প্রেগনেন্সি টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টেস্ট এবং সঠিক সময়ে আপনি যদি এই টেস্ট না করেন তাহলে অনেক সময় ভুল রিপোর্ট আসতে পারে। এটা অত্যন্ত আনন্দের একটি সংবাদ সেখানে যদি কোন ভুল রিপোর্ট আপনার আনন্দকে নষ্ট করে দেয় তাহলে সেটা খুবই খারাপ হয়। তবে আমাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব আছে এবং আমরা একটু তাড়াহুড়োই করি এই সকল বিষয়ে। অবশ্যই একটি যুগলের সব সময় আশা থাকে অভিভাবক হওয়ার।
তাই যারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে অভিভাবক হবেন এবং সেই প্রচেষ্টা চালায় তারা যদি এরকম কোন সংকেত পায় তাহলে ধৈর্য ধরে রাখতে পারেনা। তবে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে যতটুকু সম্ভব ততটুকু ধৈর্য ধরে রাখতে এবং জানতে কতদিন পরে সাধারণত এই প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে সেটা সবথেকে ভালো। সাধারণত স্ত্রীর প্রতিমাসেই ঋতুস্রাব হয় যদি এই অবস্থাতে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেই দিন ধরতে হবে ৩০ তম দিন। তারপরে আরো ১৫ দিন যোগ করতে হবে এবং এই ১৫ দিনে যদি ঋতুস্রাব না হয় এবং বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে এটা বোঝা যায় যে গর্ভে সন্তান আসার সম্ভাবনা হয়েছে তাহলে ৪৫ তম দিনের পরে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে হবে।
কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করাবেন
সাধারণত ৪৫ তম দিনের পরে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয়ে থাকে। প্রেগনেন্সি টেস্ট কথা বলতে বোঝানো হয়েছে ইউরিন ব্যবহার করে যেই পরীক্ষা করানো হয় এবং যেখানে প্রেগনেন্সি পজিটিভ অথবা নেগেটিভ এই রেজাল্ট আসে সেই টেস্টের কথা। এখন অনেকেই বলতে পারেন যে আমার এর আগেই টেস্ট করানো হয়েছিল এবং আমি আগেই বুঝতে পেরেছি আমি প্রেগন্যান্ট হয়েছি। অবশ্যই এটা সম্ভব কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই 45 দিনের পরে প্রেগন্যান্সি সম্পর্কে একেবারে শিওর হওয়া যায়।
কিছু কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৫ দিনও প্রেগন্যান্সি সঠিকভাবে বোঝা যায় না সেখানে হালকা কিছু দেখা যায় তবে তাদের জন্য আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করার পরে অর্থাৎ তম দিনের পরে যদি প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয় তখন পুরোপুরি শিওর হওয়া যায় সে প্রেগন্যান্ট হয়েছে। প্রেগনেন্সি টেস্টের জন্য টাইমিংটা অত্যন্ত জরুরী এছাড়াও প্রেগনেন্সি টেস্টের আরো কিছু টেস্ট আছে যেগুলো আরো পরে করাতে হবে।
প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করাতে হয়
প্রেগনেন্সি টেস্ট করার প্রক্রিয়াটি একেবারেই সহজ আপনি চাইলে নিজের বাড়িতেও সেই কাজটি করতে পারে নিজে নিজেই। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার যে কিট আছে যাকে আমরা প্রেগনেন্স কাঠি বলে থাকি সেটা নিয়ে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। যখন ৪৫ দিন অতিক্রম করবে তখন খুব সকালের প্রস্রাব সংগ্রহ করে নিতে হবে। এরপরে প্রস্রাবের কয়েক ফোটা ড্রপারের মাধ্যমে সেই কিটের উপর ফেলতে হবে দেখবেন আস্তে আস্তে সেই কীটের মধ্যে প্রস্রাব গুলো শোষিত হবে এবং একটি জায়গাতে লাল দাগ তৈরি হবে।
এখানে যদি একটি দাগ তৈরি হয় তাহলে এটা প্রেগনেন্সির লক্ষণ নয় তবে যদি দুইটি দাগ তৈরি হয় তাহলে এটা প্রেগনেন্সির লক্ষণ এবং বলা যেতে পারে উক্ত মহিলাটি প্রেগনেন্ট হয়েছে। তবে বাড়িতে যদি এই প্রক্রিয়াতে বিশ্বাস না হয় বা আপনি যদি সঠিকভাবে এই প্রক্রিয়ার না এপ্লাই করতে পারেন তাহলে আপনার নিকটস্থ প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে গিয়ে আপনাকে পরীক্ষা করানোর জন্য ইউরিন স্যাম্পল প্রদান করতে হবে। তারাও প্রায় একই ধরনের পদ্ধতি এপ্লাই করে আপনাকে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারবে প্রেগনেন্সির রেজাল্ট সম্পর্কে।
প্রেগনেন্সি টেস্টের জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি কবে করাবেন
প্রেগনেন্সির কাঠি পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি যখন পজিটিভ রেজাল্ট পেয়েছেন তখন আপনাকে আল্টাসনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দিতে পারেন অনেক চিকিৎসক। প্রথম দিকে আলট্রাসোনো করানোর ক্ষেত্রে কোন উপকার নেই তাই কোন ধরনের সমস্যা না হলে প্রথমদিকে আল্ট্রাসনো না করানোই ভালো। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এখন মেয়েদের যে পরিমাণে অসুখ-বিসুখ তৈরি হচ্ছে তাই প্রথমদিকে একটিবার আলট্রাসনোগ্রাফিক করিয়ে নেওয়া সন্তান এবং সন্তানের মায়ের জন্য ভালো। বিশেষ করে একটোপিক প্রেগনেন্সির জন্য।