রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির উপায়

আপনারা যারা রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই কিছু ভালো অভ্যাসের মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে পারেন। সাধারণত রক্তে হিমোগ্লোবিন কমতে থাকলে সেটা আপনার শরীরের রক্তশূন্যতার কারন হতে পারে। আপনি যদি এই রক্তশূন্যতা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান এবং হিমোগ্লোবিন কে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত আপনাকে কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যে ভালো অভ্যাসের মাধ্যমে আপনি আপনার রক্তের হিমোগ্লোবিনকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আজকের এই আর্টিকেলে এই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।

সাধারণত রক্তে হিমোগ্লোবি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবার প্রথমে যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ আপনাকে গ্রহণ করতে হবে সেটা হচ্ছে খাবার। সাধারণত আপনি যে খাবারগুলো খাচ্ছেন সেগুলো যদি আয়রন যুক্ত হয়ে থাকে তাহলে এমনিতেই রক্তে হিমোগ্লোবিন বেড়ে যাবে। এর পাশাপাশি হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি পাওয়ার আরো কিছু নিয়ম আছে সে সম্পর্কে আমরা আজকে আপনাদের জানাবো আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির খাবার

সঠিক খাবার জীবনের অনেক কিছু কেই বদলে দিতে পারে। আপনি যদি সঠিক নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে সঠিক খাবার খান তাহলে সেটা আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সবথেকে বড় ভূমিকা রাখে। হিমোগ্লোবিন কম থাকা অনেক বড় একটি সমস্যা আপনি যদি সে সমস্যা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত খাবার খেতে হবে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করার জন্য। হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করার জন্য কোন কোন খাবার আপনি খেতে পারেন সেই সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব।

বিভিন্ন ধরনের মাছ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনে ভরপুর। শুধুমাত্র যে মাছ প্রোটিনের চাহিদা যোগান করে এমন নয় এর পাশাপাশি আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে এই মাছ অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। এই ক্ষেত্রে সেই মাছ যদি নদীর মাছ অথবা সামুদ্রিক মাছ হয় তাহলে সেটা অনেক বড় উপকারী জিনিস এছাড়াও আমাদের আশেপাশে যে মাছগুলো পাওয়া যায় যেমন টাকি মাছ থেকে শুরু করে এ জাতীয় বিভিন্ন মাছ সেগুলোকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা আমাদের হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সকল ধরনের বাদাম অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। বাগানে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এই ধরনের চর্বি বাদে যে প্রোটিন গুলো আছে আমরা যত বেশি খাবো ততই সেটা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হবে এবং আমরা সেখান থেকে আমাদের শরীরকে সুস্থ করতে পারব।

আপনি যদি আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ সঠিক রাখতে চান তাহলে নিয়মিত দুধ এবং ডিম আপনাকে খেতে হবে। নিয়মিত দুধের ডিম আপনার শরীরের হিমোগ্লোবিনকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

ডাল এবং শুঁটি জাতীয় খাবার আমাদের হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। যারা সাধারণত খাবারের মধ্য থেকেই হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির উপাদান গুলো খুঁজে তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত পছন্দের উপাদান হতে পারে ডাল ও শুঁটি জাতীয় খাবার।

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে অবশ্যই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে রঙিন ফলমূল খেতে। আপনি এই জিনিসটা যত বেশি ভালোভাবে করতে পারবেন আপনার জন্য এটা ততই উপকারী জিনিস হবে।

তবে কিছু জিনিস খাওয়া বর্জন করতে হবে সেগুলো হচ্ছে ধূমপান বা অ্যালকোহল। আপনি যদি ধূমপান বা অ্যালকোহল বর্জন করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার শরীরের হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে সাহায্য করবে।

এ ছাড়াও কিছু ক্ষতিকারক খাবার আছে। বা কিছু ক্ষতিকারক ঔষধ আছে যেগুলো আমরা না জেনে না বুঝে খায় যার কারণে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের ক্ষতি হয় তার মধ্যে হিমোগ্লোবিনের কমে যাওয়া একটি।

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে যে শাকসবজি

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে পারে এমন শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এরমধ্যে সবুজ জাতীয় শাকসবজি যেমন পালং শাক থেকে শুরু করে কচুর শাক বা কচুর লতি বা কচুর ডাটা প্রচুর পরিমাণে আয়রনের ভরপুর। এর পাশাপাশি ফুলকপি থেকে শুরু করে বাঁধাকপি অথবা প্রক্রি জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।