আপনারা যারা টাইফয়েডের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে বসে আছেন তাদেরকে সবার প্রথমে একজন বিশেষজ্ঞ মেডিসিন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আমি আমার জীবনে এমন অনেক মানুষকে দেখেছি যারা ভেতরে ভেতরে টাইফয়েডের জীবাণু নিয়ে জীবন যাপন করছে কিন্তু এমন একটি পর্যায়ে তখন আর পারছে না যখন সে একেবারে অসুস্থ হয়ে যায় তখন ডাক্তারের কাছে যায়। একেবারে ভুল সিদ্ধান্ত মানুষের শরীরে থাকলে কোন ক্ষতি হয় না এটাও ভুল ধারণা।
টাইফয়েড অত্যন্ত সাংঘাতিক একটি রোগ এবং টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কিডনি ফেইলর এবং পাকস্থলীতে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন তৈরি হতে পারে যা পাকস্থলী অকার্যকর করে দিতে পারে। তাই সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এবং আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন টাইফার পরীক্ষার পরে যে রিপোর্ট দেওয়া হয় সেই রিপোর্ট দেখে কিভাবে বুঝবেন আপনার টাইফয়েড হয়েছে কিনা। আপনারা সকলে অবশ্য অবগত আছেন আমাদের ওয়েবসাইটে মেডিকেল রিলেটেড বহু তথ্য আপলোড করি এবং সেগুলো শতভাগ সঠিক করার চেষ্টা করি। নিচের অংশে টাইফয়েড টেস্ট নিয়ে বিভিন্ন তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
টাইফয়েড টেস্টের নরমাল রিপোর্ট কি
টাইফয়েড টেস্ট এর নাম হচ্ছে উইডাল টেস্ট।Widal test এর মান যদি নরমাল থাকে তাহলে খুব ভালো কিন্তু এর মান যদি অস্বাভাবিক থাকে তাহলে সেটা খুব চিন্তার ব্যাপার এবং অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করতে হবে এই ধরনের রোগীদের। সাধারণত উইডাল টেস্টের স্বাভাবিক মান হবে Widal test-1:80 এমন যদি এমন থাকে তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনার শরীরে টাইফয়েডের কোন ভাইরাস নেই । তবে টাইফয়েডের ভাইরাস আছে এমন স্বাভাবিক মাত্রা টেস্টের রিপোর্ট হবে Widal test-1:160 এমন যা দেখে আপনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন যে আপনার শরীরের টাইফয়েডের ভাইরাস আছে।
তবে এটা একেবারে সামান্য পর্যায়ে আছে অর্থাৎ এখানে খুব অল্প সময়ের চিকিৎসা থেকে আপনি সুস্থ হতে পারবেন। তবে কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ড্রাইভার এর মাত্রা অনেক বেশি হতে পারে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে এবং সেই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে টাইফয়েডের পরীক্ষা করলে হবে এমন নয় এর পাশাপাশি তাকে পরীক্ষা করতে হবে তার কিডনি ফাংশন এবং লিভার ফাংশন এই দুইটি অত্যন্ত জরুরি বিষয় তার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মাত্রায় টাইফয়েড যদি শরীরের অভ্যন্তরে কিছুদিন থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবে কিডনিতে ড্যামেজ তৈরি করতে পারে এবং লিভারের ড্যামেজ তৈরী করতে পারে।
টাইফয়েড টেস্ট করতে কত টাকা লাগে
অনেকে জানতে চেয়েছেন টাইফয়েড টেস্ট করতে কত টাকা লাগে বা টাইফয়েড টেস্ট করতে কত টাকা খরচ হয়। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি টাইফয়েড টেস্ট করতে খুব বেশি খরচ হয় না একেবারে সামান্য টাকা খরচ করলে টাইফয়েড টেস্ট এর রিপোর্ট পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে টেস্ট করান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মত।
তবে যদি আপনি এই একই টেস্ট বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান বা বড় কোন বেসরকারি হাসপাতালে করান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকার মত। এখানে স্থান ভেদে পরীক্ষার মানের পার্থক্য রয়েছে তাই আশা করবো আপনি আপনার জন্য সর্বোচ্চ টুকু করার চেষ্টা করবেন
টাইফয়েড রোগের চিকিৎসা
আমরা আবারও বলছি এখনও বলছি টাইফয়েড রোগের চিকিৎসার জন্য এন্টিবায়োটিক সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি ঢুকে শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য রোগীকে সম্পূর্ণ রেস্টে চলে যেতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে সেই সময় একেবারে হালকা জাতীয় খাবার খেতে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে যাতে ভেতর থেকে সে সাপোর্ট পায়। এই অবস্থাতে রোগীর পারিবারিক সদস্যদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে তার সঙ্গে ভালো মানসিক সম্পর্ক বজায় রাখে যাতে করে সে মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে না পারে।