পেটে টিউমার হলে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন পেটে টিউমার হয়েছে। এই উপসর্গগুলো যখন আপনার শরীরে দেখা দেবে তখন অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে সেগুলো আপনাকে বুঝতে হবে। সাধারণত নানা ব্যস্ততার কারণে আমরা জীবনের এমন কিছু সময় পার করি যেই সময়গুলোতে নিজের প্রতি খেয়াল রাখার সময়টুকুই আমাদের হয় না। তাই এরকম ধরনের উপসর্গ পাওয়ার পরেও আমরা অবহেলা করি বা ব্যস্ততার কারণে খেয়াল করি না। কিন্তু যখন সেটা আমাদের সহ্যের বাইরে চলে যায় তখন আমরা চিকিৎসকের কাছে যায় এবং তখন যাওয়ার পরে অনেক বড় ধরনের রোগের কথা শুনে।
এটা যদি টিউমার হয় তাহলে অবশ্যই সেটা বোঝা যাবে এবং বিভিন্ন উপসর্গ খেয়াল করলে সেটা বোঝা যাবে। চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা পেতে টিউমার হওয়ার কিছু প্রাথমিক উপসর্গগুলো জানি যার ফলে আমরা এই উপসর্গগুলো ফলো করে খুব অল্প সময়ে টিউমার নির্বাচন করতে পারবে এবং তার অপারেশন করে সুস্থ হতে পারব।
পেটে টিউমার হলে কিভাবে বুঝবেন
এটা টিউমার হলে কিভাবে বুঝবেন এটা অবশ্যই জানার একটি বিষয়। পেটের যে জায়গাতেই টিউমার হোক না সবার প্রথমে যে সমস্যা বা যেই জিনিসটা আপনি বুঝতে পারবেন সেটা হচ্ছে ব্যথা। এটা টিউমার হলে ব্যথা হবে এবং সেটা খুব সাংঘাতিক ব্যথা হবে। সাধারণত ব্যথা যদি দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে সেটা সমস্যার কারণে হয়েছে তবে কি সমস্যা হয়েছে এর কারণে আরো কিছু উপসর্গের প্রয়োজন আছে।টিউমার হলে খাবারের প্রতি অনিহার সৃষ্টি হবে অর্থাৎ ক্ষুধা পাবে না বা কারো কারো ক্ষেত্রে ক্ষুধা পাওয়ার পরেও সে খেতে পারবে না। কারো যদি পেটের টিউমার হয় তাহলে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে খাবার প্রতি অনিহা সৃষ্টি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
এটা টিউমার হলে পায়খানা অনিয়মিত হতে পারে অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা ডায়রিয়া যেকোনো সময় হতে পারে। এটা এতটাই অনিয়ন্ত্রিত যে রোগী নিজেই বুঝতে পারে না তার সঙ্গে কি হচ্ছে। অনেক সময় অনেক ধরনের রোগীদের পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়তে পারে টিউমারের কারণে।এছাড়াও পেটে টিউমার হলে হঠাৎ করে রোগীর ওজন কমে যেতে শুরু করবে। এটি টিউমার হলে স্বাভাবিকভাবে খাওয়ার অভ্যাস কমে যাবে এবং রোগীর শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল হতে শুরু করবে। যার কারণে হঠাৎ করে তার ওজন কমে যেতে পারে।
অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তশূন্যতা তৈরি হতে পারে। এটা যদি টিউমার হয় এবং তার সাইজ যদি অনেক বড় হয় তাহলে টিউমার শরীরে থাকা রক্তগুলোকে শোষণ করতে শুরু করবে এবং প্রচুর পরিমাণে রক্ত ব্যবহার করবে যার কারণে রক্ত শূন্যতা দেখা দিতে পারে।
টিউমারের চিকিৎসা
টিউমারের প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন। কিছু কিছু টিউমার আছে যা আমাদের শরীরের উপরের অংশে অর্থাৎ চামড়া এবং মাংসের মাঝখানে জন্ম নেয় এবং সেখানে বেড়ে ওঠে। এগুলো খুব সহজে দেখা গেলেও পেটের অভ্যন্তরে এবং শরীরের অভ্যন্তরে যে কোন অঙ্গে যে টিউমার গুলো হয় সেগুলো সহজে দেখা যায় না। তাই এই টিউমার গুলো যখন দেখা যায় তখন সে টিউমার গুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপারেশন করে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত। তার কারণ হচ্ছে এটা যতদিন আমাদের শরীরে থাকবে ততদিন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
টিউমার কোথায় কোথায় হয়
মানব শরীরে যে কোন অঙ্গে বা যে কোন অংশে টিউমার হতে পারে। সাধারণত ডিমান্ড হচ্ছে এক ধরনের অনিয়ন্ত্রিত কোষের সমষ্টি যেটা আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে বেড়ে ওঠে এবং আমাদের শরীরের সকল পুষ্টিগুণ ব্যবহার করে সে নিজের শক্তিতে রূপান্তর করে। এটিএমআর এর মধ্যে ক্যান্সারের ভাইরাস থাকতে পারে তাই শরীরে যে কোন অংশে টিউমার হোক না কেন সবার প্রথমে চেষ্টা করতে হবে টিউমার চিহ্নিত করার যত দ্রুত সম্ভব অপারেশন করে সেটা বিচ্ছিন্ন করা শরীর থেকে।