থাইরয়েড আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে যে সমস্যা দেখা দেয় সেটা হচ্ছে ওজন বৃদ্ধি। সাধারণত এই ওজন বৃদ্ধি এমনভাবে হতে থাকে যেটা রোগীকে অনেক বেশি বিরক্ত করে ফেলে। মনে করুন আপনি তেমন কিছু খান না খুব সামান্য পরিমাণে তিন বেলা খাবার খান কিন্তু এই সামান্য পরিমাণে খাবার খাওয়ার পরেও আপনার শরীর কেন জানি না অত্যাধিক বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু পাশাপাশি আপনার সঙ্গেই একজন আছে যিনি আপনার থেকে ডাবল খাবার খায় কিন্তু তার ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
থাইরয়েড রোগীদের ক্ষেত্রেই সাধারণত এই ধরনের সমস্যা হয়। তারা বুঝতে পারে না কেন তাদের ওজন বাড়ছে কিন্তু যখন থাইরয়েডের পরীক্ষা করে তখন বুঝতে পারে থাইরয়েডের সমস্যার কারণে মূলত ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থাতে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে সবার প্রথমে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করা। আপনি যতই খেলাধুলা করুন না কেন যতই শারীরিক পরিশ্রম করুন না কেন এর পাশাপাশি যতই খাবার খাওয়া কমিয়ে দেন না কেন আপনি যদি থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে আপনার ওজন কমবে না। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত চিকিৎসা এবং কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলো যে কেউ করলে খুব সহজে এটা নিয়ন্ত্রন হয়।
ওজন কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
ওজন কমানোর প্রাকৃতিক উপায় অনেকে জানতে চান। খাদ্য রসিক বাঙালিরা যখন মুখের সামনে খাবার তখন লোভ সামলাতে পারে না। তখন মন বলে ওঠে আগে এ খাবারগুলো খাই কালকে থেকে না হয় কম করে খাব। এইভাবেই কাল করতে করতে ওজন কিভাবে যে এত বৃদ্ধি পেল সেটাও বুঝতে পারে না অনেকে। যখন শরীল একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন সে অনেক পস্তায় কিন্তু তখনও সে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না ওজন কমানোর জন্য।ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয় এবং আপনাদের জানিয়ে রাখছি যে আপনার বয়স যতই হোক না কেন আপনার ওজন যতই হোক না কেন এই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে খুব সহজেই এই আত্মবিশ্বাস মাথায় রাখুন। ওজন কমানোর প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সঙ্গে থাকুন আমরা নিচের অংশে খুব সুন্দর ভাবে আপনাদের কিছু টিপস জানাবো যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা ওজন কমাতে পারবেন খুব সহজেই।
এক মাসে ওজন কমানোর ডায়েট
যারা এক মাসে ওজন কমাতে চান তাদেরকে বলব এক মাসে খুব বেশি ওজন কমানো যাবে না আর ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনি যদি শুধুমাত্র এক মাসের পরিকল্পনা হাতে নেন তাহলে সেটা ভুল হবে। সাধারণত আকর্ষণ করার জন্যই মূলত আমরা এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করেছি তবে বাস্তব অর্থে আপনাকে অন্তত ১২ মাসের একটি পরিকল্পনা করতে হবে। আপনার উচ্চতা থেকে যদি আপনার ওজন ১০ কেজি অথবা ২০ কেজি বেশি হয় তাহলে আপনাকে এমন ভাবে পরিকল্পনা করতে হবে যে মাসে এক কেজি অথবা মাসে ২ কেজি করে ওজন কমাবেন।
এইভাবে যদি আপনি ১২ মাস পরিশ্রম করেন তাহলে দেখবেন ১২ মাস পরে আপনার উচ্চতার সঙ্গে আপনার ওজনের সামঞ্জস্য আসবে এর পাশাপাশি প্লাস পয়েন্ট হিসেবে আপনি একটি সুন্দর শরীরের অধিকারী হবেন এবং আপনার শরীর তখন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং অত্যন্ত প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। মনে হবে আপনার বয়স যেন ১০ বছর কমে গেছে। তবে যারা একমাসের ওজন কমানোর জন্য অনেক কিছু করেন তাদেরকে বলব এইভাবে ওজন কমাতে গিয়ে উল্টো শরীরের ক্ষতি না করাই ভালো।
ওজন কমানোর ব্যায়াম
প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমানোর জন্য খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক ব্যায়াম না করলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের হরমোন এবং শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন হয় না যার কারণে আপনি যতই কম খাবার খান না কেন আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে না। তাই অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম আপনি করতে পারেন সেটা যে কোনভাবেই হোক না কেন।