয়ার প্রবণতাও দেখা যায় পেটের সমস্যার কারণে।
সব উপসর্গ গুলো দেখে বোঝা যায় যে রোগীর শারীরিক অবস্থা কতটা অবনতি হয়েছে এবং এই অবস্থাতে আরো শিওর হওয়া যায় যদি দেখা যায় হঠাৎ করে রোগীর ওজন কমে যাচ্ছে। সাধারণত এই লক্ষণগুলো থাকলে নিশ্চিতভাবে একজন রোগী বুঝতে পারে তার পেটে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
পেটের ক্যান্সারের চিকিৎসা
ক্যান্সারের সরাসরি কোন চিকিৎসা নেই এখন পর্যন্ত কেউ এটা আবিষ্কার করতে পারেনি তবে বেশ কয়েকটি চিকিৎসাকে একত্রিত করে এমন একটি পদ্ধতি বের করা হয়েছে যে পদ্ধতিতে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায়। বাংলাদেশে যে প্রচলিত পদ্ধতি আছে সেখানে তিনটি স্টেজ ব্যবহার করা হয় এবং এখানে কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপি ব্যবহার করা হয় ও সার্জারি ব্যবহার করা হয়।
যাদের ক্যান্সার গুলো প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে এবং যাদের সৃষ্টিকর্তা হায়াত লিখে রেখেছেন তারাই কেবলমাত্র এই ক্যান্সারের চিকিৎসার মাধ্যমে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেন। তবে এগুলো যেহেতু সরাসরি কোন চিকিৎসা না তাই এর প্রচুর পরিমাণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এগুলো সহ্য করাও অনেক রোগীর পক্ষে সম্ভব হয় না।
পেটের ক্যান্সারের চিকিৎসার খরচ
পেটের ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ অনেক। যারা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারেন তাদের খরচ কম হয় কিন্তু যারা একবার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পুনরায় আক্রান্ত হন তাদের ক্ষেত্রে এই খরচ বলে শেষ করা যাবে না। বিভিন্ন হাসপাতাল বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন রোগের উপর নির্ভর করে এই খরচ পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা হতে পারে।