ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্ত পাবার জন্য আপনাকে আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও যারা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জন্য কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি আছে যে চিকিৎসার পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই রোগীকে সুস্থ করা যাবে। এগুলো অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা তবে আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা এই চিকিৎসা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। চলুন জানার চেষ্টা করি ব্লাড ক্যান্সার হলে একজন ব্যক্তি কি করতে পারে অথবা ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা
ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক একটি মতামত পেশ করেছেন এবং সেই মতামতটি আমাদের কাছে আছে। সেই চিকিৎসকের নাম হচ্ছে ডক্টর চক্রপানী। তিনি এখানে উল্লেখ করেন যে ব্লাড ক্যান্সারের ধরন একবার নির্ণয় হয়ে গেলে তারপরে চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি উপলব্ধ হয়েছে। সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এখানে যদি সবার প্রথমে ব্লাড ক্যান্সারের ধরন নির্ণয় করা যায় তাহলে সেই ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা করা সহজ হয়ে যায় চিকিৎসকের কাছে।
তাই সবার প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাট ক্যান্সার এর ধরন নির্ণয় করা এবং সেটা কি অবস্থাতে আছে সেটা নির্ণয় করা। বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে একটি পদ্ধতির নাম হচ্ছে কেমথেরাপি। সাধারণত এই থেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে। শুধু কেনে থেরাপি নয় এর পাশাপাশি ইউনিয়নও থেরাপি অথবা হরমোন থেরাপি প্রদান করা হতে পারে। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে রেডিও থেরাপির প্রয়োজন পড়ে। চেষ্টা করা হয় এই সকল থেরাপি বা এই সকল চিকিৎসা পদ্ধতি একত্রিত করার পরে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা করা তারপরও যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে আরো বড় ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে।
এক্ষেত্রে চিকিৎসক নিজেই বলেন যে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে এই ব্লাড ক্যান্সার সম্পন্ন নির্ণয়ের জন্য যে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সেটা হচ্ছে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন। এটা অনেক বড় ব্যাপার এবং এটা অনেক বড় অপারেশন এই অপারেশনের পরে রোগীর কি হবে সেটা শতভাগ বলা না গেলেও অস্থিমজ্জার প্রতিস্থাপন যদি শতভাগ সঠিক হয় তাহলে রোগী তার সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারবে ।
ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়
ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে অবশ্যই আপনার করার কিছু আছে। আপনি এবং আপনার পরিবারকে সবসময় সতর্ক রাখার চেষ্টা করুন ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে এবং এই বাট ক্যান্সার প্রতিরোধে আপনি কি কি করতে পারেন চলুন সে সম্পর্কে এই আর্টিকেল থেকে আমরা সব কিছু জানার চেষ্টা করি। সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে আমরা শুরু থেকেই কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি যে ভালো অভ্যাসগুলো আমাদের শরীরে ব্লাড ক্যান্সার হতে বাধা দেয়।
এই অভ্যাসের মধ্যে একটি হচ্ছে সুস্থ এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। এই খাবারের মধ্যে সব কিছুর সংমিশ্রণ থাকবে যেমন মনে করুন বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফলমূল এবং রঙিন শাকসবজি। এই রঙিন ফলমূল এবং রঙিন শাকসবজি নিয়মিত যারা খাবেন তারা অবশ্যই ব্লাড ক্যান্সারকে নিজের শরীরে বাসা বাঁধতে বাধা সৃষ্টি করছেন।
এখানেই শেষ নয় ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য কিছু ভালো অভ্যাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ভালো অভ্যাসের মধ্যে একটি অভ্যাস হচ্ছে ধূমপান ত্যাগ করা এবং অ্যালকোহল যারা খান তাদের এই খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া। যারা এই অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবেন তারা ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারবেন।
এছাড়াও ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধের আরেকটি জিনিস হচ্ছে সচেতনতা। আমরা যদি এই সচেতনামূলক বার্তা গুলো আমাদের পরিবার এবং সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে সেটা ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের অনেক বেশি সাহায্য করবে। তাই চলুন আমরা যতটুকু জানি তার ওপর ভিত্তি করে চেষ্টা করি নিজের পরিবারের সদস্যকে ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে সতর্ক করতে। এইভাবেই একজন একজন করে যখন আমাদের পরিবার ও সমাজে ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে প্রচার প্রচারণা করবো এবং সচেতন করব তাদেরকে আস্তে আস্তে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে আসবে।