ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়

আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য। সাধারণত ক্যান্সার হয়ে যাওয়ার পরে সেখান থেকে বেঁচে ফিরে আসা অনেক বড় একটি ব্যাপার। তবে তার থেকে খুব সামান্য কিছু জিনিস আছে যেগুলো আমরা পরিবর্তন করে এবং নিয়ম মেনে চলতে পারলে সেটা প্রতিরোধ করতে পারব। এতে করে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব ক্যান্সার প্রতিরোধের বিভিন্ন নিয়ম।ক্যান্সার হওয়ার পরে সেখান থেকে বেঁচে ফিরা অসম্ভব কিছু তবে যদি আপনি এই নিয়মগুলো মেইনটেইন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারবেন আপনি। তরুণ কোন কোন নিয়ম আছে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়

সবার প্রথমে যে কাজটি আপনি করতে পারেন সেটা হচ্ছে একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে পারেন। আমরা সকলে বডি ম্যাস ইনডেক্স সম্পর্কে অবগত আছি। এটা হচ্ছে উচ্চতার উপর নির্ভর করে ওজন এর পরিমাপ। আপনারা যদি এই জিনিসটা মেনটেইন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।ধূমপান পরিহার করা। ধূমপান অনেক ক্ষতিকারক একটি জিনিস এবং এটা যখন একজন মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সেবন করে তখন তার শরীরের বিভিন্ন অংশে এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়তে থাকে। একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে বিশ্বের প্রায় ৯০% ক্যান্সার ধূমপানের মাধ্যমে হয়ে থাকে তাই আপনি ধূমপান বাদ দিলে আপনি ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে পারবেন।আমরা সকলে অবগত আছি সূর্যের আলো শরীরের ভিটামিন ডি এর বড় উৎস তাই আমাদের চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন অন্তত 10 থেকে 15 মিনিট ভিটামিন ডি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সঠিক সময় সূর্যের আলোর নিচে বসে থাকতে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে অনেকে অনীহা প্রকাশ করে। আমরা সকলে মুখরচোখ এবং অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার খেতে পছন্দ করি যেটা আমাদের ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। আমি যদি স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি তাহলে সেটা ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের অনেক বেশি সাহায্য করবে।শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। যারা শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম নিয়মিত করেন তাদের অবশ্যই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় এবং তারা ক্যান্সারকে প্রতিহত বা প্রতিরোধ করতে পারেন।

সব সময় চেষ্টা করতে হবে কম আছে খাবার রান্না করতে। এখানে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং এক খাবার বারবার জাল দিয়ে খাওয়ার কারণে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে যেটা ভবিষ্যতে ক্যান্সারকে আপনার শরীরে আসতে সাহায্য করবে।এবং নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে অর্থাৎ পরিবারের সকল সদস্যদের অন্তত ছয় মাস পর পর একবার নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে যাতে করে ক্যান্সারের ভাইরাস শরীরে আছে কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়।

ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়

বর্তমান বিশ্বে মেয়েদের সবথেকে বড় রোগের নাম হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার। ব্রেস্ট ক্যান্সার একটি মরণঘাতী ক্যান্সার যদি সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয় তাহলে এই রোগ থেকে সুস্থ হওয়া যায়। সাধারণত যদি কেউ এই ক্যান্সার থেকে পুরোপুরি সুস্থ হতে চায় তাহলে তাকে নিশ্চিত করতে হবে সঠিক সময়ের চিকিৎসা।বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে যদি প্রাথমিক পর্যায়েই রোগী বুঝতে পারে তার কোন সমস্যা হয়েছে এবং বাড়িতে বসে না থেকে তারা যদি সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যায় তাহলে হয়তো বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা এবং সার্জারির মাধ্যমে তাকে পুরোপুরি সুস্থ করা যাবে। ক্যান্সার চিকিৎসাই চিকিৎসার টাইমিংটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যান্সার কি ভালো হয়

অবশ্যই ক্যান্সার ভালো হয়। এখন পর্যন্ত এমন মানুষ অনেক খুঁজে পাওয়া যাবে জালা যারা আল্লাহ তাআলার রহমতে ক্যান্সার থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে এখন জীবন যাপন করছেন। এর জন্য প্রয়োজন মানসিক শক্তি এর পাশাপাশি যাদের প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং যারা সঠিক চিকিৎসা করতে পারেন তাদেরকে ক্যান্সার পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।