সাধারণত কিডনি রোগের কারণে একজন রোগীর শরীরে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে যদি এটা একেবারে অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে যায় তাহলে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হতে পারে। নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে খুবই ভালো। ওষুধ ছাড়া আলাদাভাবে কিভাবে এই জিনিসটা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। আপনারা যারা এই সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন পরে আছেন তারা একটু হলেও আমাদের এখান থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন যে তথ্যগুলো আপনাকে আপনার শরীরের ক্রিয়েটিনের নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
সাধারণত আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরা আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করছি। খাদ্য অভ্যাস থেকে শুরু করে আমাদের শারীরিক গঠন এবং শারীরিক পরিশ্রম পরিবর্তন হচ্ছে। যেগুলো আমাদের জন্য খারাপ কিছু বয়ে আনছে। তবে ভালো অভ্যাস আপনাকে অবশ্যই সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভালো অভ্যাসের মধ্যে থাকতে হবে।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঔষধ
সাধারণত ক্রিয়েটিনিন কমানোর সরাসরি কোন ঔষধ নেই। তবে অবশ্যই এমন কিছু খাবার আছে যে খাবারগুলো আপনি নিয়মিত খেলে আপনার ক্রিয়েটিনিন কমে যাবে। আজকের আলোচনা থেকে আমরা খাবার সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেবো আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গেই থেকে খাবারগুলো সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।অ্যাপেল সিড ভিনেগার এ সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত আছি। অ্যাপেল সিড ভিনেগার দেহের ক্রিয়েটিনের নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। যারা নিয়মিত অ্যাপেল সিড ভিনেগার খান তাদের মতে অ্যাপেল সিড ভিনেগার খাওয়ার পর থেকে তাদের অ্যাসিটিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে অনেক সুবিধা হয় এবং যার কারণে কিডনিতে পাথর জমা বাঁধতে এটা অনেক বাধা দেয়। আপনারা একটি সুন্দর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন এবং সেই অভ্যাস অনুযায়ী প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চামচ এপেলসির ভিনেগার যোগ করে পান করতে পারেন।
দারুচিনি ক্রিয়েটিনের লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে। তার কারণ হচ্ছে এটা প্রকৃতিকভাবে প্রসবের পরিমাণ বাড়ায় এবং এটা আপনার শরীরের কিডনির কার্যক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে। আপনি একটা সুন্দর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন যেখানে যেকোনো ধরনের পানীয় সঙ্গে প্রতিদিন আধা চামচ দারুচিনির গুড়া বা এক টুকরা দারুচিনি প্রতিদিন চিবিয়ে খেয়ে মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে ফাইবার যুক্ত খাবার নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে সেটা আপনার শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে। তাই চেষ্টা করতে হবে যাতে করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন খাওয়া হয়।অনেকের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনের নিয়ন্ত্রণের না আসলে চিকিৎসা কারা চেষ্টা করেন ক্রিয়েটিন ইন সাপ্লিমেন্ট এর মাধ্যমে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে। এটা সাধারণত এমন রোগীদের ক্ষেত্রে করা হয় যারা শারীরিকভাবে ক্রিয়েটিন এর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর ব্যায়াম
ক্রিয়েটি নেন কমানোর আলাদাভাবে তেমন কোন ব্যায়াম নেই। সাধারণত যাদের কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে এবং এর কারণে ক্রিয়েটিনিন বৃদ্ধি পায় তাদের ক্ষেত্রে এমন কিছু ব্যায়াম দেওয়া হয় যে ব্যায়ামগুলো করলে কিডনির পাথর নিজে নিজেই অপসারণ হতে পারে। সেই ব্যায়ামের মধ্যে একটি ব্যায়াম হচ্ছে বল দড়ি খেলা। এবং লাফালাফি করা যার মাধ্যমে যদি কিডনির পাথরের সাইজ ছোট হয় তাহলে সেটা অনায়াসে বেরিয়ে যাবে কোন ওষুধের প্রয়োজন পড়বে না।
কিডনি রোগের চিকিৎসা
কিডনি রোগের চিকিৎসা বিভিন্নভাবে করতে হয় মূলত যে রোগ হয়েছে সেই রোগের উপর ভিত্তি করে এই চিকিৎসা করতে হয়। কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগ থাকে এখন আপনাকে জানতে হবে এটা না ও কোন রোগের জন্য কি চিকিৎসা করতে হবে। তিনি রোগের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা আছে তবে সবথেকে ভালো হয় প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ ধরা পড়লে। তা না হলে এমন পর্যায়ে যেতে পারে যেখান থেকে কিডনি অপসারণ করা লাগতে পারে।