টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষার নাম

আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের প্রয়োজন রয়েছে। এই হরমোন গুলোর মধ্যে যদি কোন একটি হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে সেটা আমাদের শরীরের উপর অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে। টেস্টোস্টেরন হরমোন আমাদের বয়সন্ধিকাল থেকে আমাদের শরীরে উৎপন্ন হতে থাকে। এটা প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত আমাদের শরীরে উৎপন্ন হতে থাকে কিন্তু তার পরবর্তী সময় থেকে এটা উৎপাদন হওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

যদি টেস্টোস্টেরন হরমোন কমার লক্ষণগুলো কারো শরীরে দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই তাকে পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজেই সে নিশ্চিত হতে পারবে টেস্টোস্টেরন হরমোন তার শরীরে কম আছে কিনা। যদি কম থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে আর যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে কোন চিন্তার কারণ নেই অন্য কোন সমস্যার কারণে মূলত এটা হয়েছে। টেস্টোড়ল পরীক্ষা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে রক্ত প্রদান করতে হবে। টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষার নাম হচ্ছে Testosterone Test .

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়

সাধারণত এই হরমোন বৃদ্ধি করার জন্য যেই কাজটি একজন রোগী করতে পারে সেটা হচ্ছে কিছু প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করতে। আপনারা যদি প্রাকৃতিক উপায়ে এই হরমোন শরীরের অভ্যন্তরে বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে অন্যথায় অন্য যে উপায় গুলো রয়েছে সেগুলোর খারাপ দিক অনেক ক্ষতিকারক। সাধারণত টেস্টোস্টেরন হরমোন ছেলেদের যৌন সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এটা অনেকের ধারণা। অবশ্যই এটা যৌন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তবে শুধুমাত্র যে যৌন সমস্যার জন্য এই হরমোন দায়ী এটাও ভুল ধারণা। চলুন প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে এই হরমোন বৃদ্ধি করা যায় সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

একটি স্বাস্থ্যকর ওজন আপনাকে বজায় রাখতে হবে অর্থাৎ আপনি যত অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হবেন ততই এই হরমোন আপনার শরীরে কমতে শুরু করবে। অর্থাৎ আপনি যত সুন্দর শরীরের অধিকারী হবেন আপনার শরীরে এই হরমোনের পরিমাণ ততই ঠিক থাকবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সেটা হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণা থেকে এটা উঠে এসেছে যে এই হরমোন প্রচুর পরিমাণে মানব শরীরে উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ আপনার বয়স যতই বাড়ুক না কেন আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে এই হরবোন আপনার শরীর সঠিকভাবে মজুদ থাকবে।

সাধারণত এই হরমোন বৃদ্ধির জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুম। প্রাপ্ত ব্যাস্ত মানুষের পক্ষে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম পারলে এই হরমোন সঠিকভাবে শরীরে উৎপন্ন হবে যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ এবং মানসিক চিন্তাভাবনা সাধারণত এই হরমোন উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত করে। আপনি যদি নিজের স্ট্রেস লেভেল কে ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতি দেখা দেবে না।

টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার কারণ

সাধারণত এটা মেয়েদের এবং ছেলেদের শরীরের অভ্যন্তরে উৎপন্ন হয় অনেকেই হয়তো এটা জানেন না মেয়েদের শরীরেও এই হরমোন উৎপাদন হয়। এটা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শরীরের অভ্যন্তরে উৎপন্ন হয় কিন্তু এই সময় অতিক্রম করার পরে সাধারণত এই হরমোনার উৎপাদন হতে চায় না। এই হরমোন উৎপাদন হওয়ার স্বাভাবিক মাত্রা কমে আসে। স্বাভাবিক মাত্রা কমে আসার কারনে মূলত শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে এই সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার কারণে মূলত টেস্টোস্টেরন পরীক্ষা করানো হয়।

এটা কমে যাওয়ার অস্বাভাবিক কোনো কারণে সাধারণত শরীরের অভ্যন্তরে এর উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে সেটা হয় আর এটা হয় সাধারণত বয়স বৃদ্ধির কারণে। তবে অবশ্যই কিছু নিয়ম এবং কিছু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে খুব সহজেই পুনরায় এই হরমন শরীরের ভালোভাবে মজুদ করা যায়। তাই এখানে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।