এই আর্টিকেল থেকে আমরা সবার প্রথমে খুঁজে বের করা চেষ্টা করব প্রস্রাবের সমস্যা গুলো। প্রসাবের সমস্যা যখন আমরা খুঁজে পাবো তখন চেষ্টা করব প্রস্রাবের এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বের করতে। এই দুইটা কাজে এই আর্টিকেল আপনাকে সাহায্য করবে তাই আশা করছি আমাদের মত আপনারাও তথ্যের খোঁজে আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে লেগে থাকবেন। শারীরিক সুস্থতা পুরো শরীরের সুস্থতার উপর নির্ভর করে। এবং আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে প্রস্রাব।
এখানে যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে এটা আমাদের শারীরিক অসুস্থতাকে ইশারা করে। যারা অল্পতেই এই ইশারা বুঝতে পারি তারা তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারে কিন্তু যারা এই ইশারাকে না বুঝে অবহেলা করি তারা পরে অনেক বেশি পস্তায়। সাধারণত প্রস্রাবের কি কি সমস্যা হতে পারে এবং তার সমাধান কি হতে পারে সেই সম্পর্কে আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব।
প্রসাবের ইনফেকশন ও তার সমাধান
প্রসাবের ইনফেকশন হলে অবশ্যই তার সমাধান করা উচিত তার কারণ হচ্ছে এই ইনফেকশনের সমাধান যদি সঠিক সময় না করা হয় তাহলে সেটা বড় আকারের ইনফেকশন তৈরি করতে পারে। সাধারণ কারণে যদি প্রস্তাবের ইনফেকশন হয় অর্থাৎ পানি সল্পতা এবং অভ্যাসগত কারণে তাহলে সেই ইনফেকশনের সমাধান হতে পারে অভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে। তাই এই সমাধান যতটা সম্ভব তত তাড়াতাড়ি করা উচিত তার কারণ হচ্ছে ইনফেকশন যত বেশি থাকবে সেটা আপনার শরীরে তত বেশি ক্ষতি করবে।
যদি ইনফেকশন পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় যে ইনফেকশনের পরিমাণ অনেক বেশি তাহলে অবশ্যই আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে এবং পরীক্ষা মাধ্যমে যখন বড় কোন সমস্যা ধরা পড়ে যেমন কিডনির সমস্যা তখন অবশ্যই ভেবে চিন্তে পরিকল্পনা করুন। তখন আপনাকে প্রস্রাবের ইনফেকশন ঠিক করতে হবে না আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনার কিডনি। বাস্তবে এ কিডনিতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে সেটা প্রসবের ইনফেকশনের মাধ্যমে ইশারা করে এবং সেই ইশারা যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে কিডনির সমস্যার চিকিৎসা করে সুস্থ হতে পারব।
অনেকের ক্ষেত্রে প্রসাবের সমস্যা নির্দেশ করে পোস্টেডের সমস্যা কি। যদি প্রোস্টেটের সমস্যা থাকে তাহলে সেখান থেকে প্রস্রাবের সমস্যা হয় এবং এই প্রস্রাবের সমস্যাগুলো অত্যন্ত সাংঘাতিক। যেমন মনে করুন প্রোস্টেট এর কারনে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতন সমস্যা তৈরি হয় যেটা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। এছাড়াও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া অথবা প্রস্তাবে দুর্গন্ধ অনেকের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রস্রাব দিয়ে রক্ত বের হওয়ার মতন সমস্যা তৈরি হয়। এই সমস্যা সমাধানে বড় ধরনের চিকিৎসা করাতে হবে প্রোস্টেটের সমস্যায় ঔষধ অথবা অপারেশন লাগবে কিন্তু যদি সেটা ক্যান্সারের রূপান্তরিত হয় তাহলে প্রচুর পরিমাণে চিকিৎসা করাতে হবে।
টাইফয়েডের সমস্যা কেন হয়
সাধারণত টাইফয়েডের সমস্যা হয়ে থাকে টাইফয়েড এর ভাইরাস শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে। টাইফয়েডের ভাইরাস সাধারণত পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে এছাড়াও যারা নিয়মিত হাইজিন মেন্টেন করেন না তাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা হতে পারে। টাইফয়েডের ভাইরাস যখন শরীরে প্রবেশ করবে তখন সেটা জানান দেবে সে শরিলে প্রবেশ করল ।
৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই সেটা বোঝা যাবে এবং এর জন্য অতিরিক্ত জ্বর প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে যার তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। এই অবস্থাতে যদি টাইফয়েডের পরীক্ষা করানো হয় তাহলে অবশ্যই সেখানে টাইফয়েডের জীবাণু পাওয়া যাবে তবে সেখানে জীবাণুর পরিমাণ কতটুকু তার উপর নির্ভর করে মূলত টাইফয়েডের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এছাড়াও প্যারা টাইফয়েড আরেকটি বড় সমস্যা তবে টাইফয়েডের জীবাণু যার শরীরে নেই ধারণা করা হয় প্যারা টাইফয়েড ও তার শরীরে থাকবে না। টাইফয়েড এর সঙ্গে সঙ্গে প্যারা টাইফয়েড আসে তাই এখানে ধারণা করা হয় যে কারণে টাইফয়েড হয়েছে সেই কারণেই প্যারাডাইরয়েড হতে পারে। সব মিলিয়ে এই টাইপারের চিকিৎসার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।