আমরা খাবার খায় এবং সেই খাবার যে স্থানে গিয়ে হজম হয় সেই স্থানের বা সেই অঙ্গের নাম হচ্ছে পাকস্থলী। পাকস্থলীতে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় এবং সেই রোগগুলোর পরিণাম খুব একটা ভালো নয়। পাকস্থলীর চির পরিচিত একটি রোগের নাম হচ্ছে আলসার এই আলসার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং রোগীর সংখ্যা অনেক পাওয়া যাবে। সাধারণত বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে যে আমরা সাধারণ মানুষ যেটাকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাবলী সেটা হচ্ছে পেপটিক আলসার। এই পেপটিক আলসার পাকস্থলীতে ক্ষতের সৃষ্টি তৈরি করতে পারে এবং আস্তে আস্তে এটা বড় আকার ধারণ করতে পারে।
যদি কেউ প্রশ্ন করেন আনসার থেকে ক্যান্সার হয় কিনা তাহলে আমার প্রশ্নের উত্তর থাকবে হ্যাঁ অবশ্যই গ্যাস্ট্রিকের মাধ্যমে আলসারের সৃষ্টি হয় এবং সেই আলসারের সঠিক চিকিৎসা না করলে সেটা ক্যান্সারের রূপান্তর নিতে পারে এবং সেটাকে বলা হয় লিভার ক্যান্সার। আশা করছি আপনারা প্রশ্নের উত্তর খুব পরিস্কার ভাবে পেয়েছেন আলসার থেকে ক্যান্সার হতে পারে এবং সেই ক্যান্সারের নাম হবে লিভার ক্যান্সার যেটা থেকে বেঁচে ফিরে আসার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
আমরা উপরে আলসারের ভয়ানক পরিণতির কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছে আশা করছি এখন থেকে আমরা নিজে নিজে সচেতন হব আলসার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য। বাস্তবে যদি সত্যি কথা বলতে হয় তাহলে আনসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতির ওপরে বড় কোন পদ্ধতি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। অর্থাৎ আপনি নিজের ঘরে যে অভ্যাসগুলো করেন সেই অভ্যাসগুলোর মাধ্যমেই আপনি যদি আলসার কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে কোনভাবেই ঔষধ পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন হবে না কারো কাছে ক্ষেত্রে আলসার হবেই না।
এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর মধ্যে নিজের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যেটাকে গ্যাসের সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বলছি সেই সমস্যা থেকে আস্তে আস্তে আলসার জন্ম নাই তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন গ্যাসের সমস্যা আমাদের আর না হয়। গ্যাসের সমস্যা কেন কমবে এবং কিভাবে কমবে এই প্রসঙ্গে বহু আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে এবং আমার মতে আপনার আমাদের থেকে বেশি জানেন কোন কোন ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে গ্যাসের সমস্যা কমানো যায়।
পেটের ক্যান্সারের লক্ষণ ও কি পরীক্ষা করতে হবে
পেটে ক্যান্সারের লক্ষণগুলো অত্যন্ত সাংঘাতিক লক্ষণ অর্থাৎ অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক লক্ষণের মাধ্যমে বোঝা যায় যে পেটে ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে এটাকে আলসার মনে হল এটা যখন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন বোঝা যায় এটা ক্যান্সার। এরকম ধরনের সমস্যার জন্য পেটে অতিরিক্ত ব্যাথা হতে পারে অর্থাৎ এতটাই যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা যে রোগী সহ্য করতে পারবেনা। এছাড়াও যে কোন জিনিস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বমি হওয়া এবং বদহজম হওয়া।
সব সময় পেটের মধ্যে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হওয়া এবং বমি হলে প্রচুর পরিমাণে খারাপ গন্ধ বের হওয়া। এই ধরনের লক্ষণ থেকে আমরা বুঝতে পারবো যে একজন রোগীর পাকস্থলীর ক্যান্সার হতে পারে। তবে এর জন্য বেশ কয়েকটি টেস্ট করাতে হবে এবং কোন রোগের ক্ষেত্রে কি ধরনের টেস্ট করতে হবে সেই বিষয়ে অবশ্যই উপস্থিতি চিকিৎসার সাহায্য নিলে সবথেকে ভালো হয় বলে আমি মনে করি।
আলসার থেকে মুক্তির উপায়
আলসার থেকে মুক্তির উপায় সব থেকে সহজ অর্থাৎ আপনি যদি নিজের শরীরে গ্যাসের জন্য না করেন তাহলে আপনি আলসা থেকে মুক্ত পেতে পারেন। অর্থাৎ উদাহরণ হিসেবে বলতে হয় একটি গাছের জন্ম হয় বীজ থেকে তারপর সেই গাছটি বড় হয় এবং ফল ফুল হয় আরো কাজে লাগে এই গাছ। এই আনসার এর মূল ব্রীজ হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা অর্থাৎ আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে আপনার কোনদিন আলসার হবে না।