প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে টাইমিংটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর সময় সহজে রেজাল্ট আসে না আবার কারো কারো খুব সহজে রেজাল্ট আসে। আসলে এগুলো সবকিছুই বাস্তব ধর্ম অর্থাৎ কার ক্ষেত্রে কি হবে সেটা কেউ বলতে পারে না তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটে থাকে সেই বিষয়ে আজকে আলোচনা করব। চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী যদি কেউ গর্ভবতী হয় তাহলে তার দিন গোনা শুরু হবে মাসিকের তারিখের উপর নির্ভর করে।
সাধারণত যেই দিনে মাসিক হওয়ার কথা ছিল সেই দিনে যদি মাসিক না হয় তাহলে সেই দিনটাকে ৩০ দিন হিসেবে ধরে পরবর্তীতে দিন গোনা শুরু হবে। এই অবস্থাতে প্রেগনেন্সি টেস্ট কেউ করাতে চাইলে এই টেস্টের সঠিক মান আসবে ৪৫ দিনে। এছাড়াও অনেকেই রয়েছেন যারা তিরিশতম দিন অথবা ৩৫ তম দিনে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর পরেও পজিটিভ রেজাল্ট পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এটা সম্ভব। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর সঠিক সময় হচ্ছে ৪৫ দিনের পরে।
প্রেগনেন্সিতে আল্ট্রাসনোগ্রাফি কখন করাতে হবে
প্রেগনেন্সিতে নিশ্চিত হওয়ার পরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানোর খুব একটা প্রয়োজন নেই। তবে বর্তমানে এমন কিছু সমস্যা তৈরি হয় যে সমস্যার কারণে শুরুতেই আল্ট্রাসনোগ্রাফি করানো হয়ে থাকে। আমি অনেক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাদের মতামত অনুযায়ী শুরুতে আলট্রাসনোগ্রাফি প্রেগনেন্সিতে খুব একটা বড় অবদান রাখে না। তারপরেও তারা কেন বারবার শুরুতে আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে বলেন এই প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন চিকিৎসক বলেছেন যে যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে সেগুলো শুরুতেই খুঁজে বের করা ভালো।
সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে জমজ বাচ্চা হওয়া যদি জমজ বাচ্চা সন্তান পেটে আসে তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে সঠিক পরিচর্যা করাতে হবে এবং তার জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আরো একটি বড় ধরনের সমস্যা এখন দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে একটোপিক প্রেগনেন্সি। এটা এমন একটি সমস্যা যে সমস্যার কারণে সাধারণত ডিম্বাণু জরায়ুতে প্রবেশ করতে পারে না যার কারণে ডিম্বাণুর অবস্থান যেখানেই থাকে সেখানে শুক্রাণু প্রবেশ করে এবং সেখানে সেটা আস্তে আস্তে মাংসপিণ্ড রূপান্তরিত হয়। কিছুদিন যাওয়ার পরেও যদি সেটা জরায়ুতে না প্রবেশ করে তাহলে সেটা একটপিক প্রেগনেন্সি এবং এটা অপারেশন করে বের করতে হয় তাই শুরুর দিকে আলট্রাসনোগ্রাফির অনেক গুরুত্ব আছে।
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই লক্ষণ গুলো যদি কেউ বুঝতে না পারে তাহলে গর্ভধারণের অনেক সমস্যা হয়। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম এই যে লক্ষণ দেখা দেয় সেটা হচ্ছে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া। এই অবস্থাতে আরো কিছু সমস্যা দেখা দেয় যেমন ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া। এছাড়াও খাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারানো এবং বমি হওয়ার প্রবণতা তৈরি করতে পারে এই অবস্থাতে। এই সমস্যাগুলো বোঝা যায় যখন একজন মা গর্ভধারণ করে তারপরেও শিওর হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হবে।
প্রেগনেন্সি টেস্ট কিভাবে করাবেন
টেস্ট করানোর জন্য দুটি পদ্ধতি আছে একটি হচ্ছে কাঠির মাধ্যমে বাড়িতে নিজের পরীক্ষা করা অপরটি হচ্ছে প্যাথলজিক্যাল উপস্থিত হয়ে পরীক্ষা করা। আপনি দুইটি পদ্ধতি যেকোনো একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন সেটা আপনার ইচ্ছা তবে শতভাগ শিওর হওয়ার জন্য ল্যাবে পরীক্ষা করা সব থেকে ভালো।
পরীক্ষা যতটা সঠিক হবে ততই ভালো তার কারণ হচ্ছে এখন বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক পরীক্ষার মান সঠিক আসছে না তাই আপনাকে অবশ্যই ল্যাবে উপস্থিত হয়ে সেটা নিশ্চিত হতে হবে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল তাই অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত শুরু থেকেই তার কারণ হচ্ছে যে কোন ধরনের সমস্যা হলে সে চিকিৎসা আপনার পাশে থাকবে এবং তার দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ভুল কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন।