জরুরী কিডনি প্রয়োজন অত্যন্ত বড় এক ধরনের হেডিং। হেডিং একজন মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারে। আমরা কতটা বিপদে পড়লে সারা দেশের মানুষের কাছে সাহায্য প্রার্থী হয় নিজেই উপলব্ধি করতে পারবে এই বিষয়টি গভীরভাবে ভাবলে। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার ইচ্ছে সকলের আছে কেউ চায় না পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে তারপরও সকলকে চলে যেতে হয়। কিন্তু যদি কেউ বুঝতে পারে তার মৃত্যু একেবারে সামনে আছে তখন সে চেষ্টা করবে বেঁচে ফিরতে।
যাদের সাধারণত কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি হয়ে থাকে। হঠাৎ করে সুস্থ সামাজিক জীবন যাপন করতে গিয়ে কিডনি রোগ ধরা পড়ে এবং আস্তে আস্তে কিডনিগুলো নষ্ট হয়ে যায় যার কারণে অনেকেই নিজের বাঁচার আকুতির জন্য অন্যের কাছে কিডনি সাহায্য প্রার্থী হয়। তবে কিডনি পাওয়া খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার কিছু কিছু ব্যক্তি এমন আছে যার টাকা পয়সা সব আছে তারপরেও তার কিডনি মিলছে না এরকম ঘটানো অনেক ঘটেছে।
আপনার যদি খুব দ্রুত এই সাহায্য প্রয়োজন পড়ে তাহলে আপনি দেরি না করে আপনার ফেসবুক এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রচার করতে শুরু করুন। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই জিনিসটা সবথেকে কার্য করে আপনি যতটা সময় নিজের এলাকাতে মানুষের হাত পা ধরে বেড়াবেন এবং চেয়ারম্যান মেম্বারে হাত পা ধরে বেড়াবেন তার থেকে কম সময়ের মধ্যে আপনি এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভালো ফিডব্যাক পাবেন।
আর যারা এ বিষয়ে সাহায্য করতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলব অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে থাকুন তার কারণ হচ্ছে কিছু কিছু লোভী সম্প্রদায় এই দুর্বলতা থেকে কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যবসা সম্পাদন করছে। তাই আপনি যদি তাদের খপ্পরে না পড়তে চান তাহলে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করুন প্রয়োজন করলে নিজের সংগঠনের পক্ষ থেকে সরাসরি সেই রোগীর পরিবারে বা রোগীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তদন্ত করে তারপরে তাকে সাহায্য দিন।
নিজের কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয়
কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এবং এই কিডনি আমাদের নিজেকেই সুরক্ষিত রাখতে হবে বিভিন্ন অভ্যাসের মাধ্যমে। সারা জীবনের একটি যে অভ্যাস আছে সেটা কখনোই ত্যাগ করা যাবে না সেটা হচ্ছে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা। আপনার সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি এর থেকে কোম্পানি পান করলে বা এর থেকে অতিরিক্ত বেশি পানি পান করলেও কিডনির সমস্যা হতে পারে।
কিডনি সুরক্ষিত রাখতে হলে আপনাকে মদ্যপান ছাড়তে হবে। যারা সাধারণত মদ্যপান করে বা অ্যালকোহল সেবন করে অনেকের ক্ষেত্রে ধূমপান হওয়ার প্রবণতা আছে এই ধরনের রোগীদের একটি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে রোগ কিডনিতে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন তৈরি হতে পারে যেটা তার কিডনি রোগের অন্যতম লক্ষণ।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কিডনিকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ডায়াবেটিস যখন অনিয়ন্ত্রণে চলে যাবে তখন সবার প্রথমে যেই অঙ্গে ক্ষতি করবে সেটা হচ্ছে কিডনি। আর যারা একটি রোগে আক্রান্ত হবেন একই সঙ্গে দুইটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা তাদের মধ্যে আর থাকবে না আস্তে আস্তে সে অসুস্থ হয়ে যাবে।কম বয়সী মানুষদের কাছে অনুরোধ থাকবে নিজের পিকনিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সব সময় কম ভাজাপোড়া এবং কম ভেজালযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও প্যাকেটজাত পানীয় পান করা বন্ধ করুন এগুলো কিডনির উপর অনেক বড় ক্ষতি সাধন করে।
কিডনি রোগকে কিভাবে জয় করবেন
কিডনি রোগ কে জয় করতে হলে সবার প্রথমে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। আপনার যদি আত্মবিশ্বাস থাকে তাহলে আপনি কি রোগ কে জয় করতে পারবেন। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা এবং নিজের প্রতি সঠিক যত্ন নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললেই যে কেউ খুব তাড়াতাড়ি কিডনি রোগ থেকে সুস্থ হতে পারে।