আপনি যদি একজন গর্ভবতী মা হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি ভেবে থাকেন একজন গর্ভবতী মায়ের দশ মাসে আমল সম্পর্কে তাহলে আপনাকে জানাই স্বাগতম। আমরা আজকে আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব একজন গর্ভবতী মায়ের দশ মাসের আমল সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য। আপনি চাইলে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন এতে করে আপনি অনেক উপকৃত হতে পারবেন।
গর্ভবতী অবস্থায় বেশি বেশি আমল করা অত্যন্ত ভালো একটি কাজ। আমরা যেহেতু মুসলিম সেহেতু আমরা প্রত্যেক গর্ভবতী মায়েরায় চাইবো আমাদের গর্ভের সন্তান যেন সুস্থ হয় এবং নেককার হয়। তবে সুস্থ সুন্দর এবং নেককার সন্তান পাওয়ার জন্য একজন গর্ভবতী মাকে অবশ্যই কিছু আমল করতে হবে।
আপনি যদি বেশি বেশি আমল করেন তাহলেই তো আল্লাহ তাআলা খুশি হয়ে যাবেন আর আল্লাহ তা’আলা খুশি হলে অবশ্যই আপনাকে নেককার সন্তান দিবেন। তাই গর্ভবতী মায়েদের বেশি বেশি আমল করা প্রয়োজন। এতে করে মা যেমন সুস্থ থাকবেন ঠিক তেমনি একটি সুস্থ সুন্দর এবং নেককার সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ইবাদতের চাইতে গুনাহ ছেড়ে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করাটা অধিক ভাবে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। তাই সবার আগে একজন গর্ভবতী মাকে গর্ভাবস্থায় জিকির করার পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার আমল করার পাশাপাশি তাকে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।যেসব কাজ করলে আল্লাহ তাআলা নারাজ হয়ে যান যেসব কাজ করলে আপনার পাপ বেড়ে যাবে সেই কাজগুলো থেকে অবশ্যই আপনাকে এর সময় বিরত থাকা উচিত।
তো চলুন আমরা আজকে আলোচনা করি গর্ভবতী মায়ের দশ মাসের আমল সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য নিয়ে।
গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজনীয় আমল
একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থার সময় প্রয়োজনীয় আমল বলতে আমরা যেগুলোকে বুঝি সেগুলো হল নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা, শরীরের সুস্থতা অনুযায়ী যতটুকু পারবেন ততটা সিয়াম পালন করা। অর্থ অনুযায়ী যাকাত প্রদান করা। মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা। গর্ভবতী অবস্থায় বেশি বাহিরে চলাফেরা না করা। আল্লাহর জিকির বেশি বেশি করা।
আল্লাহর ইবাদত করা এবং আল্লাহ তায়ালার ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পথে চলা। আমরা যদি গর্ভবতী অবস্থায় এসব নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলি তাহলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই আমাদেরকে একজন নেককার সুন্দর চরিত্রের সন্তান জন্ম দেওয়ার তৌফিক দান করবে।
একজন গর্ভবতী মাকে আল্লাহ তা’আলা যে সব কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন এবং যেসব বড় বড় গুনাহ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন সেগুলো থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। আর এটা করতে হবে আপনার ভেতরে বেড়ে ওঠা সন্তানের জন্যই।
এছাড়াও যেরকম টিভি দেখা কণ্ঠস্বরকে সংযত করা এসব গুলো থেকেও একজন গর্ভবতী মায়ের বিরত থাকা প্রয়োজন। যতটুকু সম্ভব একজন গর্ভবতী মাকে পর্দার ভেতরেই থাকতে হবে তাহলে সে একজন সুন্দর সন্তানের জন্ম দিতে পারবে।
এ সময় একজন গর্ভবতী মাকে বেশি বেশি জিকিরের সাথে কোরআন তেলোয়াত বেশি বেশি করতে হবে। মা যদি এ সময় বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করে তাহলে তার সন্তান এগুলোই বেশি বেশি শিখবে।
গর্ভাবস্থায় রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে স্বাস্থ্যহানি ঘটে। তাই এশার নামাজ এর সময় শুরুতেই পড়ে নিতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাজ সেরে যত দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে পড়তে হবে। কারণ আপনি যদি দেরি করে ঘুমাতে চান তাহলে ফজরের নামাজ পড়তে অসুবিধায় হবে।
অন্ততপক্ষে এতটা আগে রাতের বিছানায় যেতে হবে যাতে করে কমপক্ষে 6 ঘন্টা ঘুম নিশ্চিন্তে হয়ে যায় এবং ফজর যথাসময়ে পড়া যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন আর আমি তোমাদের নিন্দা কে করেছি ক্লান্তি দূরকারি।
দৈনিক সুস্থতা ও আন্তরিক প্রশান্তির ক্ষেত্রে ওযুর ভূমিকা অপরিসীম। তাই একজন গর্ভবতী মাকে সবসময় অজু করে থাকাটাই সব থেকে ভালো। স্বাভাবিকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে প্রায় সব সময় ওযু থেকে যায়। এরপরেও অজু ভেঙ্গে গেলে সাথে সাথে ওযু করে রাখবেন এতে করে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।