আমাদের দেহের অভ্যন্তরে যে কোষের বৃদ্ধি হয় সেটা স্বাভাবিক পর্যায়ে হয়ে থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে এই মাংসের কোষগুলো জীবিত থাকে তারপর সেই কোর্সগুলো আবার মৃত্যুবরণ করে এবং নতুন ভাবে কোস্ট তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়া সারা জীবন ধরে চলতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে এই কোষ গুলোর মধ্যে কিছু কোষের ডিএনএ পরিবর্তনের কারণে অথবা ডিএনএতে কোন ধরনের সমস্যা হওয়ার কারণে পোস্টগুলো স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করে না যার কারণে সেগুলো পুরোপুরি মৃত্যুবরণ না করার কারণে হালকা জীবিত থাকে।
এবং এই কোষগুলোই পরবর্তীতে আবার বাড়তে শুরু করে যা প্রচুর পরিমাণে খারাপ জীবাণু এবং খারাপ ভাইরাস বহন করে। এই কলগুলো যখন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে তখন সেটা ছোট মাংসপিণ্ডে রূপান্তরিত হয়। অনেক সময় এটা দেহের ভালো পোস্ট গুলোর সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় থাকতে পারে অথবা অনেক সময় এগুলো থেকে আলাদা অবস্থানও থাকতে পারে। এই মাংসপিণ্ড আস্তে আস্তে বড় হয়ে টিউমারে রূপান্তরিত হয় এবং এটাকে মূলত টিউমার হিসেবে চিনি আমরা সকলে।
টিউমার হলে করণীয়
দেহের বিভিন্ন অংশের টিউমার হতে পারে। এখন সকলের প্রশ্ন হল এই টিউমার হলে কি করতে হবে। সাধারণত যাদের টিউমার হয়ে থাকে তাদের প্রথম যে কাজটি করতে হয় সেটা হচ্ছে কোথায় টিউমার হয়েছে এবং সেই টিউমারের আকার কতটুকু সে সম্পর্কে জানা। অবশ্যই এর জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে এবং সেই টিউমারের অভ্যন্তরে যে ভাইরাস আছে তাতে কোন ক্যান্সারের ভাইরাস আছে কিনা সেটাও জানতে হবে। এই পরীক্ষা নিরীক্ষার রেজাল্ট যখন হাতে আসবে তখন পরবর্তী পরিকল্পনার জন্য রেজাল্টসহ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
সবার প্রথমে দেখতে হবে ক্যান্সারের ভাইরাস আছে কিনা যদি ক্যান্সারে ভাইরাস না থাকে তাহলে চিকিৎসক অবশ্যই তাকে ধীরে সুস্থে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এমনিতেই যদি টিউমার হয়ে থাকে তাহলে সেই টিউমার শরীরের মধ্যে পুষে রেখে কোন লাভ নেই অপারেশনের মাধ্যমে সেটাকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আপনি যতই গাছামো ওষুধ খান না কেন আপনি যতই হোমিও ঔষধ খান না কেন আপনার টিউমার যদি আপনার শরীরে থাকে তাহলে সে টিউমার অবশ্যই কোন না কোন দিন বড় হবে এবং সেটা আপনার শরীরের ক্যান্সার তৈরিতে সাহায্য করবে।
লাইপোমা টিউমার এর চিকিৎসা
লাইপোমা টিউমার হচ্ছে এক ধরনের টিউমার যেটা আমাদের শরীরের এমন একটি স্থানে হয় যে স্থানে চর্বির সংখ্যা বেশি থাকে। মাংসপেশী এবং চামড়ার মধ্যস্থানে সাধারণত এই টিউমার হয়। এই টিউমার মূলত চর্বির মাধ্যমে তৈরি হয়। প্রথমদিকে দেখতে এ টিউমার ছোট ছোট হয় কিন্তু আস্তে আস্তে এর আকৃতি বৃদ্ধি পায় এবং একাধিক টিউমার হতে পারে মানব শরীরে। অনেক রোগের ক্ষেত্রে পুরো শরীরে অনেক টিউমার দেখা দিতে পারে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টিউমার।
তবে এই টিউমারে ভয়ের কোন কারণ নেই অবশ্যই এই টিউমার শরীরের জন্য একটি আলাদা বোঝা হলেও এই টিউমারে কোন ধরনের ক্যান্সারের ভাইরাস বহন করে না। তাই আপনি এই টিউমারকে আপনার শরীরে রেখে দিতে পারেন তাছাড়া উপায় নেই তার কারণ হচ্ছে এই টিউমার একই সঙ্গে অনেক বের হয় যার কারণে অপারেশন করতে গেলে রোগির অনেক বেশি কষ্ট হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত যদি হওয়া যায় এটা লাইপোমা টিউমার তাহলে একটু কষ্ট করে সেটা রেখে দেওয়াই ভালো।
টিউমার এর চিকিৎসা
টিউমারের চিকিৎসা বলতে প্রাথমিক পর্যায়ে যদি টিউমার ধরা পড়ে তাহলে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করা যেতে পারে। তবে যদি টিউমার গুরুতর পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে কোন অপেক্ষা নেই সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন করতে হবে। আপনি যদি ভালো অবস্থানে এই টিউমারকে আপনার শরীর থেকে বের করতে পারেন তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে বেঁচে যাবেন।