মেয়েদের শরীরের বড় ধরনের একটি সমস্যার নাম হচ্ছে সিস্ট। এটা অত্যন্ত জটিল একটি সমস্যা এই সমস্যা থেকে অনেক মেয়েরাই বেরিয়ে আসতে চান। আবার অনেকেই আছেন যারা এই সমস্যার কথা শুনতে পাওয়ার পরে আগে থেকেই এই প্রতিরোধ তৈরি করতে চান। আজকে আমরা আপনাদের এমন কিছু তথ্য দেব যে তথ্যের আলোকে আপনারা চাইলে আগে থেকেই নিজেকে সিস্ট সম্পর্কে সতর্ক রাখতে পারেন এবং এই সিষ্ট প্রতিরোধ করতে পারেন।
এর ক্ষেত্রে সাধারণত যে সমস্যা হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে এটা সাধারণত বোঝা যায় না। তবে যে সমস্যা গুলো বোঝা যায় সে সমস্যা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করতে হয়। যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত ওজন বা বিএমআই বেশি হওয়ার কারণে যেকোনো ধরনের সিস্ট হতে পারে। তাই মেয়েদের এটা নিশ্চিত করতে হবে তার বয়সন্ধিকাল শুরু হওয়া থেকে তাকে তার ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সে যদি সঠিকভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহলে অবশ্যই সমস্যা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যাদের মাসিকের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে যেকোনো সময় এই সমস্যা হতে পারে তাই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে এবং যদি উপসর্গ দেখা যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যারা বিবাহিত আছেন তাদের ক্ষেত্রে একটা জিনিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে জন্মনিরোধক যে বড়িগুলো রয়েছে যেটাকে পিল বলা হয়ে থাকে সেটা নিয়মিত খাওয়ার কারণেও সাধারণত এই সমস্যা হয়। তাই আপনি যদি আগে থেকেই এই বিষয়ে সচেতন থাকেন এবং এটা প্রতিরোধ করতে চান তাহলে আপনাকে জন্মনিরোধক বরি খাওয়া বন্ধ করতে হবে এবং বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
ওভারিয়ান সিস্ট থেকে মুক্তির উপায়
সিস্টের বিভিন্ন প্রকারভেদ এর মধ্যে ওভারিয়ান সিস্ট হচ্ছে অন্যতম। ওভারিয়ান সিস্ট এতটাই সাংঘাতিক সৃষ্টি যে এর কারণে অনেক সময় মেয়েদের ওভারির অপারেশন করার প্রয়োজন পড়ে এবং সেটাকে কেটে ফেলার প্রয়োজন করতে পারে। সাধারণত এই সিস্ট থেকে মুক্তির বেশ কয়েকটি উপায় আছে যে উপায়গুলো আজকে আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
আমরা এটা জানতে পেরেছি যে ওভারিয়ান সৃষ্ট এর কারণে একটি হরমোন দায়ী আছে। ইস্ট্রোজেন হরমোনের সাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে সাধারণত এটা হয়ে থাকে বা এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে গেলে অভুলেশন অনিয়মিত হয় যার কারণে এখানে সিস্ট তৈরি হতে পারে। সাধারণত এই হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা যদি আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সেটা আপনার সিস্ট প্রতিরোধ করবে। চেষ্টা করুন প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ খাবারে কম ব্যবহার করতে অর্থাৎ রান্না থেকে শুরু করে খাবার প্লেট পর্যন্ত প্লাস্টিক জাতীয় খাবার দূরে রাখার চেষ্টা করুন এবং সব সময় ভালো মানের প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ওভারিয়ান সিস্টেম দূর করার আরেকটি উপায় হচ্ছে হারবাল পদ্ধতি। এখন পর্যন্ত এমন অনেক রোগী দেখা গেছে যিনি হারবাল পদ্ধতি ব্যবহার করে ওভারিয়ান সিস্ট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ডায়েট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অবস্থাতে যাদের অতিরিক্ত ওজন আছে এবং যারা একেবারে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন তাদের জন্য এই জিনিসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট আপনাকে আপনার সিস্ট মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।
অনেকেই সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করে থাকেন তবে এটা অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমিত পরিমানে সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করুন এবং সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন।
সিস্ট হলে কি সমস্যা হয়
সিস্ট হলে মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারণত শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন হয় যেমন অনিয়মিত মাসিক। হঠাৎ করে ওজন বৃদ্ধি তলপেটে ব্যথা এবং বমি বমি ভাব খাবারের প্রতি আগ্রহ হারানো এমন সমস্যা হতে পারে। যারা সন্তান গ্রহণ করতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের বড় বাধা হতে পারে এই সিস্ট।