সাধারণত যে সমস্যাগুলো আমাদের সারা জীবন তাড়া করে বেড়ায় সেই সমস্যার মধ্যে একটি অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে ব্লাড প্রেসার। এটা এমন একটি সমস্যা যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যেই এটা দেখা দিতে পারে। সাধারণত যাদের হাই ব্লাড প্রেসার আছে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে হাই ব্লাড প্রেসার যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে প্রথম থেকেই সেই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে। সঠিকভাবে যদি আমরা কম বয়স থেকেই এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের বয়স যখন বেশি হবে তখন ব্লাড প্রেসার আমাদের শরীরে দেখা যাবে না।
সাধারণত আপনার কিছু অভ্যাস ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আপনাকে সাহায্য করবে। প্রথম অভ্যাস হচ্ছে খাবার নিয়ন্ত্রণ খাবার নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে আমরা নিচে আপনাদের দিকনির্দেশনা দেব তাই এখানে বর্ণনা করা হবে না। এরপরে যে কাজটি আপনারা করতে পারেন সেটা হচ্ছে শরীর নিয়ন্ত্রণ অর্থাৎ শরীরের ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে কখনো সেটা ব্লাড প্রেসারের জন্য ভালো নয়। তাই চেষ্টা করতে হবে শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করা।
ব্লাড প্রেসার এর জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে শারীরিক সুস্থতা।অন্যান্য রোগের কারণেও ব্লাড প্রেসার হতে পারে দীর্ঘদিন ধরে যদি বড় কোন রোগে আপনি আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে সেটা ব্লাড প্রেসার তৈরি করতে পারে এছাড়াও শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের খাবার
আমরা ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার খাই সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য সেটা আমরা অবশ্যই জানি। এই খাবারের মধ্যে দিয়ে আমাদের শরীরে পৃথিবীর সবকিছু প্রবেশ করে তাই আমরা যদি এই খাবারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে আমরা রোগমুক্ত থাকতে পারবো এটা একেবারেই সহজ ব্যাপার। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের অবশ্যই এমন কিছু খাবার খেতে হবে যে খাবারগুলো খাবার ফলে তারা নিমিষেই তাদের ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই বিষয়ে একটা জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে যে খাবারগুলো আপনি খাচ্ছেন তাতে পটাশিয়াম এর পরিমাণ বেশি আছে কিনা।
সাধারণত আমাদের আশেপাশে থাকা রঙিন ফলমূল যেমন মনে করুন পেয়ারা কমলালেবু থেকে শুরু করে এই ধরনের বিভিন্ন ফল যেমন আনারস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে এই খাবারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কাজের। সাধারণত যারা হাইপ্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন নিয়মিত তারা অবশ্যই এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন এবং এই অবস্থাতে কখনোই অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না। একটা সহজ অংক আপনাদের বুঝিয়ে দেই সেটা হচ্ছে আপনি যে জিনিসটা খাবেন তার ফলাফল আপনি আপনার শরীরে পাবেন। আপনি যদি ভালো জিনিস খান তাহলে তার ফল ভালো হবে এবং আপনি যদি খারাপ জিনিস খান তাহলে তার ফল খারাপ হবে।
ব্লাড প্রেসারে শারীরিক পরিশ্রম
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে অর্থাৎ হাই ব্লাড প্রেস ার তাদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রমের সময় একটু সতর্ক অবস্থানে থাকতে হয়। সাধারণত এগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তার কারণ হচ্ছে বেশি উচ্চ রক্তচাপ থাকলে আপনি যখন হঠাৎ করে শারীরিক পরিশ্রম করতে যাবেন সেটা আপনার প্রেসার কে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। যারা অবুঝের মত এই কাজগুলো করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আপনি শারীরিক পরিশ্রম যদি দীর্ঘদিন ধরে না করে থাকেন এবং খেলাধুলা যদি দীর্ঘদিন ধরে না করে থাকেন তাহলে আস্তে আস্তে শুরু করুন এত তাড়াতাড়ি কখনোই সেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে না।
ব্লাড প্রেসার এর ঔষধ
সাধারণত ব্লাড প্রেসার এর ঔষধ এর ক্ষেত্র সাথেকে বেশি ব্যবহার করা হয় লোসারটিল পটাশিয়াম। এই একই ওষুধ উপাদান দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্নভাবে বিভিন্ন নাম দিয়ে ওষুধ তৈরি করছে। এই ট্যাবলেট গুলোর আবার কয়েকটি ধরন আছে অর্থাৎ যার প্রেসার যেমন সেই অনুযায়ী এই ট্যাবলেট চিকিৎসকেরা লিখে থাকেন। যদি ওই নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ একজন চিকিৎসক দেন তাহলে অবশ্যই রোগীকে সেটা মেনে চলতে হবে।