ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়

নিজের অজান্তেই নিজেকে যখন অসুস্থ করা হয় তখন নিজের কাছে কেন জানিনা খারাপ লাগে। যখন এই সমস্যাগুলোর সম্পর্কে জানা হয় তখন প্রচন্ড মানসিক চাপ আসে কিন্তু যে কোন মুহূর্তে আপনাকে মানসিক চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি মানসিক দিক দিয়ে প্রস্তুত না থাকেন তাহলে কোনভাবে সুস্থ হতে পারবেন না এবং ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণের জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে যে যত ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে সে তত ভালো এগিয়ে যাবে। সবার প্রথমে ফ্যাটি লিভারের সঠিক রোগ নির্ণয় করতে হবে এবং সেটা কি পর্যায়ে আছে সেটা জানতে হবে যদি সঠিক পর্যায়ে থাকে তাহলে ভালো যদি গুরুতর অবস্থায় থাকে তাহলে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। আজকের আর্টিকেলে ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে অনেক তথ্য আছে অবশ্যই আপনারা করবেন।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ

সাধারণত যারা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস তৈরি হতে পারে এবং যার ফলে প্রচুর পরিমাণে চাপ করতে পারে নিজের পাকস্থলীর উপর। এ সময় হঠাৎ করে অরুচি চলে আসতে পারে খাবারের এটা হচ্ছে প্রথম লক্ষণ।

এরপরে এর সঙ্গে যে লক্ষণ গুলো দেখা যেতে পারে সেটা হচ্ছে হঠাৎ করে বমি বমি ভাব অনেক সময় পেট ফুলে যাওয়া অথবা পেটে ব্যথা হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে ফ্যাটি লিভারের কারণে।

অনেক রোগীর ক্ষেত্রে পেট ফুলে যাওয়ার সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ফুলে যেতে পারে আবার হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতাও তৈরি হতে পারে ফ্যাটি লিভারের সমস্যার কারণে। অনেকের ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যা ও তৈরি হতে পারে যেমন মাথা ব্যথা এবং ডিপ্রেশন।

ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা আছে যাদের

সাধারণত ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে টাইপ টু ডায়াবেটিস আছে যাদের তারা। এর পাশাপাশি মেনোপজ শুরু হয়েছে এমন নারীদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই ধরনের রোগীদের শারীরিক কিছু পরিবর্তন হয় যে পরিবর্তনের কারণে ফ্যাটি লিভার হওয়া সম্ভব না বেশি থাকে। যাদের শরীরের কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেক বেশি এবং এটা দীর্ঘদিন ধরে তার শরীরে আছে তিনি বুঝতে পারেননি এরকম রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভার এবং কোলেস্টেরল একই সঙ্গে ধরা পড়তে পারে। যারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ফ্যাটিলিভার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে খাবার

ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস এবং এই খাবার আপনাকে এখান থেকে বাঁচাতে পারে। এখানে যারা অ্যালকোহল সেবনকারী আছেন তারা পুরোপুরি অ্যালকোহল খাওয়া বন্ধ করে দিন অর্থাৎ অ্যালকোহল খাওয়া একেবারে শূন্যের কোঠায় নিয়ে যেতে হবে।

যাদের প্রচুর পরিমাণে চা খাওয়ার অভ্যাস আছে বিশেষ করে দুধ অথবা কনডেন্স মিল্ক দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস পরিহার করতে হবে যদি ফ্যাটি লিভার হয় সেই ক্ষেত্রে। ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে আপনি যে ডায়েট চার্ট তৈরি করবেন সেই ডায়ের চ্যাটে প্রাধান্য দেবেন ভিটামিন এবং মিনারেল যুক্ত খাবারের।

এছাড়াও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ফ্যাটি লিভার দূর করতে সাহায্য করবে। কারণ হচ্ছে এই ফাইবার যুক্ত খাবার অল্প খেলেই ক্ষুধা মিটে যায় এবং এটা দীর্ঘক্ষন ধরে পাকস্থলীতে থাকে এবং আস্তে আস্তে হজম হয় বলে পুনরায় ক্ষুধা লাগতে অনেক সময় লাগে যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার খাদ্যের পরিমাণ কমাতে আপনাকে সাহায্য করবে।

অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খাবার তালিকা রাখতে হবে যেগুলো অত্যন্ত উপকারী এছাড়াও শুধুমাত্র শাকসবজি না এর পাশে ছুটি জাতীয় খাবার এবং ডাল জাতীয় খাবার অবশ্যই খেতে হবে।

ফ্যাটি লিভারে প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে এটা ভুল ধারণা প্রতিদিন অবশ্যই খেতে হবে তবে আপনি শুধুমাত্র উপকারী প্রোটিন গুলো খাবেন এবং সেগুলো পরিমাণ মতো যেটা আপনার শরীরে থাকা খারাপ প্রোটিন গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করবে।