ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করার উপায় গুলো অবশ্যই জানা উচিত। আধুনিক বিশ্বে সবথেকে ভয়ানক রোগ হচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার। সবথেকে অবাক করা তথ্য হলো শুধুমাত্র যে মেয়েদের মধ্যেই ব্রেস্ট ক্যান্সার ছড়িয়ে যাচ্ছে এটা ভুল ছেলেদের মধ্যেও বর্তমানে ব্রেস্ট ক্যান্সার পাওয়া যাচ্ছে। এই রোগ প্রতিরোধের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলো আছে সে বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করব। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে শুরুতেই যদি এই ক্যান্সার গুলো ধরা পড়ে তাহলে ৯০ ভাগ রোগীরা সুস্থ হন। তবে শুরুতে ধরা পড়ার জন্য অবশ্যই জানতে হবে কোন কোন উপসর্গ দেখা যায়।
এই উপসর্গ নিয়ে আজকে আমরা কথা বলব। তবে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে এই ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে একজন কি করতে পারে সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আমরা জানার চেষ্টা করি ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাধারণত কি করার আছে। অবশ্যই প্রত্যেকটির ধাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপনি যদি শুরু থেকেই এগুলো চেষ্টা করেন তাহলে আশা করা যায় কখনোই প্রেস ক্যান্সার হবে না।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্রতিরোধমূলক যে কাজটি আছে সেটা হচ্ছে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান। সাধারণত সন্তান প্রসব হওয়ার পরে যে সকল মায়েরা সন্তানকে বুকের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াতে চান না তাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে সম্পূর্ণ দুধ সন্তানকে খাওয়াতে যেটা ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধের অন্যতম একটি কাজ। জন্মনিরোধক বড়ি অত্যন্ত সাংঘাতিক কিছু জিনিস এটা যদি একজন মহিলা অনেক সময় ধরে খেতে থাকে তাহলে তার ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে যেমন 10 বছর এর বেশি। তাই এই কাজ থেকে বিরত থাকুন এটা আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে।
ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে করণীয়
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে টাটকা শাকসবজি ও ফল খাওয়া। এই জিনিসগুলো আপনার ক্যান্সার প্রতিরোধে আপনাকে সাহায্য করবে
। যারা ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন করেন তাদের অবশ্যই এগুলো বর্জন করতে হবে এবং যেকোনো ধরনের সমস্যায় চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে যারা বেঁচে ফিরতে চান তাদের প্রাথমিক লক্ষণগুলো বুঝতে হবে এবং এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক লক্ষণগুলো যদি বোঝা না যায় তাহলে যেকোনো সময় অঘটন করতে পারে তাই আশা করছি আপনারা এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হবেন।
ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ এর মধ্যে প্রথম লক্ষণ হচ্ছে স্তনে চাকা। স্তনে চাকা যদি দেখা যায় তাহলে সেটা ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ এই অবস্থাতে অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে স্তন বৃন্ত থেকে রক্তপাত হয় এটাও প্রাথমিক লক্ষণ।অনেকের ক্ষেত্রে যে প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় সেটা হচ্ছে অক্সিলারি বা বগলে চাকা। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে উল্টানো স্তন বৃন্ত এই ক্যান্সারের অন্যতম একটি লক্ষণ। অনেকের ক্ষেত্রে স্তনের রং লাল হয়ে যাওয়া এবং স্থানের চামড়া খোসার মত হওয়া এরকম সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই এটাও এই রোগের পূর্ব লক্ষণ।
এছাড়াও অনেক সময় বুকের দুধ ছাড়াও আরো কিছু তরল পদার্থ বের হচ্ছে বা তরল স্রাব বের হচ্ছে এরকম যদি দেখতে পাওয়া যায় তাহলে এটা স্তন ক্যান্সারের দুর্বলক্ষণ তাই অবশ্যই সতর্ক থাকুন। এছাড়াও স্তনের আকৃতির হঠাৎ পরিবর্তন হতে পারে স্তন ক্যান্সারের জন্য যেগুলো বুঝতে পারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যে সকল মহিলাদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দেবে তারা দয়া করে বাড়িতে বসে না থেকে একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে যান। আমি আবারও বলছি প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার ৯০% ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কখনোই অবহেলা করবেন না আপনি যদি অবহেলা করেন তাহলে হতে পারে আপনার কারণে আপনার পুরো পরিবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং আপনি পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছেন।