ইউরিন টেস্ট খরচ

যখন প্রস্রাবের ইনফেকশন নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয় তখন এটাকে বলা হয় ইউরিন টেস্ট। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ মধ্যবিত্ত পরিবার এবং গরীব পরিবার থেকে উঠে এসেছে তাই বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্ন ধরনের আক্রান্ত হলে সবার প্রথমে যে জিনিসটা চিন্তাভাবনা করে সেটা হচ্ছে এখানে কত খরচ হতে পারে। ভারতের ব্যাপারটা তাদের ক্ষেত্রে সুস্থতার থেকেও উপরে তার কারণ হচ্ছে খরচ করার জন্য সঠিক টাকা পয়সা তাদের আছে কিনা সেটা জেনেই সামনে এগোতে হবে।

বাংলাদেশে ইউরিন টেস্টের খরচ এর কথা বলতে গেলে আপনি যদি সাধারণ ইউরিন টেস্ট করেন তাহলে সেখানে সরকারি হাসপাতালে আপনার খরচ হবে ২০ টাকার মত। তবে সেই একই খরচ যদি আপনি বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের মাধ্যমে করান তাহলে আপনার খরচ হতে পারে ১৫০ টাকার মত। আর উচ্চমানের যে ইউরিন কালচার টেস্ট রয়েছে যেটাকে ইংরেজিতে ইউরিন সিএস বলা হয় সেই টেস্ট করাতে আপনার খরচ হবে ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মত। আশা করছি ইউরিন টেস্ট এর খরচ সম্পর্কে আপনাদের ধারণা হয়েছে।

ইউরিন টেস্ট এর প্রস্তুতি

প্রসাবের ইনফেকশন হলে সাধারণত উপসর্গ দেখেই বোঝা যায় প্রস্রাবের ইনফেকশন হয়েছে কিনা। তারপরেও চিকিৎসকেরা কখনো রিস্ক নিবেন না এবং তারা চেষ্টা করবেন যাতে রোগী সঠিক চিকিৎসা পায় যার কারণে তারা চিকিৎসার সুবিধার্থে টেস্ট করাতে বলে। প্রস্রাবের ইনফেকশন টেস্টার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে কিনা এটা অনেকেই জানতে চান। সাধারণত প্রসাবের ইনফেকশনের সাধারণ যে টেস্ট রয়েছে সেখানে কোন ধরনের পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ এখানে যদি কোন ধরনের টেস্ট করা হয় তাহলে কোন ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি আপনাকে নিতে হবে না যে কোন সময় প্রস্রাব দিলেই হল সিম্পল হিসেবে।

তবে যদি আপনি ইউরিন সিএস অর্থাৎ ইউরিন কালচার টেস্ট করেন তাহলে সেখানে একটি বিষয় আছে যেটা অনেকেই জানেনা। প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণে যদি কোন ধরনের টেস্ট ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক চলমান থাকে বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যদি কেউ এন্টিবায়োটিক খায় সেই অবস্থাতে ইউরিন সিএসের জন্য প্রস্রাবের স্যাম্পল দেওয়া যাবে না। এই অবস্থাতে শ্যামপুর দিলে সঠিক মান আসবে না তাই খেয়াল রাখতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া অবস্থাতে কোনভাবেই ইউরিন সিএস এর জন্য sample প্রদান করা যাবে না।

ইউরিন টেস্ট কিভাবে করে

একজন চিকিৎসক যখন রোগীদের প্রস্তাবের ইনফেকশন টেস্ট করানো নির্দেশ দেয় তখন অবশ্যই রোগীকে সেই টেস্ট করিয়ে আনতে হবে সঠিক চিকিৎসার জন্য। সঠিক চিকিৎসার জন্য যদি এই টেস্ট করানোর ইচ্ছা আপনার থাকে তাহলে আপনাকে সবার প্রথমে বেথোলজিক্যাল ল্যাবে উপস্থিত হতে হবে। এবং তাদের কথা মতো প্রস্রাবের স্যাম্পল জমা দিতে হবে এবং তারপরে তারা সেই স্যাম্পল প্রস্তাব থেকে মেশিনের মাধ্যমে ইউরিন ইনফেকশন টেস্ট এর রিপোর্ট প্রদান করবে। এই ইউরিন ইনফেকশন টেস্ট করতে খুব বেশি সময় লাগে না সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা সময় লাগে এই টেস্টের রিপোর্ট প্রদান করতে।

ইউরিন টেস্ট এর রিপোর্ট

ইউরিন টেস্টের রিপোর্ট সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় যে সেখানে শুধুমাত্র প্রস্রাবের বিভিন্ন উপাদানের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। এখানে কিছু জায়গাতে প্রস্রাবে কোন ধরনের সুগার যাচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করা হয় কোন কোন ক্ষেত্রে প্রস্রাবে কোন ইনফেকশন বা কোন জীবাণু আছে কিনা সেটা নিশ্চিত করা হয়। তবে ইউরিন ইনফেকশনের রিপোর্ট সবসময় উল্লেখ করা থাকে খারাপ হয়েছে না ভালো হয়েছে।

আপনারা যারা ইউরিন সিএস এই টেস্ট করেছেন তাদের ক্ষেত্রে রিপোর্ট ভালোভাবে পড়তে জানলে সেখানেই উল্লেখ করা থাকে সাধারণত কোন এন্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় করা যাবে। তবে ইউরিন সিএস এর ক্ষেত্রে রেজাল্ট যদি খুব খারাপ হয় তাহলে একটি সমস্যা হতে পারে সেটা হচ্ছে বড় ধরনের কোনো রোগ যেটা চিকিৎসা করা নির্ধারণ করতে পারবে সহজে।