বৈবাহিক জীবনের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে বন্ধ্যাত্ব। আগের দিনে যখন মেয়েদের বেশি দোষ দেওয়া হতো তখন কোন পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না কিন্তু বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে এই বন্ধ্যাত্বের হার শুধুমাত্র যে মেয়েদের মধ্যে আছে এটা ভুল ছেলেদের মধ্যেও সমান হারে আছে। ছেলেদের বিভিন্ন দুর্বলতার মধ্যে বীর্যের ঘনত্ব কম হওয়া একটি বড় কারণ হতে পারে এক্ষেত্রে। সাধারণত এর ঘনত্ব কম হওয়ার কারণে এখানে শক্তিশালী শুক্রানুর পরিমাণ কম থাকে যেটা সন্তান গ্রহণের জন্য একটি বাধা।
এর জন্য অবশ্যই এটাকে শক্তিশালী করতে হবে এবং শক্তিশালী করার জন্য এর ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে হবে যার ফলে প্রাকৃতিকভাবে বীর্যে শুক্রানুর পরিমাণ বেড়ে যাবে। এ অবস্থাতে বিভিন্ন ধরনের ভালো অভ্যাস এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার একজন পুরুষকে সাহায্য করবে এই কাজটি করতে। অনুরা থাকবে কোন ধরনের আজেবাজে ঔষধ খাবেন না এবং কোন ধরনের আজেবাজে অভ্যাস গড়ে তুলবেন না যেটা পুরোপুরি আপনার জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন।
বীর্যে ঘনত্ব বৃদ্ধির উপায়
বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং এর পাশাপাশি ভালো কিছু খাবার খেতে হবে। যারা ধূমপান অথবা অ্যালকোহল সেবন করেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি এই অবস্থাতে আপনি যদি এই অভ্যাসগুলো পুরোপুরি বর্জন করেন তাহলে সেটা আপনার জন্য সবথেকে ভালো। এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে যেখান থেকে অটোমেটিক্যালি আপনার বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি পাবে।
এর পাশাপাশি যে খাবারগুলো আছে যেমন মনে করেন অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং মিনারেলস ও ভিটামিন যুক্ত খাবার। প্রকৃতি থেকে পাওয়া বাদাম বা প্রকৃতি থেকে পাওয়া শাকসবজি যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলস আছে এবং প্রোটিনের পরিমাণ আছে সেই খাবার গুলো আপনাকে বেশি বেশি খেতে হবে চেষ্টা করতে হবে শর্করা জাতীয় খাবার কম খেতে। শুধু খেলেই হবে না সেটা খেতে হবে নিয়ন্ত্রিত খাওয়া অর্থাৎ আপনি কি খাচ্ছেন সেটা আপনি জানবেন এবং কখন খাচ্ছেন এবং সেই নিয়মটা কি প্রতিদিন সেই একই নিয়ম মেনে খাবেন এরকম অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সেটা সবথেকে ভালো।
এই বিষয়ে আরেকটি জিনিস সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে নিয়মিত খেলাধুলা। নিয়মিত খেলাধুলার মাধ্যমে একজন পুরুষ তার জীবনের অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে পারে যেটা আপনি নিজেও প্রমাণ করে দেখাতে পারেন। এই কয়েকটা জিনিস আপনি যদি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য সবথেকে ভালো এবং আপনি অবশ্যই যে নিয়তে এই কাজগুলো শুরু করবেন সেই নিয়তের সফল হবেন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়
সাধারণত এই হরমোন বৃদ্ধি করার জন্য প্রাকৃতিক যে নিয়ম আছে তার মধ্যে একটি নিয়ম হচ্ছে ওজন নিয়ন্ত্রণ। যাদের অতিরিক্ত ওজন হয়ে গেছে তারা যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে সেটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো খাবার খেতে হবে এবং ডায়েট করে খাবার খেতে হবে। এর পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সেটা হচ্ছে শারীরিক ব্যায়াম আপনি যদি শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার এই হরমোন বৃদ্ধিতে সবথেকে ভালো কাজ করবে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন এর ঔষধ
এখানে যারা ওষুধ সেবনের মাধ্যমে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করতে যাচ্ছেন তাদেরকে বলব এটা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত। একটা গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে এই হরমোন বৃদ্ধি করার জন্য যারা ঔষধ খায় তাদের শরীর এক পর্যায়ে এই হরমোন বৃদ্ধি করা বন্ধ করে দেয় যেটা হতে পারে বড় ধরনের সমস্যা। শুধুমাত্র যাদের বয়স ৬০ থেকে ৭০ এর বেশি তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়া যেতে পারে এছাড়া কিছু অভ্যাস পরিবর্তন এবং কিছু চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন করলেই স্বাভাবিকভাবেই টেস্টোস্টেরন হরমোন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হয়।