ইউরিন টেস্ট রিপোর্ট

প্রস্রাবের ইনফেকশন রিপোর্ট যদি আপনার হাতে থাকে এবং আপনি যদি সেখানে কি হয়েছে এটা জানতে চান তাহলে রিপোর্ট ভালোভাবে পড়তে হবে। আপনি একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন সেখানে রোগের টেস্ট করার পরে যে মানগুলো বের হয়েছে সেগুলো খুব সুন্দর ভাবে দেওয়া আছে এবং পাশাপাশি যে নরমাল ভ্যালু আছে সেটাও সুন্দর ভাবে দেওয়া আছে। এখানে আপনি তখন তুলনা করতে পারবেন অর্থাৎ স্বাভাবিক যে মান থাকা উচিত সেই মানে তুলনায় রোগীর যে টেস্টের রিপোর্ট বের হয়েছে সেটা বেশি না কম।

রিপোর্ট যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে কোন সমস্যা নেই কিন্তু অস্বাভাবিক রিপোর্ট হলে অবশ্যই সমস্যা আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তা না হলে ইউরিন ইনফেকশনের কারণে কিডনির সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে প্রস্রাবে ইনফেকশন থাকার জন্য এই ইনফেকশন আস্তে আস্তে মুত্রনালী দিয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে যার কারণে কিডনিতে আক্রান্ত হলে অনেক বড় সমস্যা হতে পারে। তাই আশা করছি এই বিষয়ে সকলেই সতর্ক অবস্থানে থাকবেন।

প্রস্রাবের ইনফেকশন এর লক্ষণ

প্রস্রাবের ইনফেকশন হয়েছে এটা বেশকিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায়। এ লক্ষণ গুলো দেখার পরেও শতভাগ সঠিক তথ্য বা সঠিক হওয়ার জন্য চিকিৎসকের আমুলত প্রস্রাবের ইনফেকশন টেস্ট করতে বলে। তবে রোগীর শরীরে যে যে উপসর্গ গুলো দেখা যাবে প্রস্রাবের ইনফেকশন গুলোর কারণে সেই উপসর্গের মধ্যে সবার প্রথমে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া অন্যতম। প্রস্রাব করার সময় অনেকে জ্বালাপোড়া হওয়া এবং কম প্রস্রাব হওয়া প্রসব ইনফেকশনের একটি লক্ষণ। এছাড়াও প্রস্রাবের কালার পরিবর্তন অর্থাৎ প্রচুর পরিমাণে গাঢ় প্রস্রাব বের হওয়া এবং প্রস্তাবের দুর্গন্ধ হওয়া প্রস্রাবের ইনফেকশনের আরো একটি কারণ। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাবের বেগ পায় কিন্তু প্রস্রাব করতে গেলে প্রস্রাব বেশি হয় না এই ধরনের লক্ষণ হতে পারে প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ।

আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পোস্টটা ইনফেকশনের কারণে পেটের ব্যথা সৃষ্টি হয় অর্থাৎ তলপেট অথবা পাজরে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে এই প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণে। অনেকের মেজাজ খিটখিটে অবস্থায় চলে যায় প্রস্তাবের ইনফেকশনের কারণে। জ্বর জ্বর ভাব এবং কাঁপুনি দিয়ে জরাসা অনেকের ক্ষেত্রে ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং অনেকের বমি হওয়ার মতন সমস্যা হতে পারে এই প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণে তাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা সব সময় সতর্ক থাকব।

প্রস্রাবের ইনফেকশন কেন হয়

প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে এবং এ কারণগুলোর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে পানি কম খাওয়া। আমরা যারা পরিমাণ মতো পানি খায় না তাদের অবশ্যই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে এবং এখন যে পরিমাণে গরম পড়ছে সেই অবস্থাতে আপনি যদি পানি কম খান তাহলে প্রস্রাবের ইনফেকশন সহ আরো অন্যান্য অনেক সমস্যা হতে পারে। বড় বড় রোগ হলে প্রস্রাবের ইনফেকশন হয় যেমন কিডনিজনিত রোগ অথবা প্রোস্টেট গ্রন্থি জনিত রোগ এই ধরনের রোগের কারণে প্রস্রাবের ইনফেকশন ধরা পড়তে পারে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের ইনফেকশন কম হয় কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রস্তাবের ইনফেকশন হওয়া অনেক স্বাভাবিক ব্যাপার তার কারণ হচ্ছে তার শারীরিক গঠন। গর্ভবতী আমার সাথে প্রস্রাবের ইনফেকশন হতে পারে এছাড়াও যাদের প্রস্রাবের নালীতে নল অথবা ক্যাথেটার পড়ানো আছে তাদের প্রস্রাবের ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও যাদের ঘন ঘন প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যা আসে তাদের প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়া একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার।

প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কি করা উচিত

প্রসবের ইনফেকশন হলে কি করবেন এরকম প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব সবার প্রথমে একজন চিকিৎসকের কাছে যাবেন তারপরে সেই চিকিৎসা কি আপনাকে বলে দেবে কি করবেন। ঘরোয়া পদ্ধতি অবশ্যই অবলম্বন করবেন যেমন বেশি বেশি পানি পান করা এবং রেস্ট করা। এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলেই সাধারণ প্রস্তাবের ইনফেকশন থেকে মুক্ত হওয়া যায়।