Urine c/s test কি

নামটা দেখে হয়তো অনেকে বুঝতে পেরেছেন এটা প্রস্রাবের একটি পরীক্ষা। সাধারণত অসুস্থ হওয়ার পরে যদি এই টেস্ট করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকেরা আপনাকে এই টেস্ট করতে বলবে। এটা সাধারণ পর্যায়ের কোন টেস্ট নয় এটা অত্যন্ত উচ্চমানের একটি টেস্ট অর্থাৎ সাধারণ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দেওয়ার পরে যখন রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না তখন সঠিক রোগ নির্ণয় করার জন্য এই টেস্ট করতে হয়। এই টেস্ট করতে অনেক বেশি খরচ লাগবে এবং সময় লাগে তাই আমাদের সবসময় সাবধান হতে হবে এই টেস্ট করার ক্ষেত্রে এবং জানতে হবে অনেক তথ্য তাই চলুন জানার চেষ্টা করি।

এই প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বা মূত্রনালীর মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণের মত জীবাণু সনাক্ত করতে ব্যবহৃত করা হয়। ব্যাকটেরিয়া মূত্র নালী দিয়ে শরীরের প্রবেশ করে এবং মূত্রনালী সংক্রমণ ঘটায় এবং এই টেস্টের মাধ্যমে সে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়া হয়। এই বিষয়টিকে আমরা ইউরিন কালচার হিসেবে বলতে পারি অর্থাৎ এই টেস্টের আরেকটি নাম হচ্ছে ইউরিন কালচার যেটাকে সংক্ষেপে Urine c/s test নাম দেওয়া হয়েছে। আপনারা জানলে অবাক হবেন এই ইউরিন কালচার টেস্ট করতে রোগীর ইউরিনকে প্রায় 24 ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত রাখা হয় তারপরে টেস্ট করা হয়। এখান থেকে আপনারা ধারণা পেলেন এই টেস্টের গুরুত্ব সম্পর্কে চলুন আমরা এইটা সম্পর্কে আরো খুঁটিনাটি অনেক তথ্য জানি যেটা আপনার জানার প্রয়োজন।

Urine c/s test কিভাবে করায়

ইউরিন টেস্ট কিভাবে করে এটা অনেকে জানতে চাই ইউরিন ট্রাস্ট বেশ কয়েক ধরনের রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বড় এবং ব্যয়বহুল টেস্ট হচ্ছে Urine c/s test । আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব এই সম্পর্কে খুঁটিনাটি অনেক তথ্য। মূলত আপনারা যারা দীর্ঘক্ষণ ধরে আমাদের সঙ্গে আছেন তারা জানুন এই টেস্ট কিভাবে করে সেই প্রসঙ্গে। সাধারণত চিকিৎসা করা যদি একজন রোগীকে টেস্ট করানোর কথা বলে তাহলে রোগীকে সবার প্রথমে ল্যাবে উপস্থিত হতে হবে এবং ল্যাবে উপস্থিত হওয়ার পরে তার প্রস্রাবের স্যাম্পল প্রদান করতে হবে।

এই প্রস্রাবের sample সংগ্রহ করার পরে ল্যাবের কর্তৃপক্ষ সেই প্রস্রাবকে কিছু ওষুধের মাধ্যমে মিশিয়ে প্রায় 24 ঘন্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা রেখে দিবেন। এরপরে সেখান থেকে আস্তে আস্তে টেস্ট করানো হবে এবং রিপোর্ট দেয়া হবে এই রিপোর্ট তিনদিন পরে প্রদান করা হয়। আশা করছি আপনারা এই টেস্ট কিভাবে করে সে সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পেলেন।

Urine c/s test প্রস্তুতি

এখানে তেমন কোন প্রস্তুতি আপনাকে নিতে হবে না অর্থাৎ আপনি যেই মুহূর্তে আপনার স্যাম্পল প্রদান করছেন সেই মুহূর্তের আগে থেকে আপনাকে কোন ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে না। তাই ইউরিন টেস্টের ক্ষেত্রে আলাদা কোন প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই আপনাকে শুধু মানসিকভাবে প্রস্তুতি হতে হবে এবং কোন ধরনের ভয়ভীতি মনের মধ্যে রাখা যাবে না।

Urine c/s test খরচ

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নভাবে এই টেস্ট করানো যেতে পারে তবে প্রত্যেকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আপনি এই টেস্ট পাবেন না আপনাকে খুঁজতে হবে ভালো মানের প্রতিষ্ঠানে যেখানে এই টেস্ট করানো হয়। এই টেস্ট করানোর জন্য যে যন্ত্রপাতির প্রয়োজন সে যন্ত্রপাতি সবার কাছে নাও থাকতে পারে তাই অবশ্যই ভালোভাবে জেনে শুনে আপনি টেস্ট করতে দিতে পারেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই টেস্ট করাতে আপনার খরচ হতে পারে ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মত।

Urine c/s test রিপোর্ট

আপনাকে Urine c/s test রিপোর্ট প্রদান করা হবে তিন দিন পরে অর্থাৎ এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ করতেই প্রায় 72 ঘন্টা লেগে যায় তাই এখানে তিন দিনের আগে কোনোভাবেই এই রিপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই সব মিলে আপনাকে চার দিন অপেক্ষা করতে হবে কমসে কম। রিপোর্টের ভালো-মন্দ সেখানে খুব ভালোভাবে উল্লেখ করা থাকবে যদি না বুঝতে পারে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।