যারা থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কাছে নিয়মিত চিকিৎসার নাম হচ্ছে টিএসএইচ। এই পদ্ধতিতে আপনাকে আপনার শরীরের একটি হরমোনের পরিমাপ নির্ধারণ করা হয় এবং যার মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। আমরা সকলে অবগত আছি যে আমাদের শরীরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হরমোন আছে যেগুলো আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি ক্রিয়াকলাপে অবদান রাখে।
এই হরমোন গুলো যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা সেটা বুঝতে পারি এবং এর চিকিৎসার মাধ্যমে আমরা সেটা থেকে মুক্তি পেতে পারি। যারা টিএসএইচ পরীক্ষা করেছেন এবং পরীক্ষার মান স্বাভাবিক কত জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমরা টি এইচ এইচ পরীক্ষার স্বাভাবিক মান নিয়ে আসলাম।TSH-0.27-4.2ML হচ্ছে এই হরমোনের স্বাভাবিক পরিমাপ। এই স্বাভাবিক পরিমাপ যদি বজায় থাকে তাহলে খুবই ভালো। এ অবস্থাতে রোগীকে কোন ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে না তবে যদি এই স্বাভাবিক পরিমাণ বজায় না থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এক্ষেত্রে রোগীর থাইরয়েড হরমোন বেশি আছে না কম আছে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
থাইরয়েড এর মাত্রা কত
মানব শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোন আছে তার মধ্যে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যে হরমোন বের হয় সেটাকে থাইরয়েড হরমোন নামকরণ করা হয়েছে। এই থাইরয়েড হরমোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস যেটা আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে অবদান রাখে। এই থাইরয়েড হরমোন যদি হঠাৎ করে বেড়ে যায় তাহলে কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয় আবার যদি এই থাইরয়েড হরমোন আমাদের শরীরে কম থাকে তাহলেও কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যায়। থাইরয়েড এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে সবার প্রথমে যে কাজটা আপনাকে করতে হবে সেটা হচ্ছে থাইরয়েড পরীক্ষা এবং এই পরীক্ষার নাম হচ্ছে টি এস এইচ হরমোন টেস্ট। এই পরীক্ষার স্বাভাবিক মান অত্যন্ত জরুরি একটি ব্যাপার যদি স্বাভাবিক মান না থাকে তাহলে নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে সেটাকে স্বাভাবিক রাখতে হবে।TSH-0.27-4.2ML এটা হচ্ছে এই পরীক্ষার স্বাভাবিক মান।
থাইরয়েডের সমস্যা হলে কি হয়
থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা দেখা দিলে একজন রোগীর শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ সমস্যাগুলোর মধ্যে হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি বা ওজন কমে যাওয়া একটি বড় সমস্যা। যাদের শরীরে থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা আছে তাদের এই বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ্যণীয় হয়। এর পাশাপাশি হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপ অর্থাৎ কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হওয়া অর্থাৎ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকা বা অনিয়ন্ত্রিত স্পন্দন হতে পারে থাইরয়েড হরমোনের কারণে।
এর পাশাপাশি মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্যনীয় সেটা হচ্ছে অনিয়মিত মাসিক সৃষ্টি হতে পারে থাইরয়েড হরমোন এর কারণে। বিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এই থাইরয়েড হরমোন তাই অবশ্যই সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। এছাড়াও থাইরয়েড এর হরমোনের সমস্যার কারণে অনেকের ঘন ঘন পায়খানার সমস্যা তৈরি হতে পারে।
থাইরয়েড রোগের চিকিৎসা
থাইরয়েড রোগের চিকিৎসা সাধারণত নিয়মিত চিকিৎসা এটা আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে করতে হবে। কোন রোগের যদি থাইরয়েডের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিয়মিত চেকআপ করতে হবে এবং নিয়মিত ঔষধ খাওয়া চালিয়ে যেতে হবে। এটা এতটাই জটিল সমস্যা যে আপনি যদি একটু অবহেলা করেন তাহলে যে কোন সময় থাইরয়েডের হরমোন বৃদ্ধি পাবে আবার কোন কোন সময় থাইরয়েড হরমোন কমেও যেতে পারে।দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড হরমোন বৃদ্ধি পেতে থাকলে রোগীর গলগন্ড রোগ হতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং থাইরয়েডের যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে অতি দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে তার সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। অবশ্যই এই রোগের সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে সুস্থ থাকা যায়।