ইউরিন ইনফেকশন এর লক্ষণ

ইউরিন ইনফেকশন বলতে প্রস্রাবের ইনফেকশন কে বোঝানো হয়েছে। এটাকে যতটা ছোট ভাবেন নেওয়া হয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা এতটাও ছোট নয় অর্থাৎ ইউ এল ইনফেকশন হতে পারে বড় বড় রোগের কারণে। তবে আপনি যদি চিকিৎসা ছাড়াই বুঝতে চান আপনার ইউরিনে ইনফেকশন হয়েছে কিনা তাহলে অবশ্যই কিছু লক্ষণ আছে যে লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়েছে। এই প্রস্তাবের ইনফেকশন হওয়ার বেশ কয়েকটি লক্ষণ আমরা এখানে ছোট্ট ছোট্ট বেড়াতে তুলে ধরলাম আশা করছি আপনারা বুঝতে পারবেন।

প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ইউরিন ইনফেকশনের অন্যতম একটি কারণ। অর্থাৎ আপনার প্রস্রাবে যদি জ্বালাপোড়া হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ধারণা করতে পারেন এটা ইউরিন ইনফেকশনের কারণে হয়েছে।প্রস্রাবে দুর্গন্ধ পাওয়া ইউরিন ইনফেকশনের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এই লক্ষণ বুঝতে পারলে ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।অনেকের ক্ষেত্রে প্রস্তাবের রং গাঢ় হলুদ ও লাল হওয়া প্রসাবের ইনফেকশনের অন্যতম একটি কারণ। এছাড়াও অনিয়মিত প্রস্রাব বাঁশ শেষে ফোঁটা ফোটা পোস্টার হওয়া ইউরিন ইনফেকশনের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

কিভাবে বুঝবেন ইউরিনে ইনফেকশন হয়েছে

আপনি যদি বুঝতে চান আপনার শরীরে ইউরিন ইনফেকশন হয়েছে তাহলে কিছু লক্ষণ ফলো করলেই আপনি সেটা নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারবেন। সেই লক্ষণ গুলোর মধ্যে কিছু লক্ষণ আমরা উপরের অংশে উল্লেখ করেছি এখন আমরা আপনাদের সেই লক্ষণগুলো নতুনভাবে আরো কিছু জানানোর চেষ্টা করব আশা করছি আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ গুলোর মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া অর্থাৎ পানি না খেলেও প্রস্রাব হয় পানি খেলেও প্রস্রাব হয়। এই ধরনের সংসার যাদের আছে তাদের প্রাথমিকভাবে ইউরিনার ইনফেকশন হিসেবে ধরা হয়। অনেক সময় তলপেটে বা পিঠের নিচের দিকে ব্যাথা হতে পারে ইউরিন ইনফেকশনের কারণে।

অনেকের ক্ষেত্রে সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব বা সন্ধ্যার পর কাপন দিয়ে জ্বর আসা ইউরিন ইনফেকশনের অন্যতম একটি কারণ। বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও ইউরিনার ইনফেকশনের কারণে এটা হতে পারে। অনেক রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কোমরের ব্যথার কারণে ইউরিনো ইনফেকশনের পরীক্ষা করলে সেটা ধরা পড়ে। রাতে ঘুমানোর পরে ঘনঘন প্রস্রাব চাপা ইউরিন ইনফেকশনের আরো একটি কারণ।

ইউরিন ইনফেকশন হলে কি করা উচিত

ইউরিন ইনফেকশন হলে কি করবেন এরকম প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে অবশ্যই ইউরিন ইনফেকশন হলে বসে থাকলে চলবে না এটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক ক্ষতি করতে পারে। সবার প্রথমে আপনাকে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে ইউরিন ইনফেকশন হয়েছে কিনা এবং এই কাজে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অল্প কিছু ঔষধ খাওয়ার ফলেই ইউরিনার ইনফেকশন ভালো হয়ে যায় কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক এর প্রয়োজন পড়ে। তবে এর পাশাপাশি কিছু অভ্যাস আছে যে অভ্যাসগুলো পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইউরিন ইনফেকশন কমে যেতে শুরু করবে যেমন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং নিয়মিত ঘুম পাড়া।

ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয়

ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় অর্থাৎ এখানে বোঝানো হয়েছে কোন কোন রোগের কারণে ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে। ইনফেকশন সাধারণ নিয়মেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে তবে কিছু জটিল সমস্যা আছে যেগুলোর উপসর্গ হিসেবে ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। কিডনির সকল ধরনের রোগের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে ধরা পড়বে ইউরিনে ইনফেকশন তাই আমরা বলতে পারি যে ইউরিন ইনফেকশন টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টেস্ট । এছাড়াও প্রোস্টেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও প্রোস্টেট থলিতে পাথর এই ধরনের গুরুতর রোগের প্রাথমিক নির্ণয়ই টেস্ট হচ্ছে ইউরিন ইনফেকশন। তাই ইউরিনের ইনফেকশন টেস্ট করা আমাদের সকলের উচিত বিশেষ করে এই ধরনের সমস্যা যদি আমরা ফেস করি।