কিডনি রোগের পরীক্ষা

সকলের চাই সুস্থ থাকতে কিন্তু আমাদের অভ্যাসগত কারণে এমন কিছু বদ অভ্যাস আমাদের আছে যেখান থেকে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিডনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এবং সেই অঙ্গে যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের জন্য অসুস্থতার কারণ। কিডনি রোগ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ রোগ এবং এভাবে আক্রান্ত হলে যে কেউ যখন তখন মারা যেতে পারে।সাধারণত কিডনির সমস্যা যদি হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গের মাধ্যমে সেটা বোঝা যায়। কিডনির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই উপসর্গগুলো আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে। তবে শুধুমাত্র উপসর্গের মাধ্যমে যে কিডনি রোগের জন্য সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে এটা ভুল ধারণা এর জন্য রয়েছে পরীক্ষা করা। আজকে আমরা আপনাদের জানাবো কিডনি রোগে সাধারণত কোন কোন পরীক্ষা করতে হয়।

কিডনি রোগের বড় বড় যারা চিকিৎসক আছেন তাদের মতে সাধারণত যদি কোন উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে সবার প্রথমে দুইটি সাধারণ টেস্ট করতে হবে। দুইটি সাধারণ টেস্ট এর মধ্যে প্রস্রাবের ইনফেকশন টেস্ট করতে হবে যেখানে দেখতে হবে প্রস্রাবে এলবুমিন যাচ্ছে কিনা। এটা কিডনির সমস্যার টেস্টের অন্যতম একটি টেস্ট। এর পাশাপাশি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট হচ্ছে রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা। আপনি যদি কিডনির সমস্যা ধরতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাপ দেখতে হবে। এই দুইটি পরীক্ষা অবশ্যই আপনাকে প্রাথমিক পর্যায়ে করতে হবে কিডনির সমস্যা নির্ণয়ের জন্য।

কিডনি রোগের পরীক্ষা কিভাবে করে

কিডনি র সমস্যা হয়েছে কিন্তু সেটা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না এখন পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হবেন আপনার কিডনির সমস্যা হয়েছে কিনা। কিডনি রোগের পরীক্ষা সাধারণ যে দুটি পরীক্ষা আছে সেখানে রবিকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। এই পরীক্ষাতে সাধারণ রক্ত দেওয়া হয় এবং স্যাম্পল হিসেবে প্রস্রাব নেওয়া হয়।দুইটা জিনিসের পর দেওয়া হয়। যদি এই দুইটি পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো আসে তাহলে তো ভালো। তবে যদি না পাশে তাহলে অবশ্যই সঠিক চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে রোগীদের।

কিডনি রোগের পরীক্ষার খরচ কত

ভালো করে আমরা দুইটি সাধারণ পরীক্ষার কথা উল্লেখ করেছি। সাধারণ পরীক্ষা আপনি যদি করাতে চান তাহলে খরচ কত হতে পারে এটা অনেকে জানতে চাই। যতটুকু জানতে পেরেছি এই দুইটি পরীক্ষা করাতে সরকারি হাসপাতালে আপনার খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ 500 টাকা। তবে আপনি যদি এটা বেসরকারি কোন হাসপাতাল বা উন্নতমানের প্যাথলজিক্যাল পড়াতে চান তাহলে আপনার খরচ থেকে এক হাজার টাকার মত হতে পারে। তবে আমার খরচের হিসাব নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। তার কারণ রোগগুলো নির্ণয় করাটা সবথেকে বেশি জরুরী।

আপনি যখন এই ছোট্ট খরচ করে পরীক্ষা করে জানতে পারবেন আপনার কিডনিতে কোন সমস্যা নেই তখন সত্যিই খুব ভালো লাগবে। এছাড়াও ছোট্ট পরীক্ষার মাধ্যমে যখন সাধারণ কোন সমস্যা ধরা পড়ে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেশে সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায় তখন বোঝা যায় এই পরীক্ষাগুলোর মূল্য কত। আশা করছি বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন যেটা আমি বোঝাতে চেয়ে।

কিডনি ভালো আছে কিনা তা বোঝার উপায়

আপনার কিডনি ভালো আছে কিনা সেটা আপনি কিভাবে বুঝবেন এটা নিয়ে এখন আলোচনা। যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে কিডনি জনিত সমস্যার যে লক্ষণগুলো রয়েছে সেই লক্ষণগুলোর একটি অবশ্যই আপনার শরীরে আপনি পাবেন। লক্ষণগুলো সম্পর্কে আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি আলোচনা করার কোন প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি না।নিশ্চিত হতে পারেন এই উপসর্গগুলো যদি আপনার শরীরে না থাকে তাহলে আপনার কিডনিতে কোন সমস্যা নেই। কিডনিতে সমস্যা হলে অবশ্যই এটা বোঝা যাবে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গের মাধ্যমে তাই কোন ধরনের উপসর্গ না থাকলে আপনি একেবারে নিশ্চিত থাকতে পারেন আপনার সম্পর্কে।