নষ্ট কিডনি ভালো করার উপায়

নষ্ট কি নিয়ে ভালো পাওয়ার আর খুব সামান্য কয়েকটি উপায় আছে। তবে নষ্ট কিতনি ভালো হতে হলে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এখানে সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালা যদি নিজের হাতে আপনাকে হায়াত দান করে তাহলে কেবলমাত্র আপনি সুস্থ করতে পারবেন। আমরা সকলে অবগত আছি যে আমাদের শরীরের দুটি কিডনি আছে এবং সেই দুইটি কিডনির যদি যেকোনো একটি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অপর কিডনির মাধ্যমে আমরা বেঁচে থাকতে পারি।তবে যদি দুইটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে মানুষ সঙ্গে সঙ্গে মারা যেতে পারে। এ অবস্থাতে নষ্ট কিডনি সুস্থ করতে গেলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা করে থাকেন অনেকেই। সাধারণত নষ্ট কিডনিকে বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস করা হয়। মনে করো না একজন ব্যক্তির একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে অপর কিডনি ভালো আছে এই অবস্থাতে যদি সে অপর কিডনি ভালো রাখতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে ডায়ালাইসিস করতে হবে।

ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে নষ্ট ক্লিনিকে কিছু দিনের জন্য বা কিছু সময়ের জন্য সচল রাখা যায়। তাই অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যদি ডায়ালাইসিস করতে হয় তাহলে অবশ্যই করিয়ে নিতে হবে।নষ্ট কিতনি ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা খুব কম। এই ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো উপায় হল কিডনি প্রতিস্থাপন। কি দিয়ে প্রতিস্থাপন কতটা জটিল এবং কতটা ব্যয়বহুল এটা আমরা সকলে জানি। সব থেকে বড় সমস্যা হয় কিডনি পাওয়া অর্থাৎ একই রক্তের গ্রুপ এবং অন্যান্য আরো বিভিন্ন জিনিস ম্যাচিং থাকার পরে একটি সুস্থ কিডনি পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার।অনেক মানুষ যাদের ধন-সম্পদ আছে এবং এই অবস্থাতে এসে দাঁড়ায় তখন তারা অনেক টাকা খরচ করে একটি কিডনির জন্য। নষ্ট কিতনি ভালো করার উপায়গুলো খুব কম তবে এখানে প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে নষ্ট কিডনির পরিবর্তে নতুন কিডনির মাধ্যমে মানুষ জীবন যাপন করতে পারে।

কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা

কিডনিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে এবং এই সমস্যার কারণে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। কিডনির রোগ বিভিন্ন ধরনের আছে এবং এ রোগ গুলোর মধ্যে কিছু রোগ সামান্য হয়ে থাকে আবার কিছু রোগ অত্যন্ত গুরুতর হয়ে থাকে। কিডনির রোগ যতটাই আগে ধরা পড়বে ততটাই ভালো তার কারণ হচ্ছে যদি প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ গুলো ধরা পড়ে তাহলে প্রত্যেকটি রোগের চিকিৎসা আছে।

কিডনিতে ইনফেকশন যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে ওষুধের মাধ্যমে সেই ইনফেকশনগুলো থেকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া যাবে। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা না পড়ে তাহলে এই ইনফেকশন থেকে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।কিডনিতে পাথর অন্যতম একটি সমস্যা যদি এই পাথর প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে এর চিকিৎসা আছে তা না হলে অবশ্যই আপনাকে অপারেশনের মাধ্যমে এই পাথরগুলোকে অপসারণ করতে হবে সুস্থ থাকার জন্য।

কিডনির দুই ধরনের যে নারী আছে সেই নালীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। কোন সময় এই জায়গাগুলোতে পাথর হয় আবার কোন কোন সময় এই জায়গাগুলো চিকন হয়ে যায় বা ফুলে বড় হয়ে যায়। এই ধরনের প্রত্যেকটি সমস্যার চিকিৎসা আছে তবে এই সমস্যাগুলো যদি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে তাহলে শতভাগ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।।

কিডনি রোগের চিকিৎসা

কিডনি রোগের চিকিৎসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কিছু চিকিৎসা হয়ে থাকে ওষুধের মাধ্যমে। কিছু কিছু চিকিৎসা হয়ে থাকে সরাসরি অপারেশনের মাধ্যমে। অনেকে আছেন যারা কিডনি রোগের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলে হোমিও ঔষধের শরণাপন্ন হয়। হোমিও ঔষধের মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকলেও দুই একজন সুস্থ হয়েছেন বলে শুনতে পাওয়া যায়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা কিডনি রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি দিতে পারে।